অবৈধ ক্লিনিক বন্ধে সিভিল সার্জনের আল্টিমেটাম

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে মানহীন অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জমজমাট ব্যবসা বন্ধে নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ শুভ্রা রানী দেবনাথ ক্লিনিকগুলো পরিদর্শন করে তাজ্জব বনে যান। ভিজিটের সময় তিনি কোন ক্লিনিকেই সার্বক্ষনিক চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্স পাননি। ক্লিনিকের অস্বাস্থকর পরিবেশ ছিল দুর্গন্ধময়। এতে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপরও তিনি বেসরকারি ক্লিনিকগুলোকে সার্বক্ষণিক ডাক্তার, নার্স ও নবায়নের জন্য ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন।
খবর নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন ডাঃ শুভ্রা রানী দেবনাথ জানান, পরিদর্শনকালে নিউরেসিডো প্রাইভেট হাসপাতালে কোন ডিপ্লোমা নার্স পাওয়া যায়নি। অন্যান্য হাসপাতালের অবস্থাও একই রকম মানহীন। এসব ক্লিনিকে ডাক্তার, নার্স, আয়া, লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, পরীক্ষা নিরীক্ষার উপকরণ কোন কিছুই ছিল না।
উল্লেখ্য গতবছরের ২৩ আগষ্টের মধ্যে বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়ন না করলে কার্যক্রম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলায় বেসরকারি হাসপাতালের মালিকগন লাইসেন্স নবায়ন না করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
ক্লিনিক মালিকরা সিভিল সার্জন অফিসকে ম্যানেজ করে বছরের পর বছর সেবার নামে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু রোগীদের সেবার নামে চলে প্রতারণা ও ভোগান্তি।
সবচে আশ্চর্য্যজনক তথ্য হলো এ সব ক্লিনিকে একটিই ডাক্তার, তিনি হলেন ডাঃ জামিনুর রশিদ। তিনি একাই সামলাচ্ছেন অবৈধ ক্লিনিকগুলো। তাছাড়া হরিণাকুন্ডুতে তিনি কর্মরত আছেন প্রায় ২২ বছর।
সিভিল সার্জন ডাঃ শুভ্রা রানী দেবনাথ গনমাধ্যমকর্মীদের জানান, তিনি স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন সার্বক্ষণিক ডাক্তার, প্রশিক্ষিত নার্স ও লাইসেন্স নবায়ন করা না হলে ১৫ দিনের মধ্যে ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। তাছাড়া ক্লিনিকের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও মানসম্পন্ন করতে হবে। এ সব করা না হলে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে সব ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়া হবে।
এএজেড
