নড়াইলে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

নড়াইলে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নড়াইল সদর উপজেলার বিছালি ইউনিয়নের চাকই মাঠে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে দুই দিনব্যাপী চাকই-রুখালী ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলার প্রথম দিনে এই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই বিস্তীর্ণ ফাঁকা মাঠজুড়ে বসে মেলা। মেলায় শিশুদের নাগরদোলা থেকে শুরু করে নানা পণ্য সামগ্রী ও খাবারের দোকান বসতে দেখা যায়। রঙিন বেলুন হাতে শিশুদের মাতামাতিও ছিল লক্ষণীয়। দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুর উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা মাঠ। শীতের পড়ন্ত বিকালে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন সকলেই।
এলাকাবাসী জানান, বহু বছর ধরে চাকই-রুখালী ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলায় ঘোড়দৌড় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখানে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। মানুষের মনে আনন্দ-উল্লাস সৃষ্টি হয়। প্রতিটা বাড়িতে বিভিন্ন এলাকা হতে আত্মীয়-স্বজনে ভরে যায়। এক অন্যরকম অনন্দমুখর পরিবেশে এই মেলা পালিত হয়।
দূর-দূরান্ত থেকে ঘোড়দৌড় দেখতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, আগের মতো সব জায়গায় এখন আর ঘোড়দৌড় অনুষ্ঠিত হয় না। এই জায়গায় প্রতি বছর পৌষ মেলায় ঘোড়দৌড় হয়। ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিযোগিতা দেখতে পেরে খুশি তারা। তারা চান, গ্রাম-বাংলার এসব ঐতিহ্যবাহী আয়োজন যেন ভবিষ্যতেও করা হয়।
ঘোড়ার মালিকরা জানান, ঘোড়া দাবড়াইতে তাদের অনেক খরচ হয়। কোথাও পুরষ্কার পান আবার কোথাও পান না। কিন্ত তারপরও তারা আনন্দের জন্য অনেক জায়গায় ঘোড়া দাবড়াতে যান।
বিছালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হেমায়েত হুসাইন ফারুক বলেন, প্রায় ৩০০ বছর ধরে এখানে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এই মেলা দেখতে অন্তত ১০ ইউনিয়নের লোক একত্রিত হয়েছে। এই ঐতিহ্য ধরে রাখলে একদিকে যেমন আমাদের পারস্পারিক ভালোবাসার বন্ধন অটুট থাকবে তেমনি গ্রাম বাংলার যে ঐতিহ্য সেটি ধরে রাখতেও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।
উল্লেখ্য, এই পৌষ মেলার দ্বিতীয় দিনে (১৭ জানুয়ারি) ভাবগানের আয়োজন করা হয়। ভাবগানে মঞ্চ মাতান বয়াতী নজরুল ইসলাম এবং মায়া রানী।
এসআইএইচ
