শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জাহাজ নির্মাণ শিল্পে এগিয়ে খুলনা শিপ ইয়ার্ড

জাহাজ রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে অন্যতম প্রতিষ্ঠান খুলনা শিপ ইয়ার্ড। এটি বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। জার্মানির সহায়তায় প্রায় ৬৫ বছর আগে যাত্রা শুরু করেছিল এই শিপ ইয়ার্ড। তবে আশির দশকের দিকে এটি লোকসানের মুখে পড়ায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। এরপর ১৯৯৯ সালের দিকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৃতপ্রায় প্রতিষ্ঠানটিকে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেন। তার পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে ইয়ার্ডটি উন্নয়নশীল লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও গত ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি নিট মুনাফা করেছে ৪৩ দশমিক ২২ কোটি টাকা।

এ প্রসঙ্গে এক সময়ের বাংলাদেশে সাড়া জাগানো ম্যাজিষ্টেটি এবং বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিরেক্টর (এনফোর্সমেন্ট) মুনীর চৌধুরী জানান, তিনি ৫/৬ মাস আগেই খুলনা শিপ ইয়ার্ড দিয়ে ঘুরে এসেছেন এবং সেখানকার পরিবেশ সন্তোষজনক। বাংলাদেশের যেকোনো শিপ ইয়াডের চেয়ে খুলনা শিপ ইয়ার্ড ভালো অবস্থানে রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের সকল শিপ ইয়ার্ডকে খুলনা শিপ ইয়ার্ড অনুসরন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের আইন মানতে অনুরোধ জানান।


খুলনা শিপ ইয়ার্ডের সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলে বোঝা যায়, প্রতিযোগিতা মূলক দাম, স্বল্প সময়ে ডেলিভারি, কারিগরি দক্ষতার দায়িত্ববোধ, গুণগত মান, গ্রাহক বান্ধব সম্পর্ক, সেবা, পেশাগত ব্যবস্থাপনা, শ্রম প্রত্যায়ন, দক্ষতা সম্পন্ন কর্মশক্তি, মানব সম্পদ উন্নয়ন ইত্যাদি মিলিয়ে খুলনা শিপ ইয়ার্ড লিমিটেড শুধু বাংলাদেশে নয় বরং সমগ্র পৃথিবীতে একটি উজ্জবল নক্ষত্রে পরিণত হয়েছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে দেশান্তরের মানুষের নৌযানের জন্য হয়ে উঠেছে এক নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান।

এ ব্যাপারে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং জাহাজ নির্মাণ খাত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন দেশের আমদানিকারকরা বাংলাদেশ থেকে জাহাজ আমদানি করতে চাইছে। গত কয়েক বছরে দেশের শিপ ইয়ার্ডগুলো ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ার কয়েকটি দেশে ৪০টি জাহাজ রপ্তানি করে। তাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় জাহাজ যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করা হয়েছে। দেশের অন্য উদ্যোক্তারাও জাহাজ শিল্পে নতুন স্বপ্ন দেখছেন। জাহাজ নির্মাণে অনুকূল পরিবেশ থাকায় উদ্যোক্তাদের এ খাতে নতুন বিনিয়োগ বৃদ্ধিরও পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ বাংলাদেশের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের আমদানিকারকরা আগ্রহী হয়ে উঠছে। এ জন্য বিশ্ববাজারে ছোট ও মাঝারি নৌযানের জন্য বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তাইতো অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা পূরণ করে গত এক দশকে এ খাতের রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ জালানি, ৭০ শতাংশ কার্গো এবং ৩৫ শতাংশ যাত্রী নৌ-পথে পরিবাহিত হয়, যা দেশের অভ্যন্তরে জাহাজের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি করেছে। দেশে ছোট-বড় মিলে প্রায় ৩০০ শিপ ইয়ার্ড রয়েছে। তবে তার মধ্যে মাত্র ১০টি প্রতিষ্ঠান রপ্তানিযোগ্য জলযান তৈরি করে। আর এসব জলযান নির্মাণে প্রায় ৩ লাখ মানুষ জড়িত।

সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়,অভ্যন্তরীণ বাজার ১০-১৫ শতাংশ হারে এবং রপ্তানি বাজার ৫-৬ শতাংশ হারে বাড়ছে। বর্তমানে ১০০টিরও বেশি জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান এবং ১২০টিরও বেশি নানা আকারের নিবন্ধিত শিপ ইয়ার্ড রয়েছে। দেশে ছোট-বড় মিলে পায় তিন শতাধিক শিপ ইয়ার্ড রয়েছে। তার মধ্যে ১০টি রপ্তানিযোগ্য জাহাজ তৈরি করে।

দেশের অভ্যন্তরে ব্যবহারের জন্য স্থানীয়ভাবে নির্মিত নৌযানের মধ্যে রয়েছে এমপিভি, কন্টেনার, বাল্কার, ট্যাঙ্কার, ড্রেজার, টাগ এবং যাত্রীবাহী ফেরি। আকারে ওসব ১-২০ হাজার বিডাব্লিউটির মধ্যে।

এদিকে গত ২০১৮ সাল থেকেই বৈশ্বিক বাজারে আবারো বাংলাদেশের অবস্থান ফেরাতে শুরু করে জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ইউরোপের বাজারে পরিবেশ বান্ধব জাহাজের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় জাহাজ রপ্তানিতে নতুন নতুন অর্ডার আসতে শুরু করেছে। ফলে বাংলাদেশও এখন পরিবেশ বান্ধব জাহাজ নির্মাণ করছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৮ সালে অত্যাধুনিক কন্টেনার জাহাজ ‘স্টেলা মেরিস’ ডেনমার্কে রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রথম জাহাজ রপ্তানি শুরু হয়। তারপর মাত্র দুই বছরে বিভিন্ন দেশে ১১টি জাহাজ রপ্তানি করে বাংলাদেশ।

জানা গেছে, জাহাজ শিল্পে নতুন স্বপ্ন দেখছে দেশীয় উদ্যোক্তারা । জাহাজ নির্মাণে অনুকূল পরিবেশ থাকায় নতুন বিনিয়োগ বৃদ্ধিরও পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। বর্তমানে বিশ্বের উপকূলীয় দেশগুলো সমুদ্র কেন্দ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে-জোর দিচ্ছে। এ কারণে সমুদ্র থেকে মৎস্য ও খনিজ সম্পদ আহরণ, সামুদ্রিক নবায়নযোগ্য শক্তি, সামুদ্রিক পর্যটন, সমুদ্র নিরাপত্তা ও গবেষণা ঘিরে কর্মযজ্ঞ বাড়ছে। সেজন্য উচ্চ প্রযুক্তির বিশেষায়িত ছোট-বড় জাহাজ সমুদ্র অর্থনীতির ওইসব কর্মকাণ্ডের জন্য প্রয়োজন। ইতিমধ্যে জাহাজ ভাড়া ২৫-৩০ শতাংশ বেড়ে গেছে। আর বিশ্ববাজারেও ব্যাপক হারে বেড়েছে জাহাজের চাহিদা। তার সুফল পাচ্ছে দেশীয় রপ্তানিকারকরা। পাশাপাশি এ খাতের রপ্তানি বাড়াতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকারও। রপ্তানিকারকদের নগদ সহায়তা, কর ছাড়সহ নানা প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। ওই খাতে ব্যাংকগুলোও মোটা অঙ্কের অর্থায়ন করেছে। একটি নীতিমালাও করা হয়েছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক জাহাজ নির্মাণ শিল্পের উন্নয়ন, পরিচালনা ও বিকাশের লক্ষ্যে ২ হাজার কোটি টাকার একটি পুনরায় অর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে। তাতে প্রত্যাশা করা হচ্ছে জাহাজ রপ্তানি থেকে বছরে ৪ বিলিয়ন ডলার আয় হবে।

সূত্র আরো জানায়, জাহাজ রপ্তানি থেকে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার আয় করে বাংলাদেশ। বিশ্ববাজারে সম্ভাবনা থাকায় ২০২০-২১ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়ে ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার ধরা হলেও তখন রপ্তানিকারকরা কোনো জাহাজই রপ্তানি করতে পারেননি। ওই কারণে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় মাত্র ২ হাজার ডলার। মহামারীর বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নামমাত্র ওই লক্ষ্য ধরে সরকার। তারপরও অর্থবছর শেষে ওই খাত থেকে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়। তবে ওই সময় জাহাজ রপ্তানিকারকরা প্রায় হাল ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু এরপর আবার ঘুরে দাঁড়ায় জাহাজ রপ্তানি। ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় জাহাজের চাহিদাও ব্যাপকভাবে বাড়তে শুরু করে। ফলে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ১০০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়।


এদিকে বাংলাদেশ থেকে জাহাজ আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইরান ও ভারতের ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক উইংয়ে ওই আগ্রহ প্রকাশ করা হয়। এমন আগ্রহ থেকে যুদ্ধ জাহাজ তৈরি করা শুরু করে খুলনা শিপ ইয়ার্ড।

এ প্রসঙ্গে খুলনা শিপ ইয়ার্ডের এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ সরকারের সরাসরি সহযোগিতা ও নৌবাহিনীর মাননীয় প্রধানের অবদানে খুলনা শিপ ইয়ার্ড আজ অনেক উন্নত। আইএসও সনদ ও রপ্তানীমুখী জাহাজ তৈরির অনুমোদন পাওয়ায় তিনি এখানকার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর এস ইমরানকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি আরও জানান, এমনকি তার সময়ে বিগত ২০ বছরের চেয়ে ৪/৫ গুন বেশি লাভ হয়েছে। বতমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেই ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রেখেই সামনে এগিয়ে চলছেন।

এসআইএইচ

 

Header Ad

৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি

ছবি: সংগৃহীত

তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৮ ক্রিকেটারসহ মোট ৯ জনকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। নিয়ম অমান্য করায় এই ক্রিকেটারদের প্রত্যেককে ১ বছরের নিষেধাজ্ঞা এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে বিসিবি।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের পক্ষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৮ ক্রিকেটার ও এক ক্লাব কর্তাকে ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ এবং সবাইকে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা গুনতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ঘরোয়া ক্রিকেটের কোনো পর্যায়েই শৃঙ্খলাভঙ্গের কোনো ধরনের ঘটনায় নমনীয় হবে না বিসিবি। তাই এটিকে ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের প্রতি বার্তা হিসেবে নেওয়া যায় যে, আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনায় বোর্ড কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

ওই ৮ ক্রিকেটার হলেন, তেজগাঁও একাডেমির ইয়াসিন আরাফাত, রিফাত আল ইমন (অনিক), তাসিন আহমেদ রনবি, রাব্বি হাসান, পারভেজ আহমেদ জয়। স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাবের রানা খান, সাইফুল ইসলাম শাওন ও মোহাম্মদ হৃদয়। আর তেজগাঁও ক্লাবের কর্মকর্তা রবিন।

জানা গেছে, গত সোমবার পিকেএসফ ১ নম্বর মাঠে হওয়া সুপার লিগের ম্যাচে তেজগাঁও ক্রিকেট একাডেমি ও স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেটাররা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের টেকনিক্যাল কমিটি ঘটনার প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের শাস্তি দেয়।

Header Ad

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনগণের দুর্ভোগের মধ্যে উপদেষ্টাদের অযাচিত কার্যকলাপ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে শ্রমিক সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, জনগণের দুর্ভোগ আগের মতোই রয়ে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। উপদেষ্টারা চাকরিজীবীর মতো কাজ করছেন। তাদের কাজে বিপ্লবের গতিশীলতা নেই।

তিনি বলেন, বিদেশে বসে শেখ হাসিনা গুজব ছড়িয়ে দুর্বৃত্তদের উসকানি দিচ্ছে। ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্যই গত ১৫ বছর পুলিশ দিয়ে হত্যা ও নির্যাতন চালানো হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, কারাগারের সালমান এফ রহমান বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সেখানে সে খুব তৎপরতা চালাচ্ছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এখনও বঞ্চিত হচ্ছে। আন্দোলনে ছিল এমন পরিচয়ে কিছু মানুষ সব পদ দখল করে নিচ্ছে।

এ সময় আন্দোলনে হতাহতদের মাসিক ভাতা ও ভরণপোষণের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে বলেও জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

Header Ad

ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ

ছবি: সংগৃহীত

ভূমি এবং বেসামরিক বিমান, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ জানিয়েছেন, ভারত বাংলাদেশিদের জন্য কবে থেকে ভিসা উন্মুক্ত করে দিবে, তা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার, এটা নিয়ে সরকারের কোনো বক্তব্য দেয়ার কিছু নেই।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুর নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন তিনি।

হাসান আরিফ বলেন, দেশের পর্যটন বিকাশে তার মন্ত্রণালয় বিশদ পরিকল্পনা নিয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সাংবাদিকদের জানানো হবে।

এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের দানকৃত জমিতে গড়ে তোলা হবে হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সমাজে অবস্থার কারণে বিভিন্নভাবে রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। ওয়ামী তাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। তবে শিক্ষার পাশাপাশি যুব সমাজকে এগিয়ে নিতে ওয়ামি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। অন্যতম মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি উপস্থিত সৌদি রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান,ওয়ামী সচিবালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ড. আব্দুল হামিদ ইউসুফ আল মাজরু, ওয়ামী কার্যালয়ের বৈদেশিক অফিস ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ডিরেক্টর সাআ’দ আব্দুল্লাহ বিন জাবর ও ত্রাণ বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুল মালেক আল আমের প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহামেদ, উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার দিল আফরোজ।

এর আগে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের পর ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্স ভবনে রয়েছে দ্বিতল বিশিষ্ট সুপরিসর মসজিদ, ১০০ জন এতিম শিশুর জন্য উন্নত মানসম্পন্ন আবাসন ব্যবস্থা, ১টি ক্যাডেট মাদ্রাসা, ১টি নুরানী ও হিফজ মাদরাসা, ১টি লাইব্রেরি হল, ১টি হলরুম ও কনফারেন্স রুম, তরুণ শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল লার্নিং জন্য একটি আইটি প্রশিক্ষণ সেন্টার ও ডাইনিং হল। এ ছাড়াও কমপ্লেক্স এর অবশিষ্ট পরিকল্পনার মধ্যে একটি হাসপাতাল, স্কুল, ভোকেশনাল সেন্টার, প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ডরমিটরি ও প্লে গ্রাউন্ড নির্মাণের বিষয় তিনি উল্লেখ করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ