অল্প বৃষ্টিতেই কুষ্টিয়ার অধিকাংশ সড়কে হাঁটুপানি
এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে ডুবে গেছে কুষ্টিয়া পৌর এলাকার অধিকাংশ সড়ক ও কিছু বাড়ি ও দোকান। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টা থেকে শুরু হয়ে বৃষ্টিপাত হয় বিকাল ৪টা পর্যন্ত এর ফলে পৌর সড়কগুলোতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। কুমারখালী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে, জানা যায়, শনিবার বেলা ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর কুমারখালী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার এ বছরের সর্বোচ্চ ৯২ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে।
এক ঘণ্টার এ বৃষ্টিতে কুষ্টিয়া শহরের অর্জুনদাস আগরওয়ালা সড়ক, হাসপাতাল সড়ক, কাটাইখানা এলাকার সড়ক, সরকারি কলেজ সড়ক, কোর্ট স্টেশনসড়ক, কলেজ মোড়, ঈদগাহ পাড়া সড়কসহ আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পানিতে ডুবে যায়। এসময় সরকগুলোতে কোথাও হাঁটুপানি আবার কোথাও তার চেয়ে বেশি পানি জমে। সুয়ারেজ লাইন ড্রেনের পানিতে একাকার হয়ে গেছে শহরের রাস্তা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে যান কুষ্টিয়া শহরের মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা নাজমুস সাকিব জানান, কুষ্টিয়া পৌর এলাকায় একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটুপানি জমে যায়। পৌর কর্তৃপক্ষের উচিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি করা। এই ভোগান্তি আর কতকাল ভোগ করবো আমরা।
সাদিকা জাহান ফারিহা নামে এক কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের স্নাতকের শিক্ষার্থী জানান, আজকে প্রায় ১ ঘণ্টা বৃষ্টি হয়েছে এতেই আমার মেসের সামনের সড়কে পানি জমে গেছে। আমি টিউশনি করে আমার পড়ালেখা চালায়। এখন টিউশনি কাপড় চোপর ভিজিয়ে পড়াতে যেতে হচ্ছে। সুয়ারেজ লাইন ড্রেনের পানি এক হয়ে সড়ক ডুবে গেছে সেই নোংরা পানি মারিয়ে টিউশনি করতে যেতে হচ্ছে। এখন এলার্জি ও চর্ম রোগেরও ভয় ভয়ে রয়েছি।
স্থানীয়রা অল্প বৃষ্টিতে কুষ্টিয়া শহরের জলাবদ্ধতার জন্য দুষছেন পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থাকেই। কুমারখালী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ মামুন আর রশিদ জানা, শনিবার দুপুর ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত আমরা ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছি।
এএজেড