নেত্রকোনায় বিদ্যালয়ে দপ্তরিই দিচ্ছেন পাঠদান
নেত্রকোনা সীমান্তবর্তী কলমাকান্দায় খলা-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৪৬ জন শিক্ষার্থী থাকলেও সেখানে শিক্ষক রয়েছে মাত্র ৩জন। এর মধ্যে একজন শিক্ষক রয়েছে ডিপিএড প্রশিক্ষণে। আরেক জন শিক্ষক আছেন ছুটিতে। আবার প্রধান শিক্ষক অফিসের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন শিক্ষা কার্যালয়ে। এ সময় শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছেন দপ্তরি ও একজন প্যারা শিক্ষক।
উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, ১৯৭০ সালে .৫৬ শতক জমির মধ্যে স্থপিত হয় খলা-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। এই বিদ্যালয়ে সাত জন শিক্ষককের পদ থাকলেও চার জন শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে। এরমধ্যে একজন প্রধান শিক্ষক ও দুই জন সহকারি শিক্ষক। একজন সহকারি শিক্ষক রয়েছে ডিপিএড প্রশিক্ষণে। বর্তমানে দুই জন শিক্ষক দিয়েই চলছে বিদ্যালয়টি।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল গণিসহ সকল শিক্ষকই অনুপস্থিত। বিদ্যালয়ের দপ্তরি মো. সোয়াদ মিয়া জানান, প্রধান শিক্ষক অফিসের কাজে কলমাকান্দায় আছেন। আর সহকারি শিক্ষক সালমা আজাদী ছুটিতে আছেন। তাই প্যারা শিক্ষক লামিয়া আক্তারসহ তিনি ক্লাস নিচ্ছেন।
স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সহকারি শিক্ষক সালমা আজাদী মাঝে মধ্যে বিদ্যালয়ে আসেন। আর প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল গণি প্রায় সময়ই অফিসে কাজের কথা বলে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। তাই এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসা দপ্তরি ও প্যারা শিক্ষক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্র অভিভাবক জানান, বেশিরভাগ সময়ই বিদ্যালয়ে শিক্ষক অনুপস্থিত থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে অমনোযোগী হয়ে পড়েছে। তাই জরুরী ভিত্তিতে এই বিদ্যালয়ে কয়েক জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য তিনি দাবি জানান।
সহকারি শিক্ষক সালমা আজাদীর ছুটি থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল গণি বলেন, তিনি সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে দেখা করতে অফিসে গেছেন। পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহানারা খাতুন বলেন, তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএজেড