নিখোঁজ স্কুলছাত্রের লাশ মিলল পুকুরে
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় নিখোঁজের একদিন পর পুকুরে মিলল দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রের মরদেহ। শুক্রবার (২৫ মার্চ) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার কেরামতপুর গ্রামের নিজ বাড়ির পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে তার পরিবারের সদস্যরা।
নিহতের নাম মো. সিপাত হোসের (১৬)। তিনি উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের কেরামতপুর গ্রামের কন্যার বাড়ির প্রবাসী আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে এবং স্থানীয় লর্ড লিওনার্ড চেশায়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনায়েত উল্যাহ মেম্বার নিহতের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) থেকে সিপাত নিখোঁজ ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে তাঁর পরিবার থেকে কাউকে কিছু জানানো হয়নি। শুক্রবার (২৫ মার্চ) ভোররাতে সিপাতের মা ফজরের নামাজ পড়তে উঠলে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বসতঘরের পাশে থাকা পুকুরে তার ছেলের মরদেহ ভাসতে দেখে। ওই সময় তার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে এসে পুকুর থেকে ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে।
চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনায়েত উল্যাহ মেম্বার আরও জানান, আমি সিপাতের মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে জানান তাঁর ছেলের ছ্যাইয়া রোগে (মৃগীরোগে) আক্রান্ত ছিল। কিন্তু স্থানীয়রা জানান, সিপাত এমন রোগে আক্রান্ত ছিল বলে তাদের জানা ছিল না। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য এলাকাবাসী বিষয়টি খতিয়ে দেখে ময়নাতদন্ত করার দাবি করেন বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে চরজব্বর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আবু হাসনাত জানান, খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। নিহতের স্বজনদের ভাষ্য, তিনি মৃগীরোগে আক্রান্ত ছিল। মরদেহটি থানায় নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
এসআই আরও জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।
এসআইএইচ