মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সমাজ কতটা ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে ইমামকে পর্যন্ত পালাতে হয়: তাজুল ইসলাম

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেছেন, একটা দেশের সমাজ কতটা ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে, কতটা পচে গেলে সরকারের পরিবর্তনের সাথে সাথে একটা রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীকে পালিয়ে যেতে হয়, মন্ত্রী পরিষদের সকল সদস্যকে পালাতে হয়, গোটা সংসদকে পালাতে হয়, গোটা পুলিশ বাহিনীকে পালাতে হয়, প্রত্যেকটা থানা থেকে পুলিশকে চলে যেতে হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরকে পালাতে হয়, মাদরাসা ও স্কুল-কলেজের সভাপতিকে পালাতে হয়, শেষ পর্যন্ত মসজিদের ইমামকে পর্যন্ত পালাতে হয়। একটা দেশকে কতটা দূষিত করা হলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এটা বুঝতে হবে।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দেওয়ানগঞ্জের সানন্দবাড়ী ডিগ্রি কলেজের সভাকক্ষে সানন্দবাড়ী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।

তাজুল ইসলাম বলেন, এ দেশের স্বাধীনতা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নাই। অতীতে এ ট্রাইব্যুনালে নিরীহ মানুষকে মিথ্যা অভিযোগে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বর্তমান ট্রাইব্যুনাল সঠিক ও নিরপেক্ষ বিচার করবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে শাসকদের পতন হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে হয়েছে। কিন্ত এবার ২০২৪ সালে যে নজির সৃষ্টি হয়েছে, ইতিহাসে দ্বিতীয় নজির খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমরা চাই না ভবিষ্যতে এমন ইতিহাস বাংলাদেশে আর রচিত হোক।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, রিপাবলিক শব্দটি অনেক গভীর অনেক বড়। ডেমোক্রেটিক রিপাবলিকে জনগণের ইচ্ছাটাই বড় কথা এবং জনগণের ইচ্ছাতেই সরকার নির্বাচিত হবে। জনগণ যেভাবে চাইবে সেভাবে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে। রাষ্ট্রে ভোট দেওয়ার বিধান থাকলেও একের পর এক সংসদ নির্বাচন হয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হয়েছে, উপজেলা নির্বাচন হয়েছে, মেয়র নির্বাচন হয়েছে, জনগণ ভোট দিতে পারেনি। যে সংবিধান আপনাকে আপনার ভোটের অধিকার দিতে পারে না, অথচ লেখা আছে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক হবে। সেই ইনস্টিটিউশন সমাজ এবং রাষ্ট্রের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম নয়। যেই প্রশাসন হওয়ার কথা ছিল নাগরিকের, সেই প্রশাসন এমন পর্যায়ে ঠেকেছিল যে একজন বিসিএস কর্মকর্তা তাকে কেন স্যার বলা হচ্ছে না, সেজন্য নাগরিককে গ্রেপ্তার করছে, হয়রানি করছে, মারধর করছে। এই যে মাইন্ডসেট হয়েছে, আমি সরকারি কর্মকর্তা মানেই আমি জনগণের মালিক হয়ে গেছি। এটা দেশের কত বড় যে ভ্রান্তি, এটা যে রাষ্ট্রের ক্ষতি, সেটা বুঝা যায় তাদের আচরণ দেখে।

পুলিশের আচরণ নিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, পুলিশ হওয়ার কথা জনগণের সবচেয়ে কাছের মানুষ। গোটা দুনিয়ার যে প্রান্তেই যান, বিশেষ কিছু দেশ ছাড়া পুলিশ মানেই হচ্ছে জনগণের বন্ধু। সেই পুলিশকে দেখলেই মানুষ ভয়ে পালিয়ে যায়, কোনো ঝামেলা আবার আসছে। সেই পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই আপনাকে গ্রেপ্তার করছে, আপনাকে গুম করছে, বছরের পর বছর, আট বছর, দশ বছর গোপন কারাগারে আটকে রাখছে। অথচ আমাদের দেশে একটা সুপ্রিম কোর্ট আছে, একটা সংবিধান আছে, বিচার বিভাগ আছে, আইন বিভাগ আছে, কিন্তু কোনো প্রতিকার নেই। এই রাষ্ট্রের পুরো কাঠামো ধসে পড়া ছিলো, এই রাষ্ট্র কোনোভাবেই টিকে থাকতে পারে না। যদিও এই রাষ্ট্র স্বাধীন হয়েছিল ১৯৭১ সালে অনেক রক্তের বিনিময়ে, সেই রাষ্ট্র ৫৩ বছরে সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারেনি। তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি, বরং একটা নিপীড়ক সমাজে পরিণত হয়েছে।

অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, সহকারী অ্যটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ তারিক উল ইসলাম, জেলা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট আমান উল্লাস আকাশ, অ্যাডভোকেট গোলাম নবী, অ্যাডভোকেট শওকত আলী প্রমুখ।

Header Ad

উত্তরা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গ্রেফতার

ঢাকা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আজ রাতে উত্তরা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ অনেকগুলো মামলা আছে। গ্রেফতারের পর কামরুল ইসলামকে মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। তখন থেকেই অনেক আওয়ামী লীগ নেতার মতো আত্মগোপনে ছিলেন কামরুল ইসলাম।

২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন কামরুল ইসলাম। এর আগে, তিনি ২০০৮ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।

Header Ad

নতুন করে কার প্রেমে মজলেন পরীমনি!

চিত্রনায়িকা পরীমনি। ছবি: সংগৃহীত

চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের পর দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়েই এখন চলছে পরীমনির সংসার। বর্তমানে ‘সিঙ্গেল মাদার’ হিসেবে সন্তানদের বড় করে তুলছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে প্রেম, বিয়ে কিংবা বিচ্ছেদের কারণে বহুবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। ফের পরীর প্রেমের খবরে তোলপাড় নেটদুনিয়া।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) ভোর রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন পরীমনি। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, আমি আবারও প্রেমে পড়েছি।’ সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন লাভ ও বাটারফ্লাই ইমোজি।

চিত্রনায়িকা পরীমনি। ছবি: সংগৃহীত

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, চলন্ত গাড়িতে কারও হাতের ওপর হাত রেখেছেন পরীমনি। যদিও নায়িকার পাশে থাকা পুরুষটির চেহারা প্রকাশ করেননি তিনি। ভিডিওটি দেখার পর থেকেই ভীষণ উচ্ছ্বসিত পরীমনির ভক্ত-অনুরাগীরা। প্রিয় নায়িকার জীবনে নতুন কারও আবির্ভাব যেন খুব স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন তারা।

নেতিবাচক মন্তব্যও ভিড় করেছে পরীমনির কমন্টেসবক্সে। কারণ, বছরজুড়েই নানান সাক্ষাৎকারে নায়িকার মুখে শোনা যায় নতুন কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো তার পক্ষে সম্ভব না। দাম্পত্য জীবনে যে কষ্ট সহ্য করেছেন, যে খারাপ সময় পেরিয়ে এসেছেন সেই কাঁটা রাস্তায় আর পা ফেলবেন না তিনি। আর কোনো সম্পর্কের মায়ায় নিজেকে জড়াতে চান না পরীমনি।

 

ডিভোর্সের পর থেকে বারবার একটা কথাই তিনি জানিয়েছিলেন যে, ছেলে-মেয়ে তার দুটি ডানা। নতুন সম্পর্কের দরকার নেই পরীর। এমনকি ওই মানুষটির ছায়াও আর মাড়াতে চান না তিনি। অথচ বছর না পেরোতেই সুর পাল্টে ঠিকই নতুন প্রেমে মজেছেন এই নায়িকা।

গত বছর দাম্পত্য জীবনের টানাপোড়েনে ভেঙে যায় রাজ-পরীমনির সংসার। বিচ্ছেদের পর থেকে ছেলেকে নিয়ে একাই দিন পার করছিলেন তিনি। এসবের মাঝেই তার জীবনে আগমন ঘটে ছোট্ট আরেক পরীর। যাকে নিজের মেয়ের পরিচয়ে দত্তক নেন পরীমনি। বর্তমানে দুই সন্তানকে নিয়ে বেশ সুখেই জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি কাজও করছেন তিনি। এবার নায়িকার জীবনে এসেছে ভালোবাসার নতুন মানুষ।

Header Ad

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তিতে বাধা থাকছে না

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের সঙ্গে ২০১৫ সালে ছিন্ন করা সম্পর্ক পুনরায় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তিতে আর কোনো বাধা রইলো না।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা।

তিনি বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের যে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ছিল তা গত বুধবারের সিন্ডিকেট সভায় প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উপাচার্য বিষয়টি অনুমোদন দিলে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক সম্পর্ক ছিল সেগুলো আবারও চালু হবে। পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সভা সেমিনার করতে যেতে পারবে।

গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় পাকিস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ঢাবির সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে জোরদার করার কথা বলেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

উত্তরা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গ্রেফতার
নতুন করে কার প্রেমে মজলেন পরীমনি!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তিতে বাধা থাকছে না
ভারতীয় চ্যানেল ‘রিপাবলিক বাংলা’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট
পুলিশ ভেরিফিকেশনে রাজনৈতিক পরিচয় না দেখার সুপারিশ
পা‌কিস্তানের হাইক‌মিশনারের সেল‌ফিতে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো হবে শহীদদের নামে: তারেক রহমান
আবারও শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হলেন হরিণী অমরাসুরিয়া
শেখ হাসিনার নতুন ফোনালাপ ফাঁস, প্রবাসীদের নিয়ে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র!
এস আলমের শেয়ার বিক্রি করে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায় করবে ইসলামী ব্যাংক
অন্তর্বর্তী সরকার যত বেশি সময় নেবে, তত বেশি সমস্যা তৈরি হবে: মির্জা ফখরুল
ট্রেলারেই রেকর্ড গড়ল ‘পুষ্পা ২’
হাতজোড় করে দোয়া চাইলেন জুনাইদ আহমেদ পলক
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে উপদেষ্টা হাসান আরিফ, করলেন কবর জিয়ারত
ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা নেই: প্রধান উপদেষ্টা
সরকার চাইলে তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে সহায়তা করবে যুক্তরাজ্য
সৌদি আরবে কনসার্ট করবেন জেমস
৩০ দিনের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
মৃত্যুর আগে ফেসবুক লাইভে অডিও বার্তা, পত্নীতলায় সুমন হত্যা ঘিরে রহস্য
গিলেস্পিই থাকছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ