সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

৫০ বছর ধরে বাঁশের সাঁকো আর খেয়া নৌকাই যাদের ভরসা

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের কোনাপাড়া-কাউরাট গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে স্রোতস্বিনী সাইডুলি নদী। এই নদীকে কেন্দ্র করে এখানকার কৃষি পণ্য উৎপাদন স্থানীয় ও দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখে। উৎপাদিত কৃষি পণ্য স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যায় দেশের নানা প্রান্তে। নদীর দুই তীরে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল। অথচ সাইডুলি নদীর উপর ৫০ বছরেও স্থাপিত হয়নি একটি সেতু। সেতু না থাকায় অন্তত ১২টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে নদী পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বিশেষ করে গ্রামগুলোর স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে সারা বছর নদী পারাপার করতে হয় খেয়া নৌকার মাধ্যমে। এতে প্রায়ই ঘটে নৌকাডুবির ঘটনা। শিক্ষার্থীদের বই, জামা-কাপড় ভিজে যেতে হয় বিদ্যালয়ে। এ ছাড়াও সেতু না থাকায় নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোর কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য স্থানীয় হাটবাজারে পরিবহনের মাধ্যমে দ্রুত আনা-নেওয়া করতে না পারায় কৃষকরা বঞ্চিত হন ন্যায্য মূল্য থেকে।

জানা যায়, নওপাড়া ইউনিয়নের বহুলী গ্রাম দিয়ে সাইডুলি নদী প্রবেশ করে একই ইউনিয়নের ইটাচকি, শিমুলাটি, গনিতাশ্রম, কাউরাট কোনাপাড়া, পাঁচহার হয়ে পার্শ্ববর্তী কান্দিউড়া ইউনিয়নের গোগবাজার ত্রিবেনী ঘাটে গিয়ে মিলিত হয়েছে। যে কারণে নওপাড়া ইউনিয়নের কোনাপাড়া ও পাঁচহার গ্রাম দুটির ভৌগোলিক অবস্থান নদীর পূর্ব পাশে।

এ ছাড়াও আশপাশে সড়ক যোগাযোগ না থাকায় কোনাপাড়া খেয়াঘাট পার হয়ে ইউনিয়নটির ইটাচকি, শিমুলাটি, গনিতাশ্রম, কাউরাট, কোনাপাড়া, পাঁচহার, কুতুবপুর এবং পার্শ্ববর্তী মদন উপজেলার কয়েকটি গ্রামসহ অন্তত ১২টি গ্রামের মানুষকে দৈনন্দিন কাজে সাইডুলি নদী পারাপার করতে হয়।

সম্প্রতি সরেজমিনে গেলে সাইডুলি নদীতে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের চিত্র চোখে পড়ে। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, নদীতে সেতু না থাকায় এসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। তাদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে যোগাযোগে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিশেষ করে কৃষি কাজে আধুনিক যন্ত্রপাতি, সার-ওষুধ পরিবহন, জমির ফসল কেনা-বেচা ও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসা সেবা থেকেও বঞ্চিত হতে হচ্ছে তাকে।

তারা আরও জানান, এলাকাবাসীকে যেকোনো প্রয়োজনে নদীর পশ্চিম পাশে যেতে হলে বর্ষায় নদী সাঁতরে বা খেয়া নৌকা দিয়ে পারাপার করতে হয়। আর শুকনা মৌসুমে নদীর পানি কিছুটা কমে গেলে নদীতে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে পারাপার হতে হয়। এতে তারা পিছিয়ে পড়ছেন নাগরিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে।

কোনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম জানান, শুকনা মৌসুমে নদীতে পানি কম থাকে। তাই আমরা বাঁশের একটি সাঁকো তৈরি করে কোনোমতে নদী পারাপার হই। আমাদের দুঃখ-কষ্ট দেখার তো কেউ নেই। নির্বাচনের সময় নদীতে সেতু করে দেবেন বলে সবাই ভোট খুঁজতে আসে। এভাবেই চলে গেল ৫০ বছর। সেতু আর হয় না।

তিনি বলেন, বর্ষাকালে নদীতে কমপক্ষে ৩০ ফুটের মতো গভীর পানি থাকে। স্রোত থাকে প্রচুর। তখন ঝুঁকি নিয়ে খেয়া দিয়ে আমরা নদী পার হই। এ সময় আমাদের ছেলে-মেয়েরা সময়মতো স্কুল-কলেজে যেতে পারে না। এ কারণে আমাদের ফসল ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে পারি না। তাই দ্রুত নদীতে একটি সেতু নির্মাণের জন্য এমপিসহ সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

কাউরাট গ্রামের এক কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী রহমত মিয়া বলেন, পড়াশোনার তাগিদে প্রতিদিনই আমার মতো শত শত ছাত্র-ছাত্রীকে এই নদী পার হতে হয়। নদীতে সেতু না থাকায় আমরা সব সময় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছি। অন্তত আমাদের কষ্টের কথা ভেবে হলেও অচিরেই যেন সরকার এখানে একটা সেতু নির্মাণ করে দেয়।

এ ব্যাপারে কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, সাইডুলি নদীর কাউরাট-কোনাপাড়া এলাকায় একটি সেতু নির্মাণের জন্য সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল মহোদয়ের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুটি নির্মাণের অনুমোদন পাওয়া যাবে।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার

ছবি: সংগৃহীত

চূড়ান্ত বাঁশি বাজার ঠিক আগে এক উত্তপ্ত ঘটনার জন্ম দেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার। এরিক গার্সিয়ার বিরুদ্ধে কিলিয়ান এমবাপের করা একটি ফাউলের প্রতিবাদে বেঞ্চে থাকা রুদিগার ক্ষিপ্ত হয়ে রেফারির দিকে আইস ব্যাগ ছুঁড়ে মারেন, যার ফলে তিনি সরাসরি লাল কার্ড দেখেন।

ঘটনা সেখানেই শেষ হয়নি। লাল কার্ড দেখার পর রুদিগার আরও উত্তেজিত হয়ে রেফারির দিকে তেড়ে যান, তবে ক্লাবের টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য তাকে আটকান। পরে মাথা ঠাণ্ডা হলে রুদিগার নিজের আচরণের জন্য অনুতপ্ত হন এবং রোববার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেফারি দে বুরগোস বেঙ্গোইচিয়ার কাছে ক্ষমা চান।

নিজের ভুল স্বীকার করে রুদিগার লেখেন, "গতরাতের আচরণের কোনো যুক্তি নেই। আমি সত্যিই দুঃখিত, এবং রেফারির কাছেও ক্ষমা চাইছি।" একইসঙ্গে তিনি নিজের পারফরম্যান্সের দুর্বলতার কথা স্বীকার করেন এবং দলের দুর্দান্ত দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন।

রেফারির ম্যাচ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রুদিগার টেকনিক্যাল এরিয়া থেকে একটি বস্তু ছুঁড়েছিলেন, যদিও তা রেফারির শরীরে লাগেনি। এছাড়া লাল কার্ড প্রদর্শনের পর তাকে শান্ত করতে টেকনিক্যাল স্টাফদের এগিয়ে আসতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহারের মাধ্যমে বরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল। ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার দিতে আসা শিক্ষার্থীদের মাঝে নোটবুক, কলম, পানি, বিস্কুট, সেলাইন এবং প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ও মেডিসিন সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি অভিভাবকদের বিশ্রামের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা হয়।

এ সময় নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের মিশুক ও আকিব জাবেদ রাফি, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সেকান্দার, গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক মানিউল আলম পাঠান শান্ত, সদস্য ইমদাদুল হক ও হাসিবুর রহমান সাকিব, মহসিন হল শাখার দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুজার গিফারী ইফাত, সহ ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক রায়হানা পারভীন, সহ-আইন সম্পাদক সাফওয়ান হাসান তামিম, কর্মী কাজী আবির, আব্দুল্লাহ অনন্ত, লুৎফুর কবির রানা, ক্রীড়া সম্পাদক (জসীমউদ্দিন হল শাখা) আব্দুল ওহেদ, কর্মী মাসুম বিন বশির এবং নাঈম চৌধুরী।

ছাত্রদল নেতারা নবীন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সফলতা কামনা করেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। একইসঙ্গে তাদের দুই সহকারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও টেন্ডার সংক্রান্ত তদবির বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন এই দুই উপদেষ্টার সহকারীরা। অভিযোগ রয়েছে, মোয়াজ্জেম হোসেন প্রায় ৪ শত কোটি টাকা আয় করেছেন। একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবী ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযুক্তদের পেছনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিল বলেই তারা এতদূর যেতে পেরেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে—তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কি দায় এড়াতে পারেন?

সংগঠনটি বলেছে, নৈতিক দায়বদ্ধতা ও জনমনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক ইতোমধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা