সুন্দরবনে বাঘ গণনার ক্যামেরা চুরি, আটক ১৪

সুন্দরবনে বাঘ গণনার ক্যামেরা চুরির ঘটনায় ১৪ জেলে ও মাঝিকে আটক করেছে বন বিভাগ। গত ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে চুরির ঘটনায় সাতক্ষীরার আদালতে দায়ের করা দুটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া জেলে ও মাঝিরা হলেন-জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল ওহাব, আবুল হোসেন, মো. মহিবুল্লাহ, নুরুল আলম, আব্দুর রহিম, আমজাদ হোসেন, আছাদুল ইসলাম, রিপন হোসেন, বাবর আলী, আমজাদ হোসেন (২), ইউনুস আলী, মুন্নাফ গাজী ও আকবর হোসেন। তারা সবাই শ্যামনগর ও কয়রা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
জানা যায়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে বাঘ গণনার কাজ। যেটা এখনও চলমান আছে। বাঘ গণনার জন্য সুন্দরবনে ক্যামেরা ট্রাপিং গ্রুপ সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে গাছে গাছে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ করছে। এর ভিতরে সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৩৭৬টি ক্যামেরা স্থাপন করা হলেও নোটাবেঁকী অভায়ারন্য অঞ্চলে স্থাপিত ৮টি ক্যামেরা চুরি হয়ে গেছে।
সুন্দরবনের বন বিভাগের কর্মকর্তারা চুরির বিষয়টি ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বুঝতে পারেন। অনুসন্ধান করে সুন্দরবনের নোটাবেঁকী এলাকা থেকে ৮টি ক্যামেরা চুরি হওয়ার বিষয়ে তারা নিশ্চিত হন। সেই অনুযায়ী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে সুন্দরবনের দুইটি স্টেশন দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয় বন বিভাগ।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এসিএফ ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, ক্যামেরা চুরির ঘটনায় গত ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি মোট ১৪ জনকে আটক করা হয়। সাতক্ষীরার আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়েরের পর তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এসিএফ আরও বলেন, সুন্দরবনের মধ্যে ঢুকে যারা নানা ধরনের অপকর্ম করে থাকে কিংবা অপতৎপরতায় জড়িত তারা এসব ক্যামেরা সরিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত যারা হোক সবাইকে দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
ক্যামেরা চুরির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার জন্য বন বিভাগের একাধিক দল কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ক্যামেরা চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার রিপনের বাবা আমির হোসেন বলেন, তার ছেলে অন্যদের সঙ্গে অভয়ারণ্যে গিয়ে মাছ ধরায় তাকে আটক করে ভিন্ন মামলায় জড়ানো হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, যারা সুন্দরবনে বাঘ-হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত তারাই ক্যামেরা অপসারণ করতে পারে। অথচ প্রকৃত অপরাধীদের আটকে ব্যর্থ হয়ে বন বিভাগ নিরীহ জেলেদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।
এসআইএইচ
