বন্ধুকে আটকে রেখে বান্ধবীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ৩
খুলনায় বন্ধুকে আটক রেখে বান্ধবীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় নগরীর খালিশপুর এলাকার মদিনাবাগ আবাসিক এলাকায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- পাবলা সবুজ সংঘ মাঠ এলাকার মো. জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো. মেজবাহ উদ্দীন, একই এলাকার মো. সুজন মোল্লার ছেলে মো. ইমন মোল্লা ও পাবলা বৈরাগীপাড়া এলাকার মোা. মাহারাজ চৌকিদারের ছেলে মো. শিমুল চৌকিদার।
খালিশপুর থানা পুলিশ জানায়, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়া তরুণী নগরীর দৌলতপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। তিনি ফুলবাড়িগেট আর্দশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বন্ধু মারুফের সঙ্গে ঘুরতে বের হয় মেয়েটি। দৌলতপুর শামীম হোটেলে অবস্থানের সময় মারুফ তার বন্ধু ও ফুফাতো ভাই মেজবাহকে ফোন দেয়। ফোনের বিপরীত থেকে জানানো হয় ভাবিকে নিয়ে ঘুরতে আয়। মারুফ ফোন পেয়ে ভিকটিমকে নিয়ে বেলা সোয়া ১১টার দিকে ইজিবাইকযোগে দৌলতপুরের পাবলা সবুজ সংঘ মাঠের দিকে যায়। তখন মেজবাহ তার অপর দুই বন্ধু জয়নাল ও শিমুলকে সঙ্গে নিয়ে তাদের খালিশপুর মদিনাবাগ এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় মারুফের কাছে মেজবাহ টাকা দাবি করে। তার কাছে টাকা না থাকায় তাকে আটকে রেখে উল্লেখিত যুবকরা তার বান্ধবীকে একের পর এক ধর্ষণ করে। পরে তাদের দুজনকে মারধর ও ভয়ভীতি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে খালিশপুর থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর বলেন, আসামি মেজবাহ মারুফের বন্ধু ও ফুফাতো ভাই। মেয়েটির বাবা থানায় অভিযোগ করলে আসামি তিনজনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি তিনজনই ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এসআইএইচ