রামপালে আত্নসাৎ করা কবরস্থানের টাকা ফেরত, সংস্কার কাজ শুরু
অবশেষে রামপালের কুমলাই গ্রামের জান্নাতুল বাকী গণকবর স্থানের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। বাগেরহাট জেলা পরিষদের বরাদ্দ এনে সেই টাকা আত্মসাৎ করে এক ব্যক্তি। পরে জানাজানি হলে তা পুনরায় জেলা পরিষদে ফেরত দেওয়ার পর সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝুমুর বালা।
অভিযোগে জানা গেছে, রামপাল উপজেলার কুমলাই গ্রামে জান্নাতুল বাকী কবরস্থান নির্মাণ করছেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ব বিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি ডক্টর আ. সালাম। ওই কবরস্থান সংস্কারের জন্য বাগেরহাটের জেলা পরিষদ থেকে ২ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয় । এরপর ওই কবরস্থানের বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের জন্য কাজটি পান ঠিকাদার ফারুক তালুকদার। তিনি কবরস্থানের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবুল কালামের সাথে যোগাযোগ করলে আবুল কালাম কাজটি নিজে করে দিবেন বলে টাকা নিয়ে নেন।
পরে দীর্ঘ ৮/৯ মাস কোনো কাজ না করে টাকা নিজের কাছে রেখে দেন এবং পুরাতন ওয়ালের ছবি তুলে কাজ সম্পন্ন হয়েছে মর্মে ফাইনাল রিপোর্ট জমা দেন আবুল কালাম। দীর্ঘদিন পরে বিষয়টি জানাজানি হলে আবুল কালাম তড়িঘড়ি করে টাকা ফেরত দেন।
অভিযোগের বিষয়ে আবুল কালাম জানান, ঠিকাদার বাঁচার জন্য আমার নাম বলছেন। আমি কিছু জানি না।
এ বিষয়ে ঠিকাদার ফারুক তালুকদার বলেন, আমি সরল বিশ্বাসে আবুল কালামের কাছে টাকা দিয়েছিলাম। সে যে কবরস্থানের টাকা গিলে খাবে তা চিন্তাও করতে পারিনি। তবে টাকা ফেরত পাওয়ার কথা জানান ওই ঠিকাদার।
এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের প্রকৌশলী আওলাদ হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি।
বাগেরহাটের জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝুমুর বালা জানান, আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ডেকে দ্রুত কাজ করার নির্দেশ দিয়েছি। সেখানে কাজ শুরু হয়েছে।
বাগেরহাটের জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামারুজ্জামান টুকু বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি এবং দ্রুত ওয়াল নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছি। এতে কারো কোনো গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসআইএইচ