শেরপুরে কিশোরী অপহরণ-ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
শেরপুরে কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় টুটুল মিয়া (২৮) নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন মামলার একমাত্র আসামি টুটুল। তিনি সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের নাওভাঙ্গা গ্রামের মো. দিলহাস উদ্দিনের ছেলে।
রায়ে আসামি টুটুল মিয়াকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন (৩০ বছর) সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং অপহরণের দায়ে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে উভয় সাজা একইসঙ্গে চলবে।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, ২০২০ সালের ১২ মে সদর উপজেলার রঘুনাথপুর শোলারচর গ্রামের কৃষক পরিবারের মেয়ে ও পার্শ্ববর্তী ভীমগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওই কিশোরী নানার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে স্থানীয় নাওভাঙ্গা ব্রিজ থেকে তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে একটি সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে যায় পার্শ্ববর্তী এলাকার টুটুল মিয়া। ওই ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ১৪ মে টুটুল মিয়া এবং তার এক ছোট ভাই ও মা-বাবাসহ চারজনকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরদিন অপহৃতা কিশোরীসহ গ্রেপ্তার হয় টুটুল মিয়া। তদন্ত শেষে একই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর একমাত্র টুটুল মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে থানা পুলিশ। পরবর্তীতে জামিনে গিয়ে পলাতক হয় টুটুল। বিচারিক পর্যায়ে বাদী, ভিকটিম ও চিকিৎসকসহ সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এসআইএইচ