বছরে সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার ফুল উৎপাদন

বাংলাদেশে ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী। গদখালী, পানিসারা ও নাভারণ ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে রয়েছে হরেক রকমের ফুলচাষ। বৈচিত্র্যময় এ ফুলের রাজ্যকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে প্রথম বারের মতো ঝিকরগাছায় উদ্বোধন করা হয়েছে তিন দিনব্যাপী ফুল উৎসবের। ঝিকরগাছা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার শুরু হয়ে থেকে শনিবার পর্যন্ত চলবে এ উৎসব।
আজ বিকেল ৪ টায় ফুল উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগ যশোরের উপপরিচালক হুসাইন শওকত, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক মঞ্জুরুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান, ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ, ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন ভক্ত, গদখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজান আলী প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একজন নারী ফুলচাষিসহ নয়জন চাষিকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন নারী ফুলচাষি সাজেদা বেগম, শের আলী সর্দার, আব্দুর রহিম, ইসমাইল হোসেন, রুস্তম আলী সর্দার, শাহজাহান আলী, মঞ্জুর আলম, আজিজুল সর্দার ও আবুল হোসেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক তার বক্তৃতায় বলেন, ফুলের বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ অর্থাৎ বিশ্ববাজার ও দেশীয় বাজারে ঝিকরগাছায় উৎপাদিত ফুলকে আরও পরিচিত করতে এই আয়োজন। এই উৎসবের মাধ্যমে ঝিকরগাছা উপজেলার ফুলের সুখ্যাতি আরও বাড়বে। উদ্বোধনের পর জেলা প্রশাসক পানিসারা ও হাড়িয়ার মোড়ের অস্থায়ী ফুলের স্টল পরিদর্শন করেন। সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথম দিনের কর্মসূচি শেষ হয়।
দ্বিতীয় দিনের আয়োজনে আছে নারী ফুলচাষিদের সঙ্গে সরকারের উন্নয়ন দর্শন সম্পর্কে উঠান বৈঠক, শিশুদের ফুল অঙ্কন প্রতিযোগিতা। তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠানে থাকবে উঠান বৈঠকসহ নারী নেতৃত্বে গ্রুপভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কৃষক সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে শেষ হবে ফুল উৎসব।
উল্লেখ্য, ঝিকরগাছার গদখালী অঞ্চলে ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে ১১ প্রকারের ফুল বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়। এই এলাকার ৬০০ পরিবারের দেড় লাখ মানুষ ফুল চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত। প্রতি বছর সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার ফুল উৎপাদন হয় এখানে।
এএজেড
