নেত্রকোনায় নেশার টাকার জন্য মাকে নির্যাতন
নেশার টাকা দিতে অস্বীকার করায় নিজের মা ললিতা আক্তারকে (৩৮) শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে নেশাগ্ৰস্ত যুবক সাগর মিয়া(২৫)। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে এলে সাগর প্রতিবেশী নারী ফুলেছা আক্তার (৬০)কেও কুপিয়ে আহত করে। এ বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) রাতে জেলার মদন উপজেলার মদন সদর ইউনিয়নের কুলিয়াটি পশ্চিম পাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা সাগরকে গাছের সঙ্গে বেধে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অপরদিকে আহত ফুলেছা আক্তারকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিং মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে সাগর বিয়ে করে। কিন্তু মাদকাসক্ত থাকায় স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। এরপর থেকে বেপরোয়া হয়ে নেশার টাকার জন্য প্রায় সময়ই মা ললিতা আক্তারকে মারধর করত সে। তিন সপ্তাহ আগেও নেশার টাকার জন্য মাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে সাগর। এ সময় প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলেও বেঁচে যায় মা। গতকাল সন্ধ্যায় ফের নেশার টাকার জন্য মাকে মারধর শুরু করে সাগর। এতে প্রতিবেশী ফুলেছা আক্তার বাঁধা দিলে তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য হেলিম মিয়া বলেন, ‘সাগরের বাবার বাড়ি ঢাকায়। তার বাবাকে এলাকার কেউ চিনে না। সে তার মায়ের সঙ্গে খালার বাড়ি কুলিয়াটি দক্ষিণ পাড়া গ্রামে থাকে। সাগর মাদকাসক্ত থাকায় বেপরোয়া হয়ে চলাফেরা করছে।’
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মাদ তাওহীদুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘সাগরকে আটক করে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। আহত ফুলেছা আক্তারকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এসআইএইচ