বাংলাদেশকে ২০ রেলইঞ্জিন দিল ভারত
বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ বাংলাদেশকে ২০টি রেলইঞ্জিন দিল ভারত। অনুদানের ২০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ (রেলইঞ্জিন) চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল স্টেশনে হন্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ মে) বিকাল ৫টায় এ লোকোমোটিভগুলো ভারতের পশ্চিমবঙ্গের গেদে রেলস্টেশন থেকে দর্শনা রেল স্টেশনে এসে পৌঁছায়। এগুলোকে সৌহার্দ্যের স্মৃতি স্মারক বলছেন দুই দেশের সুধীমহল।
এ উপলক্ষে দর্শনা রেল স্টেশনে আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে ভারতের পক্ষে দিল্লীর রেলভবন থেকে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সরকারের রেলওয়ে কমিউনিকেশন, ইলেকট্রনিকস ও ইনফরমেশন টেকনোলজি মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। অপরদিকে বাংলাদেশের পক্ষ ঢাকা রেলভবন থেকে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। এ সময় দিল্লীতে উপস্থিত ছিলেন ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নুরুল ইসলাম।
দর্শনা রেল স্টেশনে লোকোমোটিভগুলো হস্তান্তর করেন ভারতের রেলওয়ে শিয়ালদহ ডিভিশনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর অশোক কুমার বিশ্বাস। সেগুলো গ্রহণ করেন বাংলাদেশ রেলওয়ে (পশ্চিম) জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার, সিএসটিই (পশ্চিম) মো. মিজানুর রহমান, সিওপিএস মো. আহসানুল হক ভুইয়া, সিসিএম সজিত কুমার বিশ্বাস, প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদুল হক, সিসিআরএনবি মো. আশরাফুল ইসলাম, প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী মো. কুদরত-ই-খুদা।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পাকশী বিভাগীয় কর্মকর্তা এম এম রাজিব বিল্লাহ, শাহ-সুফী-মুহাম্মদ, মো. নাসির উদ্দিন, মো. আনোয়ার হোসেন, আশীষ কুমার মন্ডল, মো. মমতাজুর রহমান, মো. নাজিব কায়সার, মো. মোরশেদ আলম ও দর্শনা স্টেশন ম্যানেজার কামরুল হক। আর স্থানীয় পর্যায়ে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, দর্শনা পৌরসভার মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) আবু তারেক, দর্শনা স্থল শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার নিতীশ বিশ্বাস, দর্শনা থানার ওসি ফৈরদৌস হোসেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ে (পশ্চিম) জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের আমল থেকেই। আজকে যে
২০টি লোকোমোটিভ অনুদান দিল সেটি বন্ধুত্বের আরো একটি নিদর্শন। এটা দুই সরকারের একটা চুক্তির মাধ্যমে এসেছে। বর্তমানে ভারত সরকারের অর্থ্য়ানে বাংলাদেশ রেলওয়েতে আরো ৬টি প্রকল্প চলমান রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ইঞ্জিনগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা ঈশ্বরদীতে নিয়ে যাচ্ছি। কিছু ইঞ্জিন রাজশাহীতে রাখব। সেখানে চেকিং হবে। এরপর আমাদের একজন হাই অফিসিয়াল রয়েছেন যাকে বলে রেল পরিদর্শক। তিনি এগুলো চেক করার পর রির্পোট দেবেন। তারপর এগুলো চালু হবে। আশা করি আগামী এক মাসের মধ্যে এগুলো আমাদের বহরে যোগ হবে। ইঞ্জিনগুলো ৩৩’শ হর্স পাওয়ারের। বিশেষ করে হাই লোডেড গাড়ি (মালগাড়ি) চালাতে পারব। প্রয়োজনে প্যাজেন্সার ট্রেনও চালাতে পারব। এগুলো খুবই ভালো। আমাদের ওয়েস্ট জোনে ৮০ ভাগ লাইনই ব্রডগেজ রয়েছে। সেখানে এগুলো সহজে চলবে। ইঞ্জিন নিয়ে যে সমস্যায় ভুগছিলাম সেখান থেকে আপাতত অনেকটাই মুক্ত হলাম।
এসআইএইচ