জামালপুর কারাগারে বন্দিদের বিদ্রোহ, নিহত ৬
ছবি: সংগৃহীত
জামালপুর জেলা কারাগারে বন্দিদের একটি গ্রুপ বিদ্রোহ করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে করেছে সেনাবাহিনী এবং কারা কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় কারাগারের জেলার, কারারক্ষী ও বন্দীসহ ১৯ জন আহত হয়েছেন। জেলারের কার্যালয়, হাসপাতাল, আটটি ওয়ার্ডে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বন্দীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (৯ আগষ্ট) সকালে জেলার আবু ফাতাহ্ কারাগারের বাইরের ফটকে সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।
নিহতরা হলেন আরমান, রায়হান, শ্যামল, ফজলে রাব্বি বাবু, জসিম ও রাহাত। তারা সবাই কারাবন্দি। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) পাঁচজন এবং শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক বন্দি মারা গেছে বলে জানা গেছে। তাদের মরদেহ জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় তিন কারারক্ষী গুরুতর আহত হয়েছে জানিয়ে জেলার আবু ফাতাহ্ বলেন, একজন মুমূর্ষু অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আবু ফাতাহ্ আরও বলেন, জামালপুর কারাগারের ভেতরে বন্দিদের মধ্যে দুটি গ্রুপ আছে, এদের এক গ্রুপ বিদ্রোহ করে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। অপর গ্রুপ তাদেরকে বাঁধা দিলে তাদের নিজেদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। বিদ্রোহী গ্রুপের সদস্যরা জেলের ভেতরের একটা গেট ভেঙে ফেলে, বিভিন্ন কক্ষে আগুন ধরিয়ে দিয়ে, কারারক্ষীদের জিম্মি করে পালানোর চেষ্টা করে।
এ সময় আমাকেও বিদ্রোহী বন্দিরা জিম্মি করে ফেলার চেষ্টা করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব ঘটনা ঘটে, পরে দ্রুত সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে।
ছয় বন্দির নিহতের ঘটনায় তিনি বলেন, দুই গ্রুপে মারামারি হয়েছে। তারপর নিরাপত্তার জন্য গুলি করা হয়েছে। এরা কিভাবে মারা গেছে, ময়নাতদন্ত এবং সুরতহাল প্রতিবেদনে জানা যাবে।
এখন অবস্থা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, রাতে কারারক্ষীসহ আমরা ভেতরে গিয়ে পাঁচটি লাশ উদ্ধার করি, এরপর আরেকজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। বন্দিদের জিম্মি দশায় থাকা অবস্থায় তিন কারারক্ষী আহত হলেও বাকিদের অক্ষত আছেন।