প্রেমিকার অভিমান ভাঙাতে প্রেমিকের ফেস্টুন
জামালপুর জেলার মেলান্দহে প্রেমিকার অভিমান ভাঙাতে মেলান্দহে জাহানারা লতিফ মহিলা কলেজ ও কারিগরি মহিলা কলেজের সামনে ফেস্টুন টাঙিয়েছেন এক প্রেমিক। অভিমান ভাঙাতে কলেজের সামনে 'সরি' লিখে ফেস্টুন টানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি রাতের আঁধারে কে বা কারা এ ফেস্টুন টানিয়েছে, তা তারা জানেন না। যত দ্রুত সম্ভব ফেস্টুনগুলো সরিয়ে ফেলা হবে।
এদিকে প্রেমিকের এমন কাণ্ডে এলাকাজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুর থেকে বেশ কয়েকটি স্থানে টাঙানো ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির দাবি রাতের কোনো এক সময় প্রেমিক মেলান্দহের জাহানারা লতিফ মহিলা কলেজ ও তার পাশেই মেলান্দহ কারিগরি মহিলা কলেজে গেটের সামনে তিনটি ফেস্টুন টাঙিয়েছেন।
জাহানারা লতিফ মহিলা কলেজে গিয়ে দেখা যায়, কলেজের সাইনবোর্ডের ওপরে গাছের সঙ্গে টাঙানো হয়েছে ফেস্টুন। এতে লেখা হয়েছে 'SORRY SORRY' পাশেই বিস্ময় চিহ্ন দিয়েও লেখা হয়েছে 'Sorry!'। এ কলেজের পাশেই মেলান্দহ কারিগরি মহিলা কলেজের সাইনবোর্ডের পাশে বড় একটি গাছেও টাঙানো হয়েছে দুটি ফেস্টুন। এতে লেখা হয়েছে 'Please Come Back to my life' ও 'I Love You'। অপরটিতে লেখা হয়েছে 'I Miss You Everyday' ও 'I miss you Every Time'। এমন ব্যতিক্রমী কাণ্ডে অবাক সাধারণ শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে মহিলা কলেজের একাধিক শিক্ষার্থীরা বলছেন, 'প্রেমিকার রাগ অভিমান ভাঙাতেই প্রেমিক এমন ব্যতিক্রমী উপায়ে দুঃখ প্রকাশ করে তার জীবনে প্রেমিকাকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন'।
স্থানীয় কামরুল হাসান জানান, এমন ঘটনা এর আগে কখনো দেখিনি। প্রেমিকা হয়তো কলেজেই পড়ে। সেই জন্যই এ কলেজ গেটের সামনে ফেস্টুন টাঙিয়ে দিয়েছে। যাতে প্রেমিকার নজরে পড়ে অভিমান ভাঙে।
ফাতেমা জান্নাত নামের শিক্ষার্থী বলেন, 'আজ সকালে কলেজে আসতেই দেখি রাস্তায় বড় করে লেখা সরি। এর পাশে গেটের সামনে সাইনবোর্ডের ওপরে ফেস্টুনে লেখা 'সরি! সরি!'
কলেজের পাশে আছাদ নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, 'রাতে দোকান থেকে রাস্তা দিয়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় দেখি দুই ছেলে গাছের ওপরে কি যেন লাগাচ্ছে। আমাকে দেখে নিচে নেমে পড়ে। পরে সকালে আসার সময় দেখি এ কাণ্ড'।
জাহানারা লতিফ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ খায়রুল ইসলাম বলেন, কলেজে ঢোকার সময় ভালো করে লক্ষ করিনি। বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। ফেস্টুনের লেখা দেখে বোঝা যাচ্ছে হয়তো দুজনের মাঝে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না, রাগ অভিমান ভাঙাতেই এমনটা করেছে। রাতের আঁধারে কলেজ গেটের সামনে এ ফেস্টুনগুলো লাগানো হয়েছে। কলেজ গেটের সামনে যত ফেস্টুন আছে সব খুলে ফেলা হবে।
এএজেড