স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

সাতক্ষীরায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্বামী রবিউল ইসলামকে (২৮) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এমজি আযম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, সাতক্ষীরা সদরের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা আসামি রবিউল ইসলাম তার স্ত্রী রাবেয়া খাতুনের (১৮) কাছে দীর্ঘদিন ধরে ১ লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে আসছিল। রাবেয়ার বাবা শহিদুল বিশ্বাস রবিউলকে ৭০ হাজার টাকা দিলেও সে বাকি ৩০ হাজার টাকার জন্য রাবেয়া খাতুনকে মারধর করতে থাকে। এরই একপর্যায়ে ২০১৪ সালের ৬ জুন সন্ধ্যা ৬টার দিকে রবিউল তার স্ত্রী রাবেয়াকে যৌতুকের বাকি টাকার দাবিতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহত রাবেয়ার বাবা শহিদুল বিশ্বাস বাদী হয়ে ২০১৪ সালের ৭ জুন সাতক্ষীরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে রবিউল ইসলাম ছাড়াও আরও ৪ জনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন- রোকেয়া বেগম (৪২), মো. বিল্লাল গাজী (৫২), হাসান (২০) ও আসমা খাতুন (১৬)। এর কিছুদিন পর আসামি রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই তানভির হোসেন ওই বছরের ১৭ নভেম্বর আদালতে এজাহারভুক্ত ৫ জনের নামে অভিযোগপত্র দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি অ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু।
এ প্রসঙ্গে বিশেষ পিপি অ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু জানান, আসামি রবিউল ইসলাম ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দিতে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১৩ জন সাক্ষীর জবানবন্দির প্রেক্ষিতে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া এজাহারভুক্ত অপর ৪ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
আসামি রবিউল ইসলামের ভাই হাসানুজ্জামান জানান, তার ভাইকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। তারা এই রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
এসজি
