ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন উপকূলের মানুষ
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ও আটুলিয়া ইউনিয়নের ৫টি পৃথক পয়েন্টের বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে উপকূলের বাসিন্দাদের।
শনিবার (৮ অক্টোবর) রাতে ইউনিয়ন দুটির হাজরাখালী বশিরের গেট, কোলা মধ্যপাড়া জামে মসজিদ, বিছট খেয়াঘাট, বিছট মোড়লবাড়ি ও কুড়িকাহুনিয়া লঞ্চ টার্মিনালের দক্ষিণ পাশে ভাঙন দেখা দেয়।
প্রতাপনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা মিলন হোসেন বলেন, প্রতাপনগর ইউনিয়নের শ্রীপুর কুড়িকাহুনিয়া লঞ্চঘাটের দক্ষিণ অংশের শেষ সীমানায় প্রায় দুইশ' ফুট বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ফাটল ও ধস দেখা গেছে।
বর্তমানে ভাঙন ও প্লাবন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের পর প্রায় দুই বছর নদীর পানিতে প্লাবিত ছিল প্রতাপনগর। এ কারণে শ্রীপুর কুড়িকাহুনিয়া লঞ্চঘাটের দক্ষিণ অংশের শেষ সীমানার এ অংশে ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আবারও নদীর পানিতে প্লাবিত হবে প্রতাপনগর।
এ ব্যাপারে প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান আবু দাউদ বলেন, বেড়িবাঁধে ভাঙনের বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। সোমবার থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জিও বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধে কাজ করবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন কর্মকর্তা (এসও) আলমগীর কবির বলেন, ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে পর্যাপ্ত জিও বস্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আপাতত জিও বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এসজি