নেত্রকোনায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে খুশি হতদরিদ্র পরিবার
নেত্রকোনার বারহাট্টায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে খুব খুশি আশ্রয়হীনরা। পূরণ হয়েছে তাদের ঘর পাবার স্বপ্ন। উন্নত হয়েছে জীবনযাত্রার মান। উপহার পাওয়া জমি ও পাকা ঘরে থাকতে পেরে খুশি অসহায় হতদরিদ্র মানুষগুলো।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে জমি আর পাকা ঘর পেয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অবস্থিত আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা এখন সুখের সময় পার করছেন। জমি আর পাকা ঘর পেয়ে বেড়েছে তাদের জীবনযাত্রার মান। ঘরগুলোর চালার ওপর শাক-সবজি চাষাবাদের পাশাপাশি ঘরের আঙিনায় রোপণ করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ। উপকারভোগীরা হাঁস-মুরগি পালন আর সেলাইয়ের কাজ করে অনেকেই সংসারে এনেছেন সচ্ছলতা।
লক্ষ্মণ মন্ডল নামের এক উপকারভোগী জানান, 'বউ-পুলাপান (স্ত্রী-সন্তান) লইয়া খাইয়া না খাইয়া খুব কষ্টে দিন কাটাইতাছিলাম, কিন্তু রাইতে থাহনের মত কোন জাগা আছিল (ছিল) না আমডার (আমাদের)। মাইনসের (আন্যের) বাড়িত নাইলে ইস্টিশনে শুইয়া রাইত কাটাইতাম। আমরার (আমাদের) প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে ঠাঁই পাইয়া আমরা খুব খুশি। মাসে ১০ কেজি করে চাল পাই। ঘরের উডানে (উঠোন) সবজির বাগান করছি। বাড়িত হাঁস-মুরগিও পালতাছি আহন (এখন) আমডার (আমাদের) আর কোনো অভাব নাই।'
৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা বলেন, ’আমার জীবন তো প্রায় শেষ হইয়া গেছে। শেষ বয়সে এইনো (এখানে) মাথা গোঁজার ঠাঁই পাইছি। এখন আর আমার ভিক্ষা কইরা খাওন লাগে না। এইনো (এখানে) অহন অনেক ভালা আছি।’
এ ব্যাপারে বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাজহারুল ইসলাম বলেন, এ পর্যন্ত বারহাট্টায় ১ম পর্যায়ে ৪৫টি, ২য় পর্যায়ে ২৫টি, ৩য় পর্যায়ে ৩০টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে ৩য় পর্যায়ের ২য় ধাপে ২৫টি স্পটে ৬৫টি ঘর নির্মিত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ’আবাসনগুলোতে নিয়মিত পরিদর্শন করে তাদের নিরাপত্তাসহ সব সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পে যে নিরাপত্তা সমস্যা আছে সেটা পুলিশ দেখছে। তাদের যদি ড্রেনেজ ব্যবস্থার প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে আমরা অনেক প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠিয়েছি। এগুলো অনুমোদন হলে তাদের সেই সুবিধাও আমরা দিতে পারব।’
এসআইএইচ