সাবান-লেবু দিয়ে হাত ধুতে বললেন নির্বাচন কর্মকর্তা
ছবি: সংগৃহীত
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের এবারের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। প্রতিটি ভোটকক্ষে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সামনে ভ্যাসলিনের ছোট কৌটা ও টিস্যুর বাক্স রাখা আছে। আঙুলের ছাপ মেলাতে ভোটারের আঙুলে ভ্যাসলিন ঘষছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
অনেকটা সময় ঘষাঘষির পরও অনেক ভোটার, বিশেষত প্রবীণ ও নারীদের আঙুলের ছাপ মিলছে না। ভুক্তভোগীদের হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে, লেবু দিয়ে কচলে দুপুরের পর আবার কেন্দ্রে আসার অনুরোধ করেছেন কর্মকর্তারা।
শনিবার (৯ মার্চ) সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি মোটামুটি থাকলেও ভোট গ্রহণের গতি বেশ ধীর। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার বাড়ছে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বলছেন, ইভিএম মেশিনে আঙুলের ছাপ মেলাতেই বেশি সময় চলে যাচ্ছে। গোপন কক্ষে ইভিএমে ভোট দিতে ভোটাররা সময়ও বেশি নিচ্ছেন।
নারী কেন্দ্রে ভোট দিতে না পেরে ফিরে যাওয়া কয়েকজন জানিয়েছেন, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা দীর্ঘসময় ধরে তাদের আঙুলের ছাপ মেলানোর চেষ্টা করেছেন। ভ্যাসলিন দিয়ে অনেকক্ষণ আঙুল ঘষলেও কাজ হয়নি।
নির্বাচনে এক কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, একেকজন ভোটারের আঙুলের ছাপ মেলাতে অনেক সময় চলে যাচ্ছে। এভাবে চললে ভোট কত পড়বে বোঝা যাচ্ছে না। এ জন্য অনেককে দুপুরে আবার আসতে বলতে হচ্ছে।
ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে অন্যান্য নির্বাচনী সামগ্রীর সঙ্গে ভ্যাসলিন ও টিস্যু দেওয়া হয়েছে। ইভিএমের ব্যবহার সম্পর্কে ভোটাররা পুরোপুরি জানেন না। এর ফলে দীর্ঘ সময় তাদের সারিতে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
তারা বলেন, অনেক ভোটার গোপন কক্ষে যাওয়ার পর বুঝতে পারছেন না, কী করবেন। সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং অফিসাররা বাইরে থেকে নির্দেশনা দিচ্ছেন কীভাবে ভোট দিতে হবে। গোপন কক্ষ থেকে একজন বের না হওয়া পর্যন্ত অন্য ভোটারের কার্যক্রম শুরু করতে পারছেন না।
ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনে ইভিএম নিয়ে ভোগান্তির কথা জানালেন সদ্য সাবেক মেয়র ইকরামুল হক। তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে ভোগান্তি হচ্ছে। ভোটারদের যেন বারবার ঘুরতে না হয়, সেটা দেখতে হবে।