বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ৯ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

যশোরে মুখোমুখি বিএনপি-আওয়ামী লীগ

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত শ্রমিক সংগঠন সম্মিলিত পেশাজীবী শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সমাবেশ নিয়ে যশোরের মানুষের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। উত্তেজনা বিরাজ করছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যেও। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে শুক্রবার টাউনহল মাঠে সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ।

টাউনহল মাঠ না পেয়ে আজ শনিবার (২৭ মে) ভোলাট্যাংক রোডে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশ করবে বিএনপি। এই সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।

যদিও প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা ছিল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। কিন্তু তিনি করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আসতে পারছেন না। তার পরিবর্তে আসছেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

আজ শনিবার ভোলা ট্যাংক রোডে বিকেল ৩টায় সমাবেশ করবে বিএনপি। এদিকে একইদিন টাউনহল মাঠে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত পেশাজীবী শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। একইদিন দু’পক্ষের সমাবেশ ঘিরে শহরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সেই আতঙ্কের পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। শুক্রবার টাউনহল মাঠের সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বিএনপির আজকের সমাবেশ যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করার কথা বলেন। তাদের এ ধরনের বক্তব্যে শহরবাসীর মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার বলেন, ‘২৭ মে যশোরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। যারা দেশের উন্নয়ন চায় না, সেসব অগ্নিসন্ত্রাসীর সমাবেশ করার কোনো অধিকার এই দেশে নেই।’ তারপর থেকেই বিএনপির সমাবেশ নিয়ে শহরে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটে কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়।

বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘যশোরে গণসমাবেশ করবেই বিএনপি। কোনো হুমকি-ধমকি কিংবা গণগ্রেপ্তার এই সমাবেশ বন্ধ করতে পারবে না। এরই মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দলটি।’

তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৭ মে যশোরে গণসমাবেশ করবে বিএনপি। এ লক্ষ্যে জেলা কমিটি শহরের টাউনহল মাঠ ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিল প্রশাসনের কাছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে বিএনপিকে অনুমতি না দিয়ে একইদিন একটি আওয়ামী লীগ সমর্থিত পেশাজীবী সংগঠনকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এরপর দলটি জিলা স্কুল মাঠ কিংবা চৌরাস্তা মোড়ে সমাবেশ করার অনুমতি চায়। কিন্তু সে ব্যাপারেও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। সর্বশেষ, ভোলাট্যাংক রোডে সমাবেশ করতে চায় দলটি।’

প্রশাসন ভোলাট্যাংক রোডে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের সমাবেশ করতে না দেওয়ার ঘোষণার পর বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের প্রেস ব্রিফিং মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতাদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে শহরের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সাজ্জাদ হোসেন নামে চারখাম্বা মোড়ের এক ব্যক্তি বলেন, ‘একইদিন ভোলাট্যাংক রোড ও টাউনহল মাঠের সমাবেশের কারণে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও ঘটতে পারে।’

টাউনহল মাঠে সমাবেশ আহ্বানকারী সম্মিলিত পেশাজীবী শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক শেখ শাহীন মাহমুদ বলেন, ‘কারো প্রতি আমাদের প্রতিহিংসা নেই। আমরা বিএনপির কর্মসূচি জানতাম না। এটি শ্রমিকদের প্রোগ্রাম, কোনো রাজনৈতিক প্রোগ্রাম না।’

একইদিন সমাবেশের ব্যাপারে বিএনপি নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘সমাবেশ করা গণতান্ত্রিক অধিকার। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সবারই সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মকাণ্ডে বিশ্বাসী। এখানে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হবে। একইদিন দু’টি সমাবেশ হতেই পারে। তারা তাদের মতো করবে, আমরা আমাদের মতো করব।’

জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘টাউনহল মাঠের সমাবেশের সাথে আওয়ামী লীগের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ওটা সম্মিলিত পেশাজীবী শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের।’

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আতঙ্কিত না। সবকিছু ঠিক আছে। কোনো সমস্যা নেই।’

এসএন

Header Ad
Header Ad

দেশের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে বিএনপি হাল ধরেছে: সেলিমা রহমান

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। ছবি: সংগৃহীত

দেশের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে বিএনপি হাল ধরেছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, আজকে বিএনপির ৩১ দফা সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে বুঝাতে হবে। বিএনপি সবসময় মানুষের কল্যাণে সংস্কার করে গেছে। একটা কথা মনে রাখতে হবে, সেটি হলো- বাংলাদেশে যতগুলো ক্রান্তিলগ্নে এসেছে, বিএনপি প্রতিটি সময় হাল ধরেছে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন ‘কলমকলি’র উদ্যোগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিমা রহমান এ কথা বলেন।

সেলিমা রহমান বলেন, জুলাই-আগস্টে আমাদের যে আন্দোলন হয়েছে, বুকের রক্ত দিয়ে যারা এদেশকে মুক্ত করেছে তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন রয়েছে। কিন্তু, সেই সঙ্গে মনে রাখতে হবে তাদের বুকের রক্ত কিন্তু এখনো শুকায়নি। রাজপথ এখনো তাদের রক্তে লাল হয়ে আছে। কিন্তু, শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারত সরকার এই দেশে আন্তর্জাতিক চক্র হিসেবে নানারকম মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দেশকে নানাভাবে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ৫ আগস্ট স্বৈরাচারের পতনের মধ্য দিয়ে আমরা কথা বলার স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি। আমরা মুক্তভাবে নিশ্বাস নিতে পারছি। এটা কিন্তু দীর্ঘ আন্দোলনের ফল ছিল। বিগত ১৫ বছর বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল নির্যাতিত, গুম-খুনের শিকার হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা ঘরে ঘুমাতে পারতো না।

সেলিমা রহমান আরও বলেন, আজকে শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। একটা দানবীয় সরকার দুটি প্রজন্মকে জিয়াউর রহমানের নাম জানতে দেয়নি। এত বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু করেছে কিন্তু, তার মেয়ে (শেখ হাসিনা) শেখ মুজিবের নাম একবারে তলানিতে নিয়ে গেছে।

সেলিমা রহমান বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শিশুদের জন্য শিশু একাডেমি করেছেন। শিশু পার্ক করেছেন। এমন কিছু নেই, যা তিনি শিশুদের জন্য করেননি। নারী ক্ষমতায়নের সবচেয়ে বড় সংস্কারক ছিলেন জিয়াউর রহমান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, আজকে শিশু পার্ক নেই। শিশু একাডেমি নেই। আজকে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা অন্যের কালচার নিয়ে কাজ করেছি। একটি দানবীয় সরকার শুধু তার নিজের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের হাত ধরে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার, মৌলিক অধিকারসহ সবকিছু কেড়ে নিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের কড়া জবাব দিলেন নাহিদ ইসলাম

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে এ জবাব দেন তিনি।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটা ১/১১ সরকার গঠনের ইঙ্গিত বহন করে। ১/১১ এর বন্দোবস্ত থেকেই আওয়ামী ফ্যাসিজমের উত্থান ঘটেছিল। বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যে সামনে আরেকটা ১/১১ সরকার, সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ধারাবাহিকতা এবং গুম-খুন ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ার আলামত রয়েছে।

তিনি লেখেন, ছাত্র এবং অভ্যুত্থানের নেতৃত্বকে মাইনাস করার পরিকল্পনা ৫ আগস্ট থেকেই শুরু হয়েছে। ৫ আগস্ট যখন ছাত্র-জনতা রাজপথে লড়াই করছে, পুলিশের গুলি অব্যাহত রয়েছ, তখন আমাদের আপোষকামী অনেক জাতীয় নেতৃবৃন্দ ক্যান্টনমেন্টে জনগণকে বাদ দিয়ে নতুন সরকার করার পরিকল্পনায় ব্যস্ত ছিলেন (অনেকে ছাত্রদের কথাও বলেছেন সেখানে)।

নাহিদ লিখেছেন, আমরা ৩ অগাস্ট থেকে বলে আসছি আমরা কোনো প্রকারের সেনা শাসন বা জরুরি অবস্থা মেনে নেবো না। আমাদেরকে বারবার ক্যান্টেন্টমেন্টে যেতে বলা হলেও আমরা যেতে অস্বীকার করি। শেষ পর্যন্ত বঙ্গভবনে আলোচনা ও বার্গেনিং এর মাধ্যমে ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। আমরা চেয়েছিলাম ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ও নাগরিক সমাজের সমন্বয়ে একটা জাতীয় সরকার। জাতীয় সরকার হলে ছাত্রদের হয়তো সরকারে আসার প্রয়োজন হতো না। জাতীয় সরকার অনেকদিন স্থায়ী হবে এই বিবেচনায় বিএনপি জাতীয় সরকারে রাজি হয় নাই। কিন্তু অভ্যুত্থানের পরেই দেশে জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি ছিল। অথচ বিএনপি জাতীয় সরকারের কথা বলতেছে সামনের নির্বাচনের পরে।

তিনি লেখেন, ছাত্ররাই এই সরকারের এবং বিদ্যমান বাস্তবতার একমাত্র ফ্যাক্টর যেটা ১/১১ এর সরকার থেকে বর্তমান সরকারকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা করে। বিএনপি কয়েকদিন আগে মাইনাস টু এর আলোচনা করলেও এখন ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম করার জন্য নিরপেক্ষ সরকারের নামে আরেকটি ১/১১ সরকারের প্রস্তাবনা করছে। এ ধরনের পরিকল্পনা গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে এবং ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই এটা মেনে নেবে না। আমি মনে করি এটা বিএনপির বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র।

উপদেষ্টা লেখেন, আর এই সরকার জাতীয় সরকার না হলেও সরকারে আন্দোলনের সব পক্ষেরই অংশীদারত্ব রয়েছে এবং সব পক্ষই নানান সুবিধা ভোগ করছে। সরকার গঠনের আগেই ৬ অগাস্ট অ্যাটর্নি জেনারেল এবং পুলিশের আগের আইজির নিয়োগ হয়েছিল যারা মূলত বিএনপির লোক। এরকমভাবে সরকারের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত নানান স্তরে বিএনপিপন্থি লোকজন রয়েছে। নির্বাচনের নিরপেক্ষতার কথা বললে এই বাস্তবতায়ও মাথায় রাখতে হবে।

তিনি লেখেন, রাষ্ট্রপতির পরিবর্তন, সংস্কার, নতুন সংবিধান, জুলাই ঘোষণা সব ইস্যুতেই বিএনপি বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। অথচ এগুলা কোনোটাই ছাত্রদের দলীয় কোনো দাবি ছিল না। কিন্তু দেশের স্থিতিশীলতা, বৃহত্তর স্বার্থ এবং জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার জন্য ছাত্ররা বারবার তাদের অবস্থান থেকে সরে এসেছে। কিন্তু এর মানে এই না যে গণতন্ত্রবিরোধী ও অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বিরোধী কোনো পরিকল্পনা হলে সেখানে আমরা বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেবো। আওয়ামী লীগ বিষয়ে ভারতের প্রধান দলগুলোর মধ্যে ঐক্য সম্ভব হয়েছে অথচ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বিষয়ে আমরা ঐক্য করতে পারি নাই এত হত্যা ও অপরাধের পরেও। হায় এই ‘জাতীয় ঐক্য’ লইয়া আমরা কী রাষ্ট্র বানাব!

তিনি আরও লিখেছেন, বাংলাদেশকে দুর্বল করা সহজ কারণ বাংলাদেশকে সহজেই বিভাজিত করা যায়। এ দেশের বড় বড় লোকেরা অল্পমূল্যে বিক্রি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। আমি মনে করি না সমগ্র বিএনপি এই অবস্থান গ্রহণ করে। বরং বিএনপির কর্মী সমর্থকদের বড় অংশই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন চায়। বিএনপির দেশপ্রেমিক ও ত্যাগী নেতৃত্বকে আহ্বান করব, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে না গিয়ে ছাত্র-জনতার সঙ্গে বৃহত্তর ঐক্য ও সংহতির পথ বেছে নিন।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক স্বাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরা নতুন রাজনৈতিক গঠন নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, সরকারে নিজেদের প্রতিনিধি রেখে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে অন্য রাজনৈতিক দলগুলো বিষয়টি মেনে নেবে না।

Header Ad
Header Ad

দেশের বিদ্যুৎ খাতে অতিরিক্ত ৩৬৭ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত

দেশের বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে অতিরিক্ত ৩ কোটি মার্কিন ডলার অর্থায়ন করতে যাচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ৩৬৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ৩৮ পয়সা ধরে)। এনহ্যান্সমেন্ট অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং অব পাওয়ার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক ইন ইস্টার্ন রিজন প্রকল্পের জন্য এ ঋণ সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে এ ঋণচুক্তি সই হয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বৃহত্তর কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী অঞ্চলে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত ও বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহ্‌রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

বিশ্বব্যাংকের স্কেল আপ ফ্যাসিলিটি(এসইউএফ) তহবিল ৩ হাজার ৬৪২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ঋণ সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে প্রকল্পটির মূল ঋণচুক্তি ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল স্বাক্ষরিত হয়। পরবর্তী সময়ে কোভিড-১৯ চলাকালীন কোভিড সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে মূল অর্থায়ন ৪৫০ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রত্যাহার করা হয়। বর্তমানে প্রকল্পটির সফল সমাপ্তির লক্ষ্যে ৩ কোটি ডলার অতিরিক্ত প্রয়োজন হওয়ায় বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে অতিরিক্ত ঋণ সহায়তা গ্রহণ করা হবে।

এই ঋণ ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ আগামী ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এই ঋণের সুদের হার ১ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং সার্ভিস চার্জ ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এ ছাড়া অনুত্তোলিত ফান্ডের ওপর সর্বোচ্চ ০ দশমিক ৫০ শতাংশ কমিটমেন্ট চার্জ থাকলেও পূর্বের বছরের ন্যায় বিশ্বব্যাংক বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই অর্থবছরে কোন কমিটমেন্ট ফি দিতে হবে না।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে বিএনপি হাল ধরেছে: সেলিমা রহমান
মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের কড়া জবাব দিলেন নাহিদ ইসলাম
দেশের বিদ্যুৎ খাতে অতিরিক্ত ৩৬৭ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
দুর্বার রাজশাহীর কাছে অপ্রতিরোধ্য রংপুরের প্রথম হারের স্বাদ
যে ৭ ভুলে দ্রুত নষ্ট হবে আপনার শখের স্মার্টফোন
অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসার খরচ যোগাতে সড়কে পিঠা বিক্রি করছেন নূর ছবি বেগম
‘অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে রেখে কারাবন্দি হয়েছিলাম, এখন মেয়ের বয়স ১৫ বছর’
আবারও শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা, জানা গেল কবে-কোথায় বাড়বে শীত
ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে নির্বাচন, ভোট হবে ব্যালটে
টাঙ্গাইলে মাদক কারবারি আনোয়ারের স্ত্রীকে গ্রেফতার, স্বামী পলাতক
টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা, লেবু বাগানে মিলল মরদেহ
শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বিতরণের বই পাওয়া যাচ্ছে খোলাবাজারে!
ফেব্রুয়ারিতে বিজিবি-বিএসএফ শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক  
ইবিতে বাস ভাঙচুরে বাধা দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমন্বয়কদের হাতাহাতি
হলিউডে অভিনয় করার বিষয়ে যা বললেন জায়েদ খান
১৬ বছর পর কারামুক্ত বিডিআরের ১৬৮ সদস্য
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মশিউর গ্রেপ্তার
এবার ইলিয়াসের লাইভে আসছেন কর্নেল রাশেদ চৌধুরী, জানাবেন অজানা তথ্য
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার ১০ বছরেও শেষ হবেনা: মির্জা ফখরুল
ভারতে স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেসার কুকারে রান্না করলেন সাবেক সৈনিক