মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সমাজ কতটা ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে ইমামকে পর্যন্ত পালাতে হয়: তাজুল ইসলাম

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেছেন, একটা দেশের সমাজ কতটা ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে, কতটা পচে গেলে সরকারের পরিবর্তনের সাথে সাথে একটা রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীকে পালিয়ে যেতে হয়, মন্ত্রী পরিষদের সকল সদস্যকে পালাতে হয়, গোটা সংসদকে পালাতে হয়, গোটা পুলিশ বাহিনীকে পালাতে হয়, প্রত্যেকটা থানা থেকে পুলিশকে চলে যেতে হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরকে পালাতে হয়, মাদরাসা ও স্কুল-কলেজের সভাপতিকে পালাতে হয়, শেষ পর্যন্ত মসজিদের ইমামকে পর্যন্ত পালাতে হয়। একটা দেশকে কতটা দূষিত করা হলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এটা বুঝতে হবে।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দেওয়ানগঞ্জের সানন্দবাড়ী ডিগ্রি কলেজের সভাকক্ষে সানন্দবাড়ী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।

তাজুল ইসলাম বলেন, এ দেশের স্বাধীনতা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নাই। অতীতে এ ট্রাইব্যুনালে নিরীহ মানুষকে মিথ্যা অভিযোগে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বর্তমান ট্রাইব্যুনাল সঠিক ও নিরপেক্ষ বিচার করবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে শাসকদের পতন হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে হয়েছে। কিন্ত এবার ২০২৪ সালে যে নজির সৃষ্টি হয়েছে, ইতিহাসে দ্বিতীয় নজির খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমরা চাই না ভবিষ্যতে এমন ইতিহাস বাংলাদেশে আর রচিত হোক।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, রিপাবলিক শব্দটি অনেক গভীর অনেক বড়। ডেমোক্রেটিক রিপাবলিকে জনগণের ইচ্ছাটাই বড় কথা এবং জনগণের ইচ্ছাতেই সরকার নির্বাচিত হবে। জনগণ যেভাবে চাইবে সেভাবে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে। রাষ্ট্রে ভোট দেওয়ার বিধান থাকলেও একের পর এক সংসদ নির্বাচন হয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হয়েছে, উপজেলা নির্বাচন হয়েছে, মেয়র নির্বাচন হয়েছে, জনগণ ভোট দিতে পারেনি। যে সংবিধান আপনাকে আপনার ভোটের অধিকার দিতে পারে না, অথচ লেখা আছে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক হবে। সেই ইনস্টিটিউশন সমাজ এবং রাষ্ট্রের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম নয়। যেই প্রশাসন হওয়ার কথা ছিল নাগরিকের, সেই প্রশাসন এমন পর্যায়ে ঠেকেছিল যে একজন বিসিএস কর্মকর্তা তাকে কেন স্যার বলা হচ্ছে না, সেজন্য নাগরিককে গ্রেপ্তার করছে, হয়রানি করছে, মারধর করছে। এই যে মাইন্ডসেট হয়েছে, আমি সরকারি কর্মকর্তা মানেই আমি জনগণের মালিক হয়ে গেছি। এটা দেশের কত বড় যে ভ্রান্তি, এটা যে রাষ্ট্রের ক্ষতি, সেটা বুঝা যায় তাদের আচরণ দেখে।

পুলিশের আচরণ নিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, পুলিশ হওয়ার কথা জনগণের সবচেয়ে কাছের মানুষ। গোটা দুনিয়ার যে প্রান্তেই যান, বিশেষ কিছু দেশ ছাড়া পুলিশ মানেই হচ্ছে জনগণের বন্ধু। সেই পুলিশকে দেখলেই মানুষ ভয়ে পালিয়ে যায়, কোনো ঝামেলা আবার আসছে। সেই পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই আপনাকে গ্রেপ্তার করছে, আপনাকে গুম করছে, বছরের পর বছর, আট বছর, দশ বছর গোপন কারাগারে আটকে রাখছে। অথচ আমাদের দেশে একটা সুপ্রিম কোর্ট আছে, একটা সংবিধান আছে, বিচার বিভাগ আছে, আইন বিভাগ আছে, কিন্তু কোনো প্রতিকার নেই। এই রাষ্ট্রের পুরো কাঠামো ধসে পড়া ছিলো, এই রাষ্ট্র কোনোভাবেই টিকে থাকতে পারে না। যদিও এই রাষ্ট্র স্বাধীন হয়েছিল ১৯৭১ সালে অনেক রক্তের বিনিময়ে, সেই রাষ্ট্র ৫৩ বছরে সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারেনি। তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি, বরং একটা নিপীড়ক সমাজে পরিণত হয়েছে।

অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, সহকারী অ্যটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ তারিক উল ইসলাম, জেলা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট আমান উল্লাস আকাশ, অ্যাডভোকেট গোলাম নবী, অ্যাডভোকেট শওকত আলী প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা যাবে না : জামায়াত আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা উচিত নয়। তিনি সোমবার রাজধানীর মগবাজারে দৈনিক সংগ্রামের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন।

তিনি অভিযোগ করেন যে, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে অনেকেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। প্রকৃত সত্য প্রকাশ পায়নি এবং এখনো কিছু ক্ষেত্রে সেই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে জামায়াত নির্যাতিত সাংবাদিকদের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন।

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, আওয়ামী লীগ শহীদের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছিল। তাদের সংজ্ঞা অনুযায়ী, যে কারো শহীদ হওয়ার স্বীকৃতি নির্ধারিত হতো। তিনি দাবি করেন, ফ্যাসিবাদী শাসনের সময়ে জাতি এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর তাণ্ডব চালানো হয়েছে। যদি সাংবাদিকরা তাদের প্রকৃত দায়িত্ব পালন করতেন, তাহলে ফ্যাসিবাদী শাসন জাতির ওপর এত শক্তভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারতো না।

তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের কাজ সত্য প্রকাশ করা। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলাই সাংবাদিকতার মূল নীতি। কিন্তু ফ্যাসিবাদী শাসন এই নীতিকে ব্যাহত করেছিল, যার কিছু প্রভাব এখনো বিদ্যমান।

Header Ad
Header Ad

রাজশাহীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চিটাগং কিংসের পঞ্চম জয়

ছবি: সংগৃহীত

চিটাগং কিংসের জন্য আজকের জয় ছিল স্বস্তির। তারা রাজশাহীকে ১১১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে পঞ্চম জয় নিশ্চিত করেছে। চট্টগ্রামে প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেলেও পরবর্তীতে দুইটি হারে জয়ের জন্য মুখিয়ে ছিল তারা।

আজকের ম্যাচে তাদের বোলার এবং ফিল্ডারদের কৃতিত্বের পাশাপাশি, রাজশাহীর ফিল্ডারদের দুর্বলতা ম্যাচের ফলাফলকে প্রভাবিত করেছে। চিটাগংয়ের ব্যাটসম্যানদের একাধিক সহজ ক্যাচ রাজশাহী ফিল্ডাররা ফেলে দেন, যার মধ্যে তাসকিন আহমেদের বলেই দুটি ক্যাচ পড়েছে।

রাজশাহী আজ অধিনায়ক পরিবর্তন করে খেলেছিল, কিন্তু দলের ফিল্ডিংয়ের অবস্থা তাদের জন্য বিপদজনক ছিল। সানজামুল ইসলাম ও রায়ান বার্ল ইনিংসের প্রথম ও ১৯তম ওভারে সহজ ক্যাচ ফেলেন, এবং বার্ল হাঁটুর চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। এর ফলে রাজশাহীকে আরও বিপদে ফেলেছিল।

চিটাগংয়ের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের জন্যও ছিল কিছুটা ভাগ্য, কারণ তিনি দুটি জীবন পেয়েছেন। তাসকিন ও বার্লের ক্যাচ ফেলায় মিঠুন তার ইনিংসে ২০ বল খেলে ৩২ রান করেন। অপরদিকে, চিটাগংয়ের ব্যাটসম্যান নাঈম উদযাপন করেছেন নিজের ফিফটিতে, যার মধ্যে তিনটি ছক্কা ও পাঁচটি চার ছিল।

বিপরীতে, রাজশাহীর ব্যাটিং খুবই ধীর গতিতে চলছিল এবং তারা ১৯১ রানের টার্গেট তাড়ায় মাত্র ৮০ রানে অল আউট হয়ে যায়। চিটাগংয়ের বোলাররা বিশেষ করে শরীফুল ইসলাম ও নাঈম দুর্দান্ত বোলিং করেন এবং রাজশাহীর ব্যাটসম্যানদের চাপের মধ্যে ফেলেন।

এই জয়ে চিটাগং কিংস দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে, যেখানে রাজশাহী ষষ্ঠ হার তুলে নিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ

ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ করেছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা, মাটিরাঙা, রামগড়, এবং দীঘিনালা উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এই অভিযানে দুটি ইট ভাটা বন্ধ করা হয়, যেগুলোর অনুমোদন ছিল না। এর মধ্যে দীঘিনালায় দুটি ভাটাকে বন্ধ করার পাশাপাশি জরিমানা করা হয়। কর্ণফুলী ব্রিকস ও ফোর বি ভাটাকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়, এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত থেকে আগুন নিভিয়ে দেন।

রামগড় উপজেলায়, অনুমোদনহীন ৫টি ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে প্রতিটি ভাটাকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়, যার মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এসব ভাটার চিমনি ও কাঠ জব্দ করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন জানায়, এ অভিযানটি একদিনেই ১৬টি অবৈধ ভাটা বন্ধ এবং প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।

এর আগে ২৩ ডিসেম্বর ১৫টি ভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছিল, কিন্তু কিছু ভাটা মালিক এসব ভাটা পুনরায় চালু করে। সোমবারের অভিযানে তাদের বন্ধ করা হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী এসব ভাটাগুলো বন্ধ করা হয়েছে এবং জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা যাবে না : জামায়াত আমির
রাজশাহীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চিটাগং কিংসের পঞ্চম জয়
খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ
ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে আওয়ামী লীগের উচ্ছ্বাস কতটা বাস্তবিক?
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন: সফল আয়োজনের লক্ষ্যে তিনটি কমিটি গঠন
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটার ফলাফল স্থগিত
ফেসবুকে মাশরাফির মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন, যা জানা গেল
রিসোর্ট থেকে ১৬ ছাত্র-ছাত্রী আটক, কাজী ডেকে ৪ যুগলের বিয়ে
'সুগার মাম্মি' হতে চান অভিনেত্রী হুমায়রা সুবাহ
নমরুদের মতো ক্ষমতা ছিলো শেখ হাসিনার: রিজভী
১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন
৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ: বাহার ও মেয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সরকারি-বেসরকারি চাকরি পাবেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা, সিভি আহ্বান
নিজে প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ন করে দলের কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন তারেক রহমান
বাংলাদেশিদের বের করে দিন, হাসিনাকে দিয়ে শুরু করুন: শিবসেনা নেতা
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে টিস্যু পেপারে চিঠি লিখলেন দীপু মনি
সিলেটকে ৬ রানে হারিয়ে ঢাকা ক্যাপিটালসের রোমাঞ্চকর জয়
সমস্যা পোশাকে নয়, সিস্টেমে: সারজিস আলম
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করতে পারে রাষ্ট্র, মন্ত্রণালয় নয়’
মেজর ডালিমের পর এবার সাংবাদিক ইলিয়াসের টকশোতে আসছে কর্নেল রাশেদ চৌধুরী