মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের নির্বাচনে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নলকূপ প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। জেলা পরিষদের সদস্য থাকাকালীন ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ওই টাকা আত্মসাত করেন তিনি। আত্মসাত করা টাকা ফেরত চাইলে ভুক্তভোগীদের নানাভাবে হয়রারি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও অভিযোগ উঠেছে জেলা পরিষদের সদস্য থাকাকালীন মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিমখানাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে টাকা দেওয়ার নাম করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাত করার।

এসব ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার ও পাওনা টাকা ফেরত চেয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সদর উপজেলার বাউখোলা এলাকার মৃত মোছেল উদ্দীন সরদারের ছেলে মতিয়ার রহমান। তবে অভিযোগ দায়েরের ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও থানা পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন মতিয়ারসহ তার পরিবারের সদস্যরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আশাশুনি উপজেলার শ্রীঊলা এলাকার লুৎফর গাজীর ছেলে নুরুল হুদার কাছে ব্যবসার ২০ লাখ টাকা পেতেন মতিয়ার রহমান। তবে মতিয়ারের পাওনা টাকা দিতে নাজমুল অপারগতা প্রকাশ করলে আদালতে একটি মামলা করেন মতিয়ার। একপর্যায়ে ২০১৭ সালের ২৭ মার্চ নুরুল হুদা মামলা থেকে রেহাই পেতে জেলা পরিষদের দারস্থ হন। ওইসময় শান্তিপূর্ণ ভাবে বিষয়টি সমাধানের জন্য জেলা পরিষদের সদস্য মনিরুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

একপর্যায়ে জেলা পরিষদের প্যাডে মতিয়ারের অগোচরে নুরুল হুদার থেকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা গ্রহণ করেন মনিরুল। একপর্যায়ে মতিয়ার তার পাওনা টাকা ফেরত চাইলে মনিরুল টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে মতিয়ারকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এতে, উপায়ন্তর না পেয়ে জীবনের নিরাপত্তা ও পাওনা টাকা আদায়ের জন্য সাতক্ষীরা সদর থানায় মনিরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি।

এব্যাপারে ভুক্তভোগী মতিয়ার রহমান জানান, নুরুল হুদার থেকে টাকা আদায়ের কথা বলে জেলা পরিষদের সদস্য থাকাকালীন আমাদের কাছে থাকা নুরুল হুদার সাদা চেক আমার স্ত্রীর কাছ থেকে গ্রহণ করেন মনিরুল। চেক গ্রহণের কিছুদিন পর মনিরুল আমাদের জানাই চেকটি হারিয়ে গেছে। ওইসময় চেক হারানোর বিষয়ে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। অথচ মনিরুল ওই চেককে ব্যবহার করে নুরুল হুদার থেকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা গ্রহণ করেন আমাদের অগোচরে। পরে বিষয়টি যখন নুরুল হুদা আমাদের জানান তখন আমাদের কথাতে নুরুল হুদা মনিরুলকে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেন। এতে মনিরুল ক্ষিপ্ত হয়ে নুরুল হুদার বিরুদ্ধে ১৮ লাখ টাকার মিথ্যা চেক জালিয়াতির মামলা দেন।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিষয়টি জানার পর আমরা মনিরুলের কাছে টাকা চাই। তবে মনিরুল টাকা না দিয়ে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এবিষয়ে সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছি। তবে থানা-পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করিনি।

এদিকে খোজঁ নিয়ে জানা যায় মতিয়ার ছাড়াও মনিরুল প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন ওই এলাকার অনেকে। সরেজমিনে বাউখোলা এলাকায় গেলে স্থানীয়রা বলেন, মনিরুলের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়ে বাড়ি ছাড়তে হয়েছে ওই এলাকার সোহেলউদ্দীন সরদারের ছেলে নোমিছুর রহমানের। কারণ হিসেবে স্থানীয়রা বলেন, নোমিছুর রহমানসহ একই এলাকার শাহিদুল ইসলামের ছেলে মোস্তফা বিদেশ যাওয়ার জন্য আখড়াখোলা এলাকার আনছারুজ্জামানের ছেলে জামিলুজ্জামানের কাছে ১১ লাখ টাকা দেন। তবে নোমিছুর-মোস্তফাদের বিদেশ তুলতে ব্যর্থ হন জামিলুজ্জামান। ওই সময় বিদেশ যাওয়ার জন্য জামিলুজ্জামানের কাছে দেওয়া অর্থ ফেরত চাইলে অর্থ ফেরত দিতে টালবাহানা করতে থাকেন তিনি। একপর্যায়ে টাকা উদ্ধারে জেলা পরিষদ সদস্য মনিরুল ইসলামের দারস্থ হলে জামিলুজ্জামানকে টাকার জন্য আটকিয়ে রেখে মনিরুল তার নিজের নামে জামিলুজ্জামানের থেকে ১০ লাখ টাকার চেক (ইসলামী ব্যাংকের চেক নম্বর: ০৪৩৪৮০৮) গ্রহণ করেন। আর ওই চেককে ব্যবহার করে জামিলুজ্জামানের থেকে ১০ লাখ টাকা গ্রহণ করেন মনিরুল। একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে নোমিছুর-মোস্তফারা মনিরুলের কাছে টাকা চাইলে মনিরুল টাকা না দিয়ে তাদের বিভিন্নভাবে হয়রারি করতে থাকেন। আর এইসব বিষয় নিয়ে নোমিছুরের সঙ্গে তার পরিবারের বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় বাড়ি ছাড়তে হয় নোমিছুরের।

এ ব্যাপারে নোমিছুর রহমান বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে সুদ করে অর্থ নিয়ে বিদেশ যাওয়ার জন্য জামিলুজ্জামানের কাছে টাকা দেয়। তবে জামিলুজ্জামান আমাদের বিদেশ পাঠাতে ব্যর্থ হলে জামিলুজ্জামানের কাছে আমাদের পাওনা টাকা আদায়ের কথা বলে তৎকালীন জেলা পরিষদ সদস্য মনিরুল ইসলাম জামিলুজ্জামানের থেকে আমাদের টাকা আদায় করে সেটা আত্মসাত করেন। এদিকে যাদের কাছ থেকে সুদ করে টাকা নিয়েছিলাম তাদের লাভের টাকা দিতে না পারাই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আমার দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এসময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মনিরুল ভালো মানুষের মুখোশ পরে তাকে কিন্তু এক নম্বরের দুর্নীতি ওর ভেতরে। শুধু ওর কারণে আমি বাড়ি ছাড়া। ওই টাকাগুলো আমার অনেক কষ্টের টাকা। ইহকালে না হলেও পরকালে মনিরুলকে আমার টাকা দেওয়া লাগবে। আমি কখনো ওরে মাফ করব না।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সরকার দলীয় নেতা-কর্মীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মনিরুলের ক্ষমতার কাছে আমরা নিরুপায়। সে তো মসজিদ-এতিমখানাকেও ছাড় দেয় না। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ পেতে হলে মনিরুলকে লাখে ২০ হাজার টাকা অগ্রিম দেওয়া লাগে। যেখানে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তার থেকে নিস্তার পাই না সেখানে সাধারণ মানুষেরা কীভাবে নিস্তার পাবে?

এব্যাপারে অভিযুক্ত জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মনিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার বক্তব্য জানতে চাইলে ব্যস্ত রয়েছেন জানিয়ে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। পরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স. ম. কাইয়ুম বলেন, এতদিন কোনো অভিযোগ ঝুলে থাকার কথা নয়। অভিযোগটির তদন্তকারী কর্মকর্তা কেন অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি সেটা খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসএন

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সক্রিয় সদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এদের মধ্যে বাকি ৫ জন চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১টি অটো চার্জার ভ্যান এবং ১৯টি অটো চার্জার ভ্যানের ব্যাটারিসহ ১৫০ কেজি খুচরা যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহীর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ফারজানা হোসেন এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, জেলার পোরশা উপজেলার সোভাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল জব্বার (৪০) চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পাথরপূজার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে নুরুজ্জামান (৪০) এবং নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ধবলডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩০)।

গ্রেপ্তারকৃত চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সদস্যরা হলেন, জেলার মান্দা উপজেলার উত্তর কাঞ্চন গ্রামের আলম খানের ছেলে শহিদ খান (৩৪) একই গ্রামের পরেশ আলী মৃধার ছেলে কাওছার আলী মৃধা (২৪), উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের তমিজউদদীন মোল্লার ছেলে আব্দুল মতিন মোল্লা (৫০), কামারকুড়ি গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান (৪২) এবং শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত সোলায়মান মন্ডলের ছেলে আজিজুল মন্ডল(৬৪)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন বলেন, বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত অনুমানিক ৮ টার দিকে সাপাহার থানার নোচনাহার বাজার থেকে সাদিকুল ইসলাম (৩২) নামে এক অটো চার্জার ভ্যান চালক তার নিজের অটো চার্জার ভ্যান চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে সাপাহার থানাধীন ইলিমপুর মোড় হইতে হরিপুর বাজারগামী রোডে ইলিমপুর ব্রীজের নিকট পৌছাতেই রাস্তার পাশে ওৎপেতে থাকা ০৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার অটো চার্জার ভ্যান থামিয়ে তাকে ভ্যান থেকে টেনে নামায় এবং তার গলার চাকু ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে পাশের আম বাগানে নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে।

পরবর্তীতে তারা সাদিকুলের অটো চার্জার ভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। অপর আরো একটি ঘটনায় একই ডাকাত দল গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে পোরশা থানার সরাইগাছি - আড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কের মশিদপুর এলাকায় এক অটো চার্জার ভ্যান চালককে আটক করে। তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার অটো চার্জার ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এই দুই ঘটনায় পোরশা এবং সাপাহার থানায় আলাদা দুইটি মমলা হয়। মামলার পর থেকেই পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবির) একটি বিশেষ টিম অভিযান অব্যাহত রাখে। গতকাল (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহী জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩ জন ডাকাত এবং চোরাই ভ্যানের মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত এমন ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফারজানা হোসেন আরও বলেন, গ্রেফাতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে মোহাম্মদ সেলিম (৩০) বহুল আলোচিত সাপাহার উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ হিল কাফি হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী। সেলিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। এছাড়াও ডাকাত আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০ টি এবং ডাকাত নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪ টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুমন রঞ্জন সরকার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি ডিবি) আব্দুল মান্নানসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা পরেশ রাওয়াল সম্প্রতি এক বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন। ‘ঘাতক’ ছবির শুটিং চলাকালে হাঁটুর মারাত্মক আঘাতের পর দ্রুত সেরে ওঠার জন্য তিনি নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।

রাকেশ পান্ডের সঙ্গে একটি দৃশ্যের শুটিং চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আঘাতের পর পরিচালক তিন্নু আনন্দ ও অভিনেতা ড্যানি দেনজোংপা তাকে দ্রুত মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে গভীর উদ্বেগে ছিলেন পরেশ রাওয়াল। তখনই প্রয়াত অ্যাকশন ডিরেক্টর বীরু দেবগণ তাকে পরামর্শ দেন প্রতিদিন সকালে নিজের মূত্র পান করার জন্য। বীরু দেবগণের যুক্তি ছিল, বহু যোদ্ধা শরীরের দ্রুত আরোগ্যের জন্য এমন পদ্ধতি অনুসরণ করতেন। পরেশ রাওয়াল সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি তখন এমন এক মানসিক অবস্থায় ছিলেন যে সুস্থতার জন্য যেকোনো কিছু করতে রাজি ছিলেন।

 

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টানা ৩০ দিন নিজের মূত্র পান করেন পরেশ। পরে চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চমকপ্রদ ফলাফল পান। চিকিৎসকদের মতে, তার চোট সারাতে যেখানে আড়াই মাস সময় লাগার কথা ছিল, সেখানে তিনি মাত্র দেড় মাসেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

বর্তমানে পেশাগত জীবনেও ব্যস্ত সময় পার করছেন পরেশ রাওয়াল। শিগগিরই তিনি প্রিয়দর্শনের পরিচালনায় নির্মিত হরর-কমেডি 'ভূত বাংলা' ছবিতে অক্ষয়কুমার ও টাবুর সঙ্গে অভিনয় করবেন। পাশাপাশি ‘হেরা ফেরি ৩’-তেও পুরনো সহ-অভিনেতা অক্ষয়কুমার ও সুনীল শেঠির সঙ্গে আবার পর্দা ভাগ করবেন।

 

Header Ad
Header Ad

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে নাহিদ ইসলামের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, "শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।" তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ