মাগুরায় বিএনপির ৮৯ নেতা-কর্মী কারাগারে

মাগুরার শ্রীপুর, মহম্মদপুর ও শালিখা উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের ৮৯ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২৯ জানুয়ারি) আসামিরা মাগুরা অতিরিক্ত জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক মো. জসিম উদ্দিন ৮৯ নেতা-কর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর শ্রীপুর থানায়, ৬ ডিসেম্বর শালিখা থানায় এবং ৭ ডিসেম্বর মহম্মদপুর থানায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা করে পুলিশ।
এসব মামলায় রবিবার শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার আব্বাস উদ্দিনসহ ২৪ জন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে ৩ জনের জামিন মঞ্জুর করে বাকি ২১ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। মহম্মদপুর উপজেলা বিএনপির ২৪ জন আদালতে হাজির হলে ৪ জনের জামিন মঞ্জুর করে বাকি ২০ জনকে এবং শালিখা উপজেলা বিএনপির ৫৭ জন হাজির হলে ৯ জনের জামিন মঞ্জুর করে বাকি ৪৮ জনসহ মোট ৮৯ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. আব্দুর রশীদ, অ্যাড. রোকনুজ্জামান, অ্যাড. শাহেদ হাসান টগর এবং অ্যাড. কুমুদ রঞ্জন তাদের জামিনের আবেদন করেন।
এর আগে আসামিরা হাইকোর্টে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে তাদের ছয় সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেন। পরে রবিবার দুপুরে মাগুরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠান।
এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহম্মদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবীব কিশোর, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, বিএনপি নেতা সৈয়দ রফিকুল ইসলাম তুষার, জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাড. ওয়াসিকুর রহমান কল্লোল, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহম্মেদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রহিমসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহম্মদ বলেন, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক আন্দোলন বানচাল করতে সরকারি মদদে পুলিশ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানি ও নির্যাতন করে যাচ্ছে। এসব মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার করে জামিনের দাবি জানান তিনি।
এসজি
