মানবতাবিরোধী মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নেত্রকোনার পূর্বধলার আব্দুল খালেক তালুকদার (৭৩) কে গ্রেপ্তার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট বাংলাদেশ পুলিশের একটি টিম। বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) দিবাগত রাতে ঢাকার কেরানিগঞ্জের আটি বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল খালেকের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার খারছাইল গ্রামে। আজ বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে গ্রেপ্তারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন এন্টি টেররিজম ইউনিট হেড কোয়াটারের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মো. জিসান আহমেদ।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এন্টি টেররিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দিন আহমেদের দিক নির্দেশনায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকার কেরানিগঞ্জের আটি বাজার এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল খালেক তালুকদার ১৯৭১ সালের দুপুর ১টায় তার সঙ্গীয় অপর ৬জন রাজাকার বাহিনী নিয়ে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার বাড়হা গ্রামের আব্দুল খালেককে গুলি করে হত্যা করে তার মৃতদেহ কংস নদীতে ভাসিয়ে দেয়।
২০১৩ সালে তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মামলা করেন শহীদ আব্দুল খালেকের ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির। ওই মামলার পলাতক আসামি ছিলেন আব্দুল খালেক।
দীর্ঘ সাত বৎসর তিনি পলাতক থাকার পর তার অনুপস্থিতিতে ট্রাইব্যুন্যাল ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আব্দুল খালেকসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবুন্যাল) আইন ১৯৭৩ এর ৩ ধারায় হত্যা-গণহত্যা, নির্যাতন, লুট, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী সাতটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
এতে আব্দুল খালেকসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। খালেক তালুকদার একাত্তরে মুসলিম লীগের কর্মী হিসেবে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরবর্তীতে বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
এএজেড