'বিএনপি অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতায় আসতে চায় '

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, বিএনপি সবসময় অরাজনৈতিক ও অসাংবিধানিক পন্থা পছন্দ করে বলেই অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসতে চায়। কথিত তত্ত্বাবধায়কের সুর তুলে পরিকল্পিতভাবে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ব্যহত করছে। জামায়তকে সঙ্গে নিয়ে দেশের অগ্রযাত্রায় তারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। এর আগে বিএনপি জামায়াত সরকার এদেশে জঙ্গিবাদের উৎর্থান ঘটিয়েছিলো। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ যা শক্ত হাতে প্রতিহত করেছে। তাই বিএনপিকে এখন আর মানুষ বিশ্বাস করেনা।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনা নগরীর শীববাড়ি মোড়ে পুরাতন পাবলিক হল প্রাঙ্গনে যুবলীগ জেলা ও মহানগর শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। যুবলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যান বলেন, পরিচ্ছন্ন রাজনীতি ছাড়া সংগঠনে কারো ঠাঁই নেই। দেশের জনগণের জন্য কাজ করে সুশাসন নিশ্চিত করাই তাদের মূল লক্ষ্য।
তিনি আগামী নিবাচনে জঙ্গিবাদ, আগুন সন্ত্রাস ও বিএনপি-জমায়াতের সকল অপতৎপরতা রুখতে বিনিদ্রা রজনী কাটিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে থাকার আহবান জানান। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে আবার বিজয়ী করে দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে হবে বলেও তিনি নির্দেশ দেন।
বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, যদি সাহস থাকে আর জনগণ আপনাদের পাশে থাকে তাহলে নির্বাচনে এসে প্রমান করুন জনগণ কাদের সাথে আছে। তিনি আরও বলেন, দেশের সকল মানুষ আওয়ামী লীগ করবে এটা আমরা মনে করি না। কিন্তু কেউ স্বাধীনতা বিরোধী কাজ করলে আমরা বসে থাকবো না। শক্ত হাতে তা প্রতিহত করবো। এর আগে তিনি দলীয় নেতাদের সাথে নিয়ে জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা, বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র বাগেরহাটের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটাকে মর্যাদাপূর্ণ স্থানে নিয়ে এসেছেন। এই দেশের উন্নয়নকে ধরে রাখতে হবে আপনার আমার সবার। ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। পুনরায় শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করতে হবে। না হলে দেশে আবার বিএনপি জামাতের পেট্রোল বোমা হামলা খুনের রাজনীতি শুরু হবে। সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবলীগ সভাপতি শেখ কামরুজ্জামান জামাল।
এছাড়া সম্মানিত অতিথি ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস, জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ বি মোজাম্মেল হক ও এস এম কামাল হোসেন, সংসদ সদস্য নারায়ন চন্দ্র চন্দ, আক্তারুজ্জামান বাবু, শেখ রায়হান নাসের তন্ময়, আব্দুস সালাম মূর্শেদী, মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সোহেলসহ জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এছাড়া বক্তব্য রাখেন নগর যুবলীগের আহবায়ক সফিকুর রহমান পলাশ। সম্মেলন পরিচালনা করেন যুগ্ম আহবায়ক শেখ শাহাজালাল সুজন। সম্মেলন উপলক্ষে সকাল থেকেই দলীয় নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে ঢাক ঢোল বাজিয়ে সম্মেলন স্থলে উপস্থিত হয়।
এর আগে ২০০৩ সালের ২৫ মে জেলা যুবলীগের সর্বশেষ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো আর ২০০৮ সালের ৬ জানুয়ারি আগের কমিটি ভেঙে গঠিত হয়েছিলো মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি। সবশেষ নগরের জন্য ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ২৫ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছিলো।
এএজেড
