শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ | ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

হাসপাতালের সাড়ে ৮ কোটি টাকার দরপত্র জমায় বাধা!

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য মেডিকেল সার্জিক্যাল রিকোজিটের (এমএসআর) ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার দরপত্র জমাদানে ঠিকাদারদের বাধা দেবার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলন ও বহু বিতর্কিত যুবলীগ নেতা শাহজাহান কবীর শিপলুর নেতৃত্বে অন্য ঠিকাদারদের সিডিউল ছিনতাই করে নিজেদের দরপত্র দাখিল করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে দেখা যায় শহরের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের।

৬ গ্রুপের ১৮২টি সিডিউল বিক্রি হলেও জমা পড়েছে মাত্র ১৩টি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে দরপত্র জমা দানে বাধা দেওয়া হলেও তারা ছিলেন নিরব দর্শক। এতে ঠিকাদারদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করে। বিষয়টি ঠিকাদাররা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন।

এ ঘটনায় বিএনপি নেতার ছেলে ঠিকাদার হাফিজুর রহমান শিলুর পক্ষ নিয়ে যুবলীগ নেতাদের দরপত্র জমাদানে অংশ নেওয়া এবং অন্য ঠিকাদারদের বাধা দেওয়ায় শহরজুড়ে বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।

মাগুরার মামুন ড্রাগস ও অপরাজিতা ড্রাগসের পরিচালক আজিজুল হকের অভিযোগ, হাসপাতালের দরপত্র নিয়ম অনুযায়ী আমার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার হাফিজুর রহমান জমা দিতে যান। এ সময় পুলিশ ও র‌্যাবের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসীরা আমার ১৩টি সিডিউলের পেপার ছিনতাই করে নেয়। দরপত্রগুলোর পে-অর্ডার ফেরত দিলেও শিডিউল ছিনতাই করেছে তারা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমি হতভম্ব হয়েছি।

এদিকে জানা গেছে, তত্ত্বাবধায়কের কাছে ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ দিলেও তিনি দুপুর ১টার পরে অভিযোগ গ্রহণ করেন। এমন পরিস্থিতিতে দরপত্র স্থগিত ও পুনরায় দরপত্র আহ্বানের দাবি জানান ভুক্তভোগী।

আজিজুল হক বলেন, শুধু আমি নয়, যশোর জেলার বাইরে থেকে যারা দরপত্র জমা দিতে এসেছিল তাদের অপমান-অপদস্থ, ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোর করে বের করে দেওয়া হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চলে হাসপাতালের দরপত্র দাখিলের কার্যক্রম। ২০২২-২৩ অর্থবছরের মেডিকেল সার্জিক্যাল রিকোজিটের (এমএসআর) সাড়ে ৮ কোটি টাকার দরপত্রের সিডিউল বিক্রি হয় ৬টি গ্রুপের মোট ১৮২টি। কিন্তু সন্ত্রাসীদের প্রকাশ্যে বাধার কারণে দরপত্র দাখিল হয়েছে মাত্র ১৩টি। এর মধ্যে যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে দাখিল হয় ৬টি এবং আড়ইশ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে দাখিল হয় ৭টি দরপত্র। টেন্ডারগুলো খোলার পরে ক গ্রুপে ৩টি,খ গ্রুপে ২টি, গ গ্রুপে ২টি, ঘ গ্রুপে ২টি, ঙ গ্রুপে ২টি, চ গ্রুপে ২টি দরপত্র জমা পড়ে।

ঠিকাদারদের অভিযোগ, যশোর জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি রফিকুর রহমান তোতনের ছেলে শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া সড়কের বাসিন্দা ঠিকাদার হাফিজুর রহমান শিলু ঢাকার মিডফোর্ড এলাকার বনানী মেডিকেল ও গোপিবাগ এলাকার আলেয়া কর্পোরেশন নামে দুটি লাইসেন্সে এই কাজে বাধা দেন। তাদের প্রতিষ্ঠানের মোট ১৩টি দরপত্র জমা পড়েছে। অন্যদের ফেলতে দেননি। সন্ত্রাসী টাক মিলন, শিপলুসহ ক্ষমতাসীন দলের লোকদের দিয়ে তিনি এই দরপত্র বাগিয়ে নেবার চেষ্টা করেন। কেননা গত এক যুগ ধরে ঠিকাদার হাফিজুর রহমান শিলু হাসপাতালের সব পণ্য সরবরাহকারী ঠিকাদার হিসেবে কাজ করে আসছেন। এবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছু জটিল শর্ত জুড়ে দেবার কারণে তিনি ঢাকার প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ব্যবহার করেছেন।

এ বিষয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার  আক্তারুজ্জামান জানান, সোমবার ছিল হাসপাতালের পণ্য সামগ্রী সরবরাহের সাড়ে ৮ কোটি টাকার দরপত্র দাখিলের শেষ দিন। সন্ত্রাসীরা বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ আসে।

তিনি বলেন, ভিডিও চিত্রেও দেখা গেছে। আমরা পুলিশকে আগেই অবহিত করেছিলাম কিন্তু পুলিশের উপস্থিতিতে যদি দরপত্র দাখিলে বাধার ঘটনা ঘটে তাহলে আমাদের কি করার আছে। বিষয়টি দরপত্র যাচাই-বাছাই কমিটি দেখছে।

এদিকে অভিযুক্ত জাহিদ হোসেন মিলন বলেন, ‘আমি হাসপাতালে দরপত্র দাখিল করতে গিয়েছিলাম। সেখানে কোনো বাধা দেবার ঘটনা ঘটেনি।’ তবে কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে দরপত্র জমা দিয়েছেন কি? তা জানতে চাইলে বলতে পারেননি তিনি।

ঠিকাদার হাফিজুর রহমান শিলুর অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি তো সিডিউল সংগ্রহ করিনি। জমা দিব কিভাবে। ঢাকার প্রতিষ্ঠানের নামে জমা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন এবং ফোন কেটে দেন।

এ ব্যাপারে কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে দরপত্র দাখিলের সময় আমাদের টিম উপস্থিত ছিল। বাধার দেবার ঘটনায় কেউ আমাদের অভিযোগ করেনি।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) বেলাল হুসাইন বলেন, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ছিল। সেখানে কোনো ঘটনা ঘটেনি। নিচতলায় গোলযোগের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে কিছু পাওয়া যায়নি। তবে তিনি উল্লেখ করেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের মানুষ যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ তাদের একটি সমুদ্র আছে যা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসা করতে উদ্বুদ্ধ করে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারে বিআইএএম অডিটোরিয়ামে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের একটি সমুদ্র আছে। ব্যবসার জন্য সমুদ্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বাংলাদেশের দীর্ঘ সমুদ্রতীরের কথা উল্লেখ করে বলেন, চট্টগ্রামের সমুদ্রতীরের যেকোনো স্থানে সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা সম্ভব।

তিনি বলেন, কক্সবাজারে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং এটি কেবল একটি পর্যটন শহরই নয়, বরং অর্থনীতির কেন্দ্রও। তিনি আরও বলেন, নেপাল ও ভারতের সেভেন সিস্টার্সের কোনো সমুদ্র নেই, তাই তাদের জন্য বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ‘আমরা ব্যবসা করতে পারলে সবার ভাগ্য বদলে যাবে।’

ড. ইউনূস লবণ উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে জানতে চান বিদেশি আমদানিকারকরা বাংলাদেশ থেকে লবণ আমদানিতে আগ্রহী কিনা, কারণ কক্সবাজারের কৃষকদের উৎপাদিত লবণ এখন রফতানির সক্ষমতা অর্জন করেছে।

এছাড়া, তিনি পাইলট ভিত্তিতে কক্সবাজারে বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা নিয়েও খোঁজ নেন।

প্রধান উপদেষ্টা স্থানীয় জনগণকে ভবিষ্যতের সুযোগগুলো কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কক্সবাজার অর্থনীতির একটি বৃহৎ শক্তি এবং এটি তথ্যপ্রযুক্তিরও একটি শহর হতে পারে।’

মতবিনিময় সভায় কক্সবাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রধান উপদেষ্টার সামনে তাদের প্রস্তাব ও দাবি পেশ করেন।

Header Ad
Header Ad

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়। এজন্য মিয়ানমারে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকালে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

গুতেরেস বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে আমি দুটি স্পষ্ট বার্তা পেয়েছি। প্রথমত, আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই মিয়ানমারে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে হবে এবং রোহিঙ্গাদের অধিকার নিশ্চিত করে বৈষম্যের শিকার হওয়া থেকে রক্ষা করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে আরও ভালো পরিবেশ চায়। দুর্ভাগ্যবশত, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ সম্প্রতি নাটকীয়ভাবে মানবিক সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে। ফলে খাবারের রেশন কমাতে বাধ্য হয়েছি। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যতটা সম্ভব দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলব, যাতে করে ফান্ড পাওয়া যায় এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ না হয়।’

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ভুলে যাবে না এমন আশা প্রকাশ করে গুতেরেস বলেন, ‘সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার জন্য এই সম্প্রদায়ের মানবিক সহায়তা অত্যন্ত জরুরি।’

Header Ad
Header Ad

আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপালি গ্রেফতার

রূপালি । ছবি: সংগৃহীত

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও শেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আয়েশা সিদ্দিকা রূপালিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) ভোরে ঝিনাইগাতী উপজেলার তেঁতুলতলার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আয়শা সিদ্দিকা রূপালির বিরুদ্ধে ঝিনাইগাতী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা রয়েছে। ওই মামলার আসামি হিসেবে তাকে তেঁতুলতলার আব্দুর রহিম পাগলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল আমীন জানান, গ্রেফতারের পর আয়েশা সিদ্দিকা রূপালিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে : প্রধান উপদেষ্টা
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব
আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপালি গ্রেফতার
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট পেতে আধা ঘণ্টায় ২০ লাখ হিট
দুই বছরের কন্যাকে হারালেন আফগান ক্রিকেটার হজরতউল্লাহ জাজাই
রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব
কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় আতশবাজি জব্দ
সুন্দরবনের গহীন থেকে বৃদ্ধা নারী উদ্ধার
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত
গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে আরো সাত লাশ উদ্ধার
জাতিসংঘ মহাসচিবকে নিয়ে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন ড. ইউনূস
গালি দেয়া সেই উপস্থাপিকার চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান হাসনাতের
প্রশাসনের ঢিলেঢালা আচরণে দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পাচ্ছে: রিজভী
৬০তম জন্মদিনে নতুন প্রেমিকাকে প্রকাশ্যে আনলেন আমির খান
গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বাংলাদেশের পাশে থাকবে জাতিসংঘ: গুতেরেস
আমেরিকান এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ভয়াবহ আগুন, ডানা দিয়ে নামলেন যাত্রীরা
চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর সীমান্তে ৯ লাখ টাকার মাদক ও চোরাচালানি মালামাল জব্দ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের সাক্ষাৎ
৩ ম্যাচ পর মাঠে ফিরেই মেসির দুর্দান্ত গোল, কোয়ার্টারে ইন্টার মিয়ামি (ভিডিও)
মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না: তারেক রহমান