শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৭ শহীদের গণকবরের জায়গায় বাণিজ্যিক স্থাপনা!

ইনসেটে শহীদ ডা. দীগেন্দ্র চন্দ্র এন্দ।

সিলেটে মহান মুক্তিযুদ্ধে ৭ শহীদের গণকবরের জায়গায় গড়ে উঠেছে বাণিজ্যিক স্থাপনা। তা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা এবং আত্মীয়ের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

শহীদ সাতজনের পরিবার সূত্রে ঘটনার বর্ণনায় জানা যায়, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৯ টায় চারদিকে বিজয়ের ডামাডোল বাজছিল। মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর বাংলার আকাশে বিজয় নিশান উড়বে, পাকবাহিনী আত্মসমর্পণ করবে। যে কারণে রেডিওতে কান পাতছিলেন ডা. দিগেন্দ্র চন্দ্র এন্দ। এমন সময় হঠাৎ একটি মর্টার শেল এসে পড়ে তাদের ঘরে! মুহূর্তে লাশের সারি তৈরি হয়ে যায়। আহত হয় অনেকে। তড়িঘড়ি করে আহতদের নিয়ে যাওয়া হলো হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কয়েকজনের মৃত্যু হয়। কিন্তু ধর্মীয় রীতি মেনে একজনকে দাহ করা হয়। শহীদ ৯ জনের মধ্যে ৭ জনকে দেওয়া হয় গণকবর। সাত মাসের শম্পা এন্দকে ভাসিয়ে দেওয়া হয় পানিতে।

মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে সিলেট নগরীর মির্জাজাঙ্গাল এলাকায়। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের সময় সেই ঘটনা এখন অনেকটা অজানা সেই স্মৃতি। সেখানে নেই গণকবরের কোনো চিহ্ন। মেলেনি শহীদের স্বীকৃতিও। বরং গণকবরের জায়গায় হয়েছে বাণিজ্যিক স্থাপনা!

এসব বর্ণনা দেওয়ার সময় শহীদ ডা. দিগেন্দ্র চন্দ্র এন্দ'র নাতী সিলেটের রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী প্রতীক এন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আমার বয়স তখন মাত্র এক বছর। তাই ভাগ্যগুনে বীভৎস ঘটনাটি বুঝতে পারিনি। পরে আমার আহত বাবার মুখ থেকে শুনেছি। আমার বাবা পার্থ শখা এন্দ নিজেও আহত হন। ব্যাপারগুলো এক দিক থেকে যেমন বেদনার তেমনই গৌরবের। কিন্তু ব্যথা লাগে যখন দেখি সবাই স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কিন্তু আমাদের পরিবারের নিহতরা কেউ শহীদের স্বীকৃতি পাওয়া দূরের কথা বরং যেখানে তাদের সমাহিত করা হয়েছিল সেই জায়গায় একটি স্মৃতি ফলকও হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমার দাদা ডা. দিগেন্দ্র চন্দ্র এন্দ ছিলেন সে সময়কার মিউনিসিপ্যালিটি (পৌরসভার অবসরপ্রাপ্ত) চিকিৎসক। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন মির্জাজাঙ্গাল এলাকায়। যে বাসায় ভাড়া থাকতেন সেটি নয়া সড়কের বিশ্বম্ভর আখড়ার সম্পত্তি ছিল। যখন মর্টার শেলটি পড়ে তখন আমার পরিবার নিরাপত্তার জন্য আশ্রয় নিয়েছিলেন মণিপুরি রাজবাড়ীর বর্তমান ৩৪ নম্বরের বাসায়। তখন সেটিতে থাকতেন আব্দুর রহমান চৌধুরী। তিনি ছিলেন বায়না সূত্রে ওই বাসার মালিক। পরিবারের নারী সদস্যদের কথা বিবেচনায় ওই বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া। সেখানেই মর্টারটি পড়ে। শেলের প্রচণ্ড আঘাতে সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আমার দাদা ডা. দিগেন্দ্র চন্দ্ৰ এন্দ, তাঁর স্ত্রী সুনীতি বালা এন্দ এবং আত্মীয় প্রকৌশলী গোপেশ দাস। আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকালে মারা যান ডা. দিগেন্দ্র চন্দ্ৰ এন্দর জোষ্ঠপুত্র আমার কাকু দিব্যেন্দু এন্দ, কন্যা শিখা এন্দ এবং দিব্যেন্দু এন্দ'র পুত্র অপু এন্দ। তিন দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে প্রাণত্যাগ করেন ডা. দিগেন্দ্র'র আরেক কন্যা শিবানী এন্দ এবং দিব্যেন্দু এন্দ, সাত মাসের শিশুকন্যা পম্পা এন্দ। সাতদিন পর মারা যান ডা. দিগেন্দ্রের পুত্রবধূ ও দিব্যেন্দু এন্দর স্ত্রী খনা এন্দ। পরে ধর্মীয় রীতি মেনে তাঁকে দাহ করা হয়।’

শহীদের স্বীকৃতি না পেলেও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক ও শহীদ মেডিকেল শিক্ষার্থীদের তালিকা নিয়ে বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ সম্পাদিত 'মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ' নামক গ্রন্থে স্থান পেয়েছে ডা. দিগেন্দ্র চন্দ্র এন্দ পরিবারের গল্প। বীরত্বগাথা মর্মান্তিক এ ঘটনাটি তাজুল মোহাম্মদের লেখা 'সিলেটে গণহত্যা' বইয়েও উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে মর্টার শেলটি কারা ছুড়েছিল তার কোন সঠিক তথ্য মেলেনি। অনেকের ধারণা মর্টার শেলটি পাকবাহিনীকে লক্ষ্য করে মুক্তিবাহিনী ছুঁড়েছিলেন। যা ভুলক্রমে পড়ে এন্দ পরিবারের ওপর।

এদিকে সরেজমিনে মির্জাজাঙ্গাল এলাকায় মণিপুরী রাজবাড়ীর মন্দিরের বিপরীতে যেখানে ডা. দিগেন্দ্র পরিবারের ৭ সদস্যকে সমাহিত করা হয় সেখানে গিয়ে দেখা যায় বাণিজ্যিক স্থাপনা দিয়ে ভরে ফেলা হয়েছে গণকবরের স্মৃতিময় জায়গা। কোথাও কোন স্মৃতি চিহ্ন নেই।

সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন সিলেটের সমন্বয়ক ও ডা. এন্দ পরিবারের আশ্রয়দাতা আব্দুর রহমান চৌধুরীর ছেলে আব্দুল করিম কিম বলেন, ‘২০১১ সালে 'নিনাই' (নির্বিক,নান্দনিক ও ইস্পাত দৃড়) নামের একটি সংগঠন থেকে একবার এখানে সমাহিত শহীদদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানানো হয়। সে সময় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান এখানে শহীদদের স্মরণে একটি স্মৃতি ফলক নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। পরে মেয়র পরিবর্তন হলে এটি আর হয়নি বরং এরপর রাতারাতি বাণিজ্যিক স্থাপনা তৈরি হয়েছে।’

যে জাতি তার ইতিহাস ভুলে যায় সে সমৃদ্ধ হতে পারে না এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এসেও যদি গণকবর চিহ্নিত করা না যায় সেটি লজ্জার বলে মন্তব্য করেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক হাসান মোরশেদ। তিনি বলেন, ‘মৃত্যু যাদের মর্টার শেলেই হোক সেটি মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে। সুতরাং শহীদের স্বীকৃতি পাওয়া তাদের অধিকার। এমনকি এখানে একটি স্মৃতিফলক করে চিহ্নিত করা উচিৎ।’

অপরদিকে ওই জায়গার মালিক বিশ্বম্ভর আখড়ার পরিচালক গৌতম দাস বলেন, 'সকলকেই একটি গর্তে সমাহিত করা হয়েছে। তাই যেখানে সমাহিত করা হয়েছে সে জায়গাটি খালি রেখে বাকিটা স্থাপনা করা হয়েছে।'

এখানে কোনো স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা যায় কি না এমন প্রশ্নে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘ব্যাপারটি আমার জানা নেই। যদি কেউ তথ্য প্রমাণ দিয়ে আবেদন জানান তাহলে আমরা সিসিকের পক্ষ থেকে এটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেব।’

/এএন

Header Ad

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তারেক রহমান বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য আরও ২ বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কীভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়। সকল সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব প্রকৃত ও সত্যিকারের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।

Header Ad

২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা

ফাইল ছবি

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচদিনে আবহাওয়া পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

Header Ad

অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের

ছবি: সংগৃহীত

গত অক্টোবর মাসে দেশজুড়ে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৩৪টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮৭৫ জন। এরমধ্যে ৪৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮১৫ জন। একই সময়ে রেলপথে ৬৩টি দুর্ঘটনায় ৭৬ নিহত, ২৪ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ১৯টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ৩৬ জন আহত এবং ৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

এছাড়া এই সময়ে ১৩৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৩ জন নিহত, ২৩৯ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩০.৫৩ শতাংশ, নিহত ৩৪.৩১ শতাংশ ও আহত ২৯.৩২ শতাংশ।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। সংগঠনটি বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়, আঞ্চলিক, অনলাইন এবং ইলেক্ট্রনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথের সংগঠিত দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৭ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৪৯ চালক, ১৩৭ পথচারী, ৫১ পরিবহন শ্রমিক, ৭৩ শিক্ষার্থী, ১৮ শিক্ষক, ৭৬ নারী, ৬২ শিশু, ৫ চিকিৎসক, ৯ সাংবাদিক এবং ১৩ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে ৬ জন পুলিশ সদস্য, ৩ সেনা সদস্য, ১ আনসার সদস্য, ১২৪ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১১৭ জন পথচারী, ৫৮ জন নারী, ৫১ জন শিশু, ৪৯ জন শিক্ষার্থী, ৩২ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৫ জন শিক্ষক, ৪ জন চিকিৎসক, ৬ জন সাংবাদিক, ১৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৬৩১টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৪.৪১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২.৫০ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৮.৫৪ শতাংশ বাস, ১৭.৯১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৩.৯৬ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৬.৬৫ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬.০২ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪৯.৪৮ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৫.২৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৪.৭৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৯.৫১ শতাংশ বিবিধ কারণে, ০.২৫ শতাংশ ট্রেন যাববাহনে সংঘর্ষ। এবং চাকায় ওড়না পেছিয়ে ০.৭৫ শতাংশ।

সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— দেশের সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশের অনুপস্থিতি সুযোগে আইন লঙ্ঘন করে যানবাহনের অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় এবং অতি বৃষ্টির কারণে সড়কের মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়া; এসব গর্তের কারণে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে; জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টানিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানোকে।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশ হিসেবে বলা হয়েছে— জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মত ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন যথাযতভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা; উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেফটি অডিট করা; মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়ক দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার