শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

জামালপুরবাসীর গলারকাঁটা রেলওয়ে ওভারপাস

জামালপুর শহরের যানজট কমাতে নেওয়া রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্পটি এখন শহরবাসীর ‘গলার কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিন বছর চার মাস মেয়াদি প্রকল্পটি ছয় বছরেও শেষ হয়নি। এর মধ্যে দফায় দফায় বেড়েছে কাজ মেয়াদ। আর প্রকল্পটির ব্যয় ২১১ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৪২৩ কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। সঙ্গে বেড়েছে স্থানীয় মানুষের ভোগান্তি।

প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চার দফায় মেয়াদ বাড়ানোর পর সর্বশেষ গত জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রকল্পের মাত্র ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ফলে আবারও প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।

তবে এই সময়ের মধ্যেও কাজ শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন শহরের বাসিন্দারা। প্রকল্পের ধীরগতির কারণে ওই এলাকায় তীব্র যানজটে শহরবাসী এখন চরমভাবে ক্ষুব্ধ।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) জামালপুর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি ঘণ্টায় ট্রেন চলাচলের কারণে জামালপুর শহরের প্রধান সড়কের রেলগেটপাড় এলাকায় নিত্যদিন যানজট লাগে। জনদুর্ভোগ দূর করার জন্য নেওয়া রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্প শুরু হয় ২০১৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। এই প্রকল্পে ৭৮০ মিটার ওভারপাসসহ দুই পাশে পাকা সড়ক নির্মাণ করা হবে। এতে ৬৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। বাকি ৩৫৯ কোটি টাকা এই প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের ব্যয় ধরা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের গেটপাড় থেকে ওভারপাস নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানে ১২টি পিলার নির্মাণ করা হয়েছে। দুটি পিলারের মাঝখানের ৫২টি গার্ডারের মধ্যে ৪৭টির নির্মাণ শেষ হয়েছে। গার্ডারের ওপরের ১৩টি ছাদের মধ্যে আটটির কাজ শেষ হয়েছে। দুই পাশের কোনো সড়কের কাজ এখনো শুরুই হয়নি। প্রধান সড়কে বড় বড় গর্ত আর কাদামাটিতে একাকার। আশপাশে যানজট লেগে আছে। ওভারপাস নির্মাণের জায়গা রেখে দুই পাশ দিয়ে ছোট্ট সড়কে যানবাহন চলাচল করছে খুব ধীরগতিতে। এ অবস্থায় সড়কের মধ্যে বালু, পাথর, ইট রাখা হয়েছে।

জামালপুর শহরের গেটপাড় বাণিজ্যিক এলাকা। বেহাল সড়কের কারণে ভুগছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, ছয় বছর ধরে নির্মাণকাজ চলছে। জাহেদা শফির মহিলা কলেজের সামনে থেকে লম্বাগাছ পর্যন্ত সড়ক বেহাল। সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটুপানি জমে যায়। সেই পানির আর নেমে যাওয়ার পথ নেই। সব সময় যানজট লেগেই থাকে। ফলে এই এলাকায় ক্রেতা ও সাধারণ মানুষ এখন সহজেই আসতে চান না। এজন্য তারা আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ধীরগতির কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে দুষছেন ব্যবসায়ীরা। সওজের উদাসীনতাকেও দায়ী করছেন তারা।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি জামালপুর জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জালাল হোসেন বলেন, ১৫ থেকে ২৫ লাখ পর্যন্ত জামানত ও দোকানভাড়া দিয়ে ব্যবসা করতে হয়। কিন্তু এই ওভারপাসের কারণে সব ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। গেটপাড়ের নাম শুনলেই কেউ আসতে চান না। দ্রুত ওভারপাস নির্মাণের জন্য ব্যবসায়ীরা বহু চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

সওজ জামালপুর কার্যালয় সূত্র জানায়, তমা কনস্ট্রাকশন, মেসার্স জামিল ইকবাল ও মেসার্স মইন উদ্দিন বাঁশি যৌথভাবে কাজটি পায়। ২০২০ সালের জুনে কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। সর্বশেষ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় তত্ত্বাবধায়ক শরিফুল ইসলাম বলেন, কাজে তাদের কোনো গাফিলতি নেই। দীর্ঘ সময় ধরে সওজ জায়গা বুঝিয়ে দিতে পারছিল না। ফলে কাজের ধীরগতি ছিল। তবে এখন পুরোদমে কাজ চলছে। প্রকল্পের বেশির ভাগ ব্যয় বেড়েছে ভূমি অধিগ্রহণে। কাজের ক্ষেত্রে ব্যয় সামান্যই বেড়েছে। আগামী জুনের মধ্যে অবশ্যই কাজটি শেষ করা হবে।

ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতার কারণে কাজে কিছুটা ধীরগতি ছিল বলে জানিয়েছেন জামালপুরের সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী খায়রুল বাশার মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেন, পুরো প্রকল্পের মধ্যে ৩৫৯ কোটি টাকা ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ ব্যয় হয়েছে। এখন পুরোদমে কাজ চলছে। প্রকল্পের মূল কাজ ওভারপাস। সেটার কাজ প্রায় শেষের দিকে। দুই পাশের সড়কের কোনো কাজ শুরু হয়নি। তবে আগামী জুনের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

জামালপুর জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, পৌরবাসীর দুঃখের নাম ওভারপাস। ছয় বছর ধরে জনদুর্ভোগের মাত্রা বৃদ্ধি পেলেও কাজের গতি হয়েছে নিম্নগামী। দুর্ভোগের বিষয়টি নিয়ে বহুবার সামাজিক আন্দোলন হয়েছে। জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। এই নিয়ে বহুবার রেজল্যুশনও হয়েছে। কিন্তু কাজের গতি বাড়েনি। এই সময়ের মধ্যে পদ্মাসহ বহু বড় বড় সেতু নির্মিত হয়েছে। কিন্তু ৭৮০ মিটার ওভারপাস নির্মাণের কাজ শেষ করতে পারছে না সংশ্লিষ্টরা। কল্যাণের বদলে দুর্ভোগই বাড়িয়েছে এই ওভারপাস প্রকল্প।

এসএন

Header Ad
Header Ad

দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী

প্রার্থনা ফারদিন দীঘি (বামে) এবং পূজা চেরী। ছবি: সংগৃহীত

নতুন বছরের শুরুতেই নির্মাতা আলোক হাসান ‘টগর’ সিনেমার মোশন পোস্টার প্রকাশ করে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মধ্যে হইচই ফেলে দেন। মোশন পোস্টারে আদর আজাদ এবং প্রার্থনা ফারদিন দীঘির নাম ঘোষণা করা হলেও, এবার পরিবর্তন এসেছে।

জানা গেছে, দীঘির পরিবর্তে সিনেমায় নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করবেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরী।

চলচ্চিত্রের পরিচালক আলোক হাসান জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট টিজারে দীঘির নাম থাকলেও, কিছু কারণবশত নায়িকা পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি তিনি। আলোক হাসান বলেন, “আমরা মনে করি, পূজা চেরীকে যুক্ত করতে পারাটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। এখন দ্রুত কাজটি শেষ করতে চাই।”

‘টগর’-এর শুটিং শুরু হবে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি, এবং পুরো ইউনিট শুটিংয়ের জন্য ঢাকা ছাড়বে দুদিন আগে। সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এ আর মুভি নেটওয়ার্ক, যেখানে আদর আজাদ, পূজা চেরী ছাড়াও অভিনয় করছেন আজাদ আবুল কালাম, রোজী সিদ্দিকী, সুমন আনোয়ার, জোযন, এল আর খান সীমান্ত, শরিফুল প্রমুখ।

অভিনেতা আদর আজাদ বলেন, “গত চার মাস ধরে এই প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত। তবে মাঝখানে ‘পিনিক’-এর শুটিং করেছি। এখন অবশেষে ক্যামেরা ওপেন হচ্ছে, এবং আমরা সবাই প্রোডাকশন ও কাজটি নিয়ে আশাবাদী।”

পূজা চেরী বলেন, “আলোক হাসান ও আদর আজাদের সঙ্গে এর আগে কাজ করেছি। প্রথমে এনাউন্সমেন্ট টিজারে ভিন্ন কাস্টিং দেখার কারণে আমি সিনেমাটি করতে চাচ্ছিলাম না, তবে পরবর্তীতে টিম আমাকে গল্পটি বোঝালে এবং স্ক্রিপ্টের ডক্টরিং ও রিডিং সেশনে এটি ভিন্ন মাত্রা পাওয়ার পর আমি রাজি হয়ে যাই।”

সিনেমাটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য এ আর মুভি নেটওয়ার্কের, এবং সংলাপ লিখেছেন মামুনুর রশিদ তানিম। নির্মাতারা জানিয়েছেন, সিনেমাটি আগামী ঈদুল আযহায় মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস। ছবি: সংগৃহীত

দুই ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এতে পাচার হয়েছে ঘাঁটির সংবেদনশীল এলাকার ছবি, ভিডিও, নথিসহ বিভিন্ন ভবনের নকশা।

এমন অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) বিরুদ্ধে। ভারতীয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) দাবি, নারী গোয়েন্দাকে ব্যবহার করে সুকৌশলে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ পর্যন্ত দুই জনকে আটক করেছে দেশটির এনআইএ।

জানা যায়, ১১ হাজারেরও বেশি একর জায়গা নিয়ে ভারতের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে অবস্থিত নৌঘাঁটি- ‛আইএনএস কদম্ব’। বর্তমানে এটিই দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটি। তবে, সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে পূর্ব গোলার্ধ্বের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটিতে পরিণত হবে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে আইএনএস কদম্বকে। সামরিক ও প্রতিরক্ষাখাতে কৌশলগত ব্যাপক অবদান রয়েছে। তবে, চতুর্দিক নিরাপত্তায় মোড়া এই ঘাঁটির সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এমন অভিযোগ উঠেছে দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বিরুদ্ধে।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি- ঐ নৌঘাঁটিতে কর্মরত দুই সিভিলিয়ান ঠিকাদার কর্মীদের হানিট্র্যাপে ফেলে তথ্য হাতিয়ে নেয় নাফিসা জান্নাত নামের এক পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা। যার সাথে ২০২৩ সাল থেকে পরিচয় ছিল ঐ দুই কর্মীর। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামে ভিন্ন নামের তাদের সাথে শখ্যতা গড়ে তোলেন ঐ নারী।

গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ঐ দুই ঠিকাদার কর্মীর মাধ্যমে আইএনএস কদম্বের খুবই সংরক্ষিত স্থানের ছবি, ভিডিও, গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্মাণাধীন স্থাপনার নকশা, সিমুলেটর বিল্ডিং এরিয়ার ছবি সুকৌশলে হাতিয়ে নেন ঐ পাকিস্তানি গোয়েন্দা। এমনকি কোন জাহাজ কখন কোথায় টহল দেয়, কোনটি অপারেশনাল কিংবা রেডি টু এনগেজ মুডে থাকে এসব তথ্য রয়েছে আইএসআই’র কাছে।

তবে, আটক দুই ব্যক্তির ভাষ্যমতে, প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে দেয়া হত। টানা ৮মাস টাকা দিয়ে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা। সম্প্রতি, তাদের মাধ্যমে পাচার হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের

নিহতদের বিচারের দাবি স্বজনদের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের স্বজনরা বলেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া যাবে না।

তারা বলেন, এই দুই হাজার হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে একজন হত্যাকারী পুলিশ কিংবা হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলেও দুই হাজার জন গ্রেপ্তার হতো। কিন্তু নগণ্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।

নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার বলেন, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দল নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি করছে। অথচ আমাদের সন্তান হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছে না।

নিহত সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না। কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।

সংবাদ সম্মেলনে তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন মো. মহিউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ভুইয়া এবং মো. মীর মোস্তাফিজুর রহমান। নির্বাহী পরিষদ কমিটিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. গোলাম রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল ভুইয়া। কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম মাহমুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হাওলাদার ও সহ সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার রিমা।

এছাড়া কোষাধক্ষ্য হয়েছেন জারতাজ পারভীন ও সহকোষাধক্ষ্য আবু হোসেন, জনসংযোগ সম্পাদক শিল্পী আক্তার, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ও সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন রাহাত আহম্মেদ খান, ক্রিয়া সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কবির হোসেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার খান পলাশ এবং সহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবরিনা আফরুজ সেবন্ধী।

নির্বাহী সদস্য হয়েছেন সামছি আরা জামান, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. অব্দুল বাসার অনিক, স্বর্ণা আক্তার, রাজু আহমেদ, শাহিনা বেগম, ফারহানা ইসলাম পপি, খালেদ সাইফুল্লাহ, রাজু আহমেদ, মো. সুমন মিয়া, আহমেদ লামিয়া, পাপিয়া আক্তার শমী এবং এম. এ. মতিন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী
নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস
নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা
বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৩ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির
২৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছে ২ সদস্যের একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম: ট্রাম্প
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা: প্রাণে বাঁচলেন দিতি কন্যা লামিয়া
ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’
ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব: তারেক রহমান
চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩
আমরা কারো দাবার গুটি হবো না: জামায়াত আমির
গরমে স্যুট পরে এসির তাপমাত্রা কমানো বন্ধ করুন: জ্বালানি উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি
নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’
মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার