মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধ্বংসের পথে রবীন্দ্রনাথের শিলাইদহ কাচারি বাড়ি

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিলাইদহে যে শুধুমাত্র সাহিত্য চর্চা করেছেন তা নয়। সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি মানব কল্যাণে দরিদ্র জনগণের সঙ্গে নিবিড় সেতুবন্ধন স্থাপন করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি মানব কল্যাণে স্থাপন করেছিলেন কাচারি বাড়ি ও দাতব্য চিকিৎসালয়।

রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শিলাইদহে নির্মাণ করা কাচারি বাড়ি ও দাতব্য চিকিৎসালয়টি বর্তমানে পরিণত হয়েছে পরিত্যাক্ত স্থাপনায়। তার সেই স্মৃতি বিজড়িত বাড়িতেই এখন গোবর শুকাচ্ছেন স্থানীয়রা। অযত্ন আর অবহেলায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বিশ্ব কবির স্মৃতি বহনকারী ঐতিহাসিক এই কাচারি বাড়িটি। ইতিমধ্যে কাচারি বাড়িটির বিভিন্ন আসবাবপত্রসহ দরজা ও জানালা চুরি হয়ে গেছে।

শিলাইদহের এই কাচারি বাড়িতে বসেই রবীন্দ্রনাথ তার পৈতৃক জমিদারির খাজনা আদায় করতেন। তার সেই স্মৃতি বিজড়িত কাচারি বাড়িটিকে স্থানীয়রা এখন গোবরের ভাগারে পরিণত করেছেন। এমন অবস্থায় কুঠিবাড়িটির মতো বিশ্বকবির স্মৃতিবিজড়িত এই দুটো স্থাপনা সংরক্ষণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে কবিগুরুর ভক্ত ও অনুরাগীরা।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত কুঠিবাড়িটি বেশ আগে থেকেই পুরো বাংলাদেশেসহ বিশ্বব্যাপী ব্যাপক পরিচিতি লাভ করলেও কুঠিবাড়ির মাত্র ৫০০ মিটার দূরে অবস্থিত কাচারি বাড়ি ও দাতব্য চিকিৎসালয়টির খোঁজ কেউ রাখে না।

এই কাচারি বাড়িটি অনেকটা মানুষের চোখের আড়ালেই রয়ে গেছে। ১৮৯১ সাল থেকে ১৯০১ সাল পর্যন্ত প্রায় ১০ বছর এই বাড়িতে বসেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদারির খাজনা আদায় করেতেন। তৎকালীন পূর্ববঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশ) শিলাইদহ ছিল রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের জমিদারির মূলকেন্দ্র। কালের বিবর্তনে সেই জমিদারি আর এখন নেই, নেই খাজনা দেওয়ার লোকজনও।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিলাইদহের কাচারি বাড়িটি বাঙালি জাতির জন্য একটি অমূল্য সম্পদ। কিন্তু অবহেলায় আর অযত্নে এ বাড়িটি দিনে দিনে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অথচ ঠিকমতো সংস্কার ও সংরক্ষণ করা হলে এই কাচারি বাড়িটিও পর্যটনদের কাছে আরও একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হতো। ফলে কাচারি বাড়িটি হয়ে উঠত সরকারের রাজস্ব আয়ের একটি নতুন উৎস হিসেবে। কয়েক বছর আগেও এই বাড়িতে শিলাইদহ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কার্যক্রম পরিচালিত হতো। শিলাইদহ ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণের ফলে বর্তমানে ইউনিয়ন ভূমি অফিস সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ কারণে কাচারি বাড়িটি এখন পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে।
বর্তমানে কাচারি বাড়িটি স্থানীয় লোকজনের গোবরের, লাকড়ি শোকানোর আদর্শ স্থান ও মাদকসেবীদের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়েছে। বাড়ির সামনের ফাঁকা জায়গা পরিণত হয়েছে গরু, ছাগলের চারণভূমিতে। দাতব্য চিকিৎসালয়ের ভাঙা চারটি কক্ষের মধ্যে দুটি কক্ষের ছাদ সংস্কার করা হলেও কাচারি বাড়িটির এখনো কিছুই করা হয়নি। এর ফলে কাচারি বাড়ির পলেস্তারা, বারান্দাসহ কয়েকটি কক্ষের ছাদের কিছু অংশ ভেঙে পড়েছে, কিছু কিছু জায়গার ইট খসে পড়েছে, দেয়ালের গায়ে জন্মেছে বট, পাকর গাছ, আগাছায় ছেয়ে গেছে চারপাশ। বিশ্ব কবির কাচারি বাড়িটিতে পাঁচ একর জমি রয়েছে, যা ইতিমধ্যে অনেক প্রভাবশালীরা দখল করে নিয়েছেন।

এদিকে বিশ্বকবির কাচারি বাড়ি ও দাতব্য চিকিৎসালয়টিতে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে নোটিশ টাঙিয়ে রাখলেও কেউ মানছে না নোটিশে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা।

সাহিত্যের পাশাপাশি মানব কল্যাণে দরিদ্র জনগণের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছিলেন সে বিষয়টি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাতে হলে রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত নিদর্শনগুলোকে টিকিয়ে রাখা খুবই জরুরি বলে মনে করেন রবিন্দ্র ভক্ত ও অনুরাগীরা।

কবি ও নাট্যকার লিটন আব্বাস বলেন, রবিন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত কাচারি বাড়ি ও দাতব্য চিকি’ৎসালয়টি ঐতিহ্য । এসব স্থাপনার সংরক্ষণ করা উচিত এসবের অর্থনৈতিক মূল্য না থাকলেও এর ঐতিহাসিক মূল্য রয়েছে। কাজেই এসব স্থাপনা আবার পূর্বের রূপে ফিরিয়ে দেওয়া গেলে যেমন পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটবে তেমনি এ দেশীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে দেশ-বিদেশের মানুষ জানতে পারবে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ডিন ও রবীন্দ্র গবেষক অধ্যাপক ড. সরোওয়ার মুর্শেদ বলেন, রবীন্দ্রনাথ আমাদের আবেগের জায়গা। রবীন্দ্রনাথের শিলাইদহ কাচারি বাড়ি ও মহৌষি দাতব্য চিকিৎসালয়টিকে শুনেছি পুরাকীর্তি বিভাগ অধিগ্রহণ করেছে। অতি দুঃখের বিষয় পুরাকীর্তি হিসেবে এগুলো যে নিয়েছে তার প্রতিফলন কিন্তু আমরা দেখছি না। আমরা চাই রবীন্দ্রনাথের অমূল্য যে স্মৃতি সেগুলো বাঙালি জাতির জন্য, বাঙালি পর্যটকদের জন্য, বিদেশি পর্যটকদের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এটাকে আকর্ষনীয় করে গড়ে তুলবেন বলে আমরা আশা রাখি।

এ বিষয়ে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল বলেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত কাচারি বাড়িটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। এই বাড়ির সংস্কার করে ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা খুবই জরুরি। রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত এই কাচারি বাড়িটি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। খুব দ্রুতই কাচারি বাড়িটি সংরক্ষণের জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ শুরু করা হবে।

এ ব্যাপারে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক আপরোজা খান মিতা জানান, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শিলাইদহ কাচারি বাড়ি ও দাতব্য চিকিৎসালয় সংরক্ষণে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কাজ করছে। কাচারি বাড়িটির মূল ভবনের কয়েকটি কক্ষ ও বারান্দার ছাদ ভেঙে গেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বরাদ্দ দিয়ে ভেঙে যাওয়া ওই ছাদ সংস্কার করাসহ অন্যান্য কাজ করা হবে। পর্যায়ক্রমে পুরো ভবনটাই আগের রূপে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরকে সুধুমাত্র কাচারি বাড়ির বিল্ডিং ও দাতব্য চিকিৎসালয়ের বিল্ডিং দেওয়া হয়েছে। আমরা পাশের আর কিছু খাস জমি চেয়েছি, যাতে করে এসব স্থাপনাগুলোর চারপাশে প্রাচীর দিয়ে রক্ষা করতে পারি। আমরা ইতিমধ্যে দাতব্য চিকিৎসালয়ের বেশ কিছু কাজ করেছি। খুব শিগগিরই বিশ্বকবির স্মৃতি বিজড়িত কাচারি বাড়িটিকেও আমরা আগের রূপে দেখতে পারব।

এসআইএইচ

 

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সক্রিয় সদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এদের মধ্যে বাকি ৫ জন চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১টি অটো চার্জার ভ্যান এবং ১৯টি অটো চার্জার ভ্যানের ব্যাটারিসহ ১৫০ কেজি খুচরা যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহীর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ফারজানা হোসেন এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, জেলার পোরশা উপজেলার সোভাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল জব্বার (৪০) চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পাথরপূজার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে নুরুজ্জামান (৪০) এবং নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ধবলডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩০)।

গ্রেপ্তারকৃত চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সদস্যরা হলেন, জেলার মান্দা উপজেলার উত্তর কাঞ্চন গ্রামের আলম খানের ছেলে শহিদ খান (৩৪) একই গ্রামের পরেশ আলী মৃধার ছেলে কাওছার আলী মৃধা (২৪), উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের তমিজউদদীন মোল্লার ছেলে আব্দুল মতিন মোল্লা (৫০), কামারকুড়ি গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান (৪২) এবং শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত সোলায়মান মন্ডলের ছেলে আজিজুল মন্ডল(৬৪)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন বলেন, বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত অনুমানিক ৮ টার দিকে সাপাহার থানার নোচনাহার বাজার থেকে সাদিকুল ইসলাম (৩২) নামে এক অটো চার্জার ভ্যান চালক তার নিজের অটো চার্জার ভ্যান চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে সাপাহার থানাধীন ইলিমপুর মোড় হইতে হরিপুর বাজারগামী রোডে ইলিমপুর ব্রীজের নিকট পৌছাতেই রাস্তার পাশে ওৎপেতে থাকা ০৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার অটো চার্জার ভ্যান থামিয়ে তাকে ভ্যান থেকে টেনে নামায় এবং তার গলার চাকু ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে পাশের আম বাগানে নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে।

পরবর্তীতে তারা সাদিকুলের অটো চার্জার ভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। অপর আরো একটি ঘটনায় একই ডাকাত দল গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে পোরশা থানার সরাইগাছি - আড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কের মশিদপুর এলাকায় এক অটো চার্জার ভ্যান চালককে আটক করে। তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার অটো চার্জার ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এই দুই ঘটনায় পোরশা এবং সাপাহার থানায় আলাদা দুইটি মমলা হয়। মামলার পর থেকেই পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবির) একটি বিশেষ টিম অভিযান অব্যাহত রাখে। গতকাল (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহী জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩ জন ডাকাত এবং চোরাই ভ্যানের মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত এমন ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফারজানা হোসেন আরও বলেন, গ্রেফাতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে মোহাম্মদ সেলিম (৩০) বহুল আলোচিত সাপাহার উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ হিল কাফি হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী। সেলিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। এছাড়াও ডাকাত আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০ টি এবং ডাকাত নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪ টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুমন রঞ্জন সরকার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি ডিবি) আব্দুল মান্নানসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা পরেশ রাওয়াল সম্প্রতি এক বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন। ‘ঘাতক’ ছবির শুটিং চলাকালে হাঁটুর মারাত্মক আঘাতের পর দ্রুত সেরে ওঠার জন্য তিনি নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।

রাকেশ পান্ডের সঙ্গে একটি দৃশ্যের শুটিং চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আঘাতের পর পরিচালক তিন্নু আনন্দ ও অভিনেতা ড্যানি দেনজোংপা তাকে দ্রুত মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে গভীর উদ্বেগে ছিলেন পরেশ রাওয়াল। তখনই প্রয়াত অ্যাকশন ডিরেক্টর বীরু দেবগণ তাকে পরামর্শ দেন প্রতিদিন সকালে নিজের মূত্র পান করার জন্য। বীরু দেবগণের যুক্তি ছিল, বহু যোদ্ধা শরীরের দ্রুত আরোগ্যের জন্য এমন পদ্ধতি অনুসরণ করতেন। পরেশ রাওয়াল সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি তখন এমন এক মানসিক অবস্থায় ছিলেন যে সুস্থতার জন্য যেকোনো কিছু করতে রাজি ছিলেন।

 

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টানা ৩০ দিন নিজের মূত্র পান করেন পরেশ। পরে চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চমকপ্রদ ফলাফল পান। চিকিৎসকদের মতে, তার চোট সারাতে যেখানে আড়াই মাস সময় লাগার কথা ছিল, সেখানে তিনি মাত্র দেড় মাসেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

বর্তমানে পেশাগত জীবনেও ব্যস্ত সময় পার করছেন পরেশ রাওয়াল। শিগগিরই তিনি প্রিয়দর্শনের পরিচালনায় নির্মিত হরর-কমেডি 'ভূত বাংলা' ছবিতে অক্ষয়কুমার ও টাবুর সঙ্গে অভিনয় করবেন। পাশাপাশি ‘হেরা ফেরি ৩’-তেও পুরনো সহ-অভিনেতা অক্ষয়কুমার ও সুনীল শেঠির সঙ্গে আবার পর্দা ভাগ করবেন।

 

Header Ad
Header Ad

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে নাহিদ ইসলামের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, "শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।" তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ