টাকা খেয়ে কার্ড বাতিল, প্রতিবাদের বিক্ষোভ
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়নে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ১০ টাকা কেজি দরের (ফেয়ার প্রাইজ) চাল পেতে তালিকায় হত-দরিদ্রদের নাম থাকলেও টাকার বিনিময়ে পরিবর্তন করার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে কার্ড বঞ্চিতরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাত ৮টায় সদরের ঢোলারহাট বাজারে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।
কার্ড বঞ্চিতরা অভিযোগ করে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায় ও সংশ্লিষ্ট সদস্যরা স্বচ্ছল ও নিজেদের পছন্দের মানুষদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ১ হাজার করে টাকা নিয়ে আমাদের ২৬৬ জনের নাম বাদ দিয়েছেন। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তসহ অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান কার্ড বঞ্চিতরা।
এ সময় বিক্ষোভ ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক ইউপি সদস্য খগেন্দ্র নাথ, দিপেন চন্দ্র, সংরক্ষিত সদস্য কল্যানী রাণী, পরা নরত্তম, রহমত আলী, সহিদুর রহমানসহ আওয়ামী লীগ কর্মীরা।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক পরেশ শীল বলেন, অখিল চন্দ্র চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে একের পর এক অনিয়ম-দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ১০ টাকা মূল্যে চালের কার্ডেও তিনি ব্যাপক অনিয়ম করেছে। ৫০০-১ হাজার টাকার লোভ সামলাতে না পেরে তিনি ইউনিয়নের ২৬৬ জন দুঃস্থ মানুষে নাম বাদ দিয়ে স্বচ্ছল ও তার পছন্দের ব্যক্তিদের কার্ড দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন আওয়ামী লীগ করে আসছি। আমার অনেক গরিব, মাঠে কাজ করে সংসার চালাই, আমাদের নামও তিনি বাতিল করেছেন। কিন্তু চেয়ারম্যান বলছে, ‘আমি কারো কার্ড বাতিল করিনি, যা করেছে মেম্বার।’ আর মেম্বার বলছে- ‘আমি করিনি, চেয়ারম্যান করেছে।’ তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, তাহলে কি এমপি সাহেব কার্ডগুলো বাতিল করল? আমরা এর সুষ্ঠু তদন্তসহ অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
এদিকে, ইউপি চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায় কার্ডের বিনিময়ে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটি মহল এসব করছে। আমি টাকা খেয়ে কারো কার্ড বাতিল করিনি।
এমএসপি