তথ্য গোপন করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ
প্রতীকী ছবি
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় তথ্য গোপন করে সরকারি বিদ্যালয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ আনেন একই স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
জানা যায়, বকশীগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফা আকন্দের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার ৮নং আসামি তিনি। মামলার বিষয়টি গোপন করে ২০১৬ সালে তিনি বকশীগঞ্জ উপজেলার বাঘাডুবা সরকারি প্রাইমারি স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরে ২০২০ সালে সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফা আকন্দ বাঘাডুবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বদলি হয়ে দারিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। তার বিরুদ্ধে ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালেও বকশীগঞ্জ থানায় কয়েকটি মামলা হয়।
মামলার নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, জামালপুরের এক মামলার ৯১ নং মামলার আসামি দাড়িয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফা আকন্দ। ওই মামলায় ২০১৮ সালের ২৮ জুন আদালতে হাজিরা দেন তিনি। একইদিন শেরপুরের একটি মামলার হাজিরা দেন তিনি। এর আগে ২২ মে শেরপুর ও জামালপুর আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। পরে ২৯ নভেম্বর শেরপুরের বিজ্ঞ আদালতে হাজিরা দেন সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফা আকন্দ। একইদিন জামালপুর পিটিআইয়েও হাজির ছিলেন তিনি।
এ বিষয়ে ২০১৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। পরে চলতি বছর দাড়িয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম আকন্দ নিজেই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফা আকন্দ বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। সরকারি নীতিমালা মেনেই চাকরিতে যোগদান করেছি এবং চাকরি করছি।
এ বিষয়ে দাড়িয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম আকন্দ বলেন, প্রমাণস্বরূপ বিজ্ঞ আদালতের সব কাগজপত্র দিয়েই অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনা শতভাগ সত্য।
বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রশিদা বেগম বলেন, অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফা আকন্দের বিরুদ্ধে কোনো লিখিত অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে এবং ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসজি/