বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪ | ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আবারও সীমান্তে বিএসএফের গুলি, হাসপাতালে বাংলাদেশী যুবক

ফাইল ছবি

সীমান্তে হত্যা যেন বেড়েই চলছে। প্রতি মাসেই বিএসএফের গুলিতে ঘটছে হত্যাকাণ্ড। সীমান্ত হত্যা নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে নিয়মিত আলোচনা হলেও তবুও থামছে না। সবশেষ রোববার (১২ মে) দিবাগত রাতে বেনাপোল সীমান্তে বাংলাদেশী যুবককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিএসএফ। এতে আমজেদ আলী নামের ওই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

পরিবার জানিয়েছে, রোববার রাতে পুটখালী সীমান্ত দিয়ে ভারতে গরু পাচার করার সময় ভারতীয় বিএসএফ গুলি ছুড়লে আমজেদ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পালিয়ে বাড়িতে চলে আসে। পরে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।

এর আগে, বুধবার (৮ মে) দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। হত্যার দুই দিন পর শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যার দিকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ও ভারতের ফুলবাড়ি জিরো লাইন সীমান্ত দিয়ে ওই দুই বাংলাদেশির মরদেহ তেতুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ভারতের ফাঁসিদেওয়া থানা পুলিশ।

সীমান্তে বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলি ও নির্যাতনে প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ বাংলাদেশিরা। বিগত ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারিতে বিএসএফের গুলিতে নির্মম হত্যার শিকার হয় কিশোরী ফেলানী খাতুন। তার মরদেহ সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে রাখা হয়েছিল। ওই সময় কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে থাকা কুড়িগ্রামের কিশোরী ফেলানীর মরদেহের ছবি আলোড়ন তুলেছিল দেশে-বিদেশে। ওই ঘটনার পর দফায় দফায় আলোচনায় সীমান্তে হত্যা বন্ধে প্রতিশ্রুতি দেয় বিএসএফ। তবে গত বছরগুলোতে পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় একেবারেই উল্টোচিত্র।

বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাবে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএসএফের হাতে মারা গেছেন ২০০ এর বেশি বাংলাদেশি। নির্যাতনের শিকার হয়েছেন শতাধিক মানুষ। যার মধ্যে গতবছর ২৮ জনের প্রাণহানি ও ৩১ জন মারাত্মক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

আসকের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশিকে হত্যা করে বিএসএফ। ওই বছর ৪৮ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারান, যার মধ্যে ৪২ জন বিএসএফের গুলিতে ও ছয়জন শারীরিক নির্যাতনে মারা যান। এর আগের বছর যে ৪৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে ৩৭ জন বিএসএফের গুলিতে এবং ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে নির্যাতনে। গত সাত বছরের মধ্যে বিএসএফের গুলিতে সবচে কম বাংলাদেশির মৃত্যু হয় ২০১৮ সালে ১৪ জনের।

সরকারের হিসেবে বলছে, ২০০৯ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ৯ বছরে বিএসএফের হাতে ২৯১ জন বাংলাদেশি নিহত হন। এ ৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণ হারিয়েছেন ২০০৯ সালে। আর সবচেয়ে কম ১৭ জন হত্যার শিকার হয়েছেন ২০১৭ সালে।

Header Ad

হাসপাতালের বকেয়া বিলের কারণে বাড়ি যেতে পারছে না সুস্থ নুহা-নাবা

আটটি সফল অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে ৩২ মাস বয়সী দুই যমজ শিশু নুহা ও নাবার মেরুদণ্ড এবং শরীর আলাদা হয়েছে এবং তারা হাঁটতে ও খেলতে পারছে। ছবি: সংগৃহীত

৩২ মাস বয়সী মেরুদণ্ড জোড়া লাগা যমজ শিশু নুহা ও নাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আলাদা হয়ে সুস্থ জীবন ফিরে পেলেও, ২২ লাখ টাকার বকেয়া বিলের কারণে বাড়ি ফিরতে পারছে না।

২০২২ সালে কুড়িগ্রামে জন্ম নেওয়া এই যমজ শিশুর আটটি সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাদের জীবন নতুনভাবে শুরু হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি তত্ত্বাবধানে তাদের চিকিৎসা চলছিল। তবে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর তাদের পরিবার আর্থিক সংকটে পড়েছে।

যমজদের বাবা আলমগীর রানা বলেন, "ডাক্তাররা বলেছেন, মেয়েরা এখন সুস্থ। তবে একটি অস্ত্রোপচার বাকি। কিন্তু হাসপাতালের বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় আমরা আটকে আছি।"

আলমগীর, একজন পরিবহন শ্রমিক, চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে চাকরি হারানোর পাশাপাশি জমি বন্ধক রেখে ও ধার করে টাকা সংগ্রহ করেছেন। তবে এত বড় অঙ্কের বিল পরিশোধ তার পক্ষে সম্ভব নয়।

বিএসএমএমইউর প্রো ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুল আলম জানিয়েছেন, সমস্যাটি সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।

নুহা ও নাবার চিকিৎসার সফল সমাপ্তি সারা দেশকে আশাবাদী করলেও, তাদের পরিবারের জন্য অর্থনৈতিক সহায়তা এখন এক জরুরি বিষয়।

Header Ad

শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া গণমাধ্যম চিহ্নিত করা হবে: শফিকুল আলম

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন নিয়ে যেসব গণমাধ্যম শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী দিয়েছে, সেসব গণমাধ্যমকে চিহ্নিত করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বুধবার (২০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, পহেলা জুলাই থেকে ৫ আগস্ট কোন কোন গণমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী অ্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, কোন কোন গণমাধ্যমে ফ্যাসিবাদী বয়ান তৈরি হয়েছে তা চিহ্নিত করা হবে।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমে গত ১৬ বছর কার কী ভূমিকা ছিল তা নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন। গত নির্বাচনগুলোকে কারা বৈধতা দিয়েছে দেখতে হবে। শেখ হাসিনার প্রতিটি প্রেস কনফারেন্সকে প্রমাণ ধরে কোন সাংবাদিকের ভূমিকা কেমন ছিল সেটা ধরে ধরে পদক্ষেপ নেবে সরকার।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ যেভাবে ১৫-১৬ বছর আমাদের ভয়েস কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে; কাউকে শিবির ট্যাগ দিয়ে, কাউকে বিএনপি ট্যাগ দিয়ে... এ ধরনের পরিবেশ আমরা যেন না করি। আমরা যেন আমাদের অ্যাটিচিউডে ফ্যাসিবাদী না হই। আমরা যেন আরেকজনের ভয়েসটা কেড়ে না নিই। বাংলাদেশে যারা ক্রিটিসাইজ করে তাদের ভয়েস আমরা যেন কেড়ে না নিই। আমরা প্রত্যেকটা ভয়েসকে ওয়েলকাম জানাই। প্রত্যেকটা ভয়েস বাংলাদেশে জারি থাকুক।

শফিকুল আলম বলেন, শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে যে কিলিং হয়েছে, আমরা ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডে এগুলো বের করব। ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত শেখ হাসিনা অনেক প্রেস কনফারেন্স করেছেন। প্রত্যেকটার বিবরণ আছে। কে কী করেছেন সেটা রয়েছে। প্রত্যেকটা ঘটনা ধরে ধরে কার কী রোল ছিল সেটা লিপিবদ্ধ করে রাখতে হবে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট রাইট গ্রুপগুলোকে আমরা ইনভাইট করব। তারা যাতে এসে ইনভেস্টিগেশন করে দেখে দেশে কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে। প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড নিয়ে তারা অনেক স্টেটমেন্ট দিয়েছে। তাদের স্টেটমেন্টকে আমরা ওয়েলকাম জানাই। কিন্তু গত ১৫ বছরে কী ধরনের ভয়াবহ জার্নালিজম হয়েছে সেটা জানুক।

Header Ad

আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনতে চাই এমনটা বলিনি: মির্জা ফখরুল

বক্তব্য রাখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ নাকি আমরা দিচ্ছি! এই কথাটি ঠিক না। আমরা কাউকে নির্বাচনে আনতে চাই, এমনটা বলিনি। গণ্যমাধ্যমে বিষয়টা সঠিকভাবে আসেনি। আমরা বলেছি আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল, নির্বাচন করবে কি করবে না, তা নির্ধারণ করবে জনগণ। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে কারা রাজনীতি করবে, কারা করবে না। আমরা সেখানে কিছু না।

বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ফেনীতে বেগম খালেদা জিয়ার পৈতৃক বাড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও ঢেউটিন বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য শিগগিরই যুক্তরাজ্যে পাঠানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দেশের মানুষের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘদিন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। বিগত সরকার মিথ্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে। ছোট্ট একটি স্যাঁতস্যাঁতে কক্ষে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল। তিনি অসুস্থ। তাকে সহসাই চিকিৎসার জন্য বিলেত পাঠানো হবে।

সেই সঙ্গে যারা দেশের মানুষ হত্যা করেছে, মানুষকে নির্যাতন করেছে এবং যারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে বিচার ও শাস্তির দাবি করেন তিনি।

এ সময় বিএনপি চেযারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন ও ফুলগাজী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেনসহ অনেকেই ছিলেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হাসপাতালের বকেয়া বিলের কারণে বাড়ি যেতে পারছে না সুস্থ নুহা-নাবা
শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া গণমাধ্যম চিহ্নিত করা হবে: শফিকুল আলম
আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনতে চাই এমনটা বলিনি: মির্জা ফখরুল
এবার পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ থেকে সরে দাঁড়াল ভারত
নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই: ফারুকী
বাংলাদেশিদের নোংরাভাবে উপস্থাপন করে ভারতের বিজেপির নির্লজ্জ নির্বাচনী প্রচারণা
রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২ পুলিশ আহত
সাইন্সল্যাবে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে
জাবিতে মতবিনিময় সভায় ছাত্রশিবিরের উপস্থিতি নিয়ে ছাত্রদল-বামদলগুলোর হট্টগোল
চুয়াডাঙ্গায় শীর্ষ সন্ত্রাসী হাতকাটা নফরকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
ঢাবিতে কফিন মিছিল: ফ্যাসিবাদী শক্তির তৎপরতা নিষিদ্ধের দাবি
মানসিক রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন আমির খান
সচিবালয়ে প্রথমবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শুরু
রাশিয়ার বড় অগ্রগতি: ইউক্রেনকে কোণঠাসা করছে ক্রেমলিন
ঢাকার যেসব এলাকায় ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বৃহস্পতিবার
বিয়ের ২৯ বছর পর সংসার ভাঙল এ আর রহমানের
জেরল্ড কুটসিয়াকে আইসিসির তিরস্কার
জাবি ক্যাম্পাসে ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভুল প্রমাণিত হলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইবো : ডা. শফিকুর রহমান
৭৪ দেশকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ