কুষ্টিয়ায় চোর ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, নিহত ১
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে চোর ধরাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আব্দুর রাজ্জাক (৫০) নামে এক নিহতের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কোমড়কান্দী এলাকায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে রাজ্জাক নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে মৃত আকরাম বিশ্বাসের ছেলে শহিদুলের নেতৃত্বে তার লোকজন এক চোরকে ধরে নিহত রাজ্জাকের বাড়ির সামনে নিয়ে মারধর করে। এ সময় আব্দুর রাজ্জাক তার বাড়ির সামনে চোকে মারতে নিষেধ করে। পরে তারা ওই চোরকে নিয়ে একটু দূরে গিয়ে আবারও মারতে থাকে। এর এক পর্যায়ে পুলিশ এসে চোরকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পুলিশকে খবর দেওয়ার ব্যাপারে শহিদুল ও তার লোকজন নিহত আব্দুর রাজ্জাককে সন্দেহ করে।
শনিবার সকালে নিহত রাজ্জাক বাড়ির পাশের চায়ের দোকানে চা খেতে যাওয়ার সময় পুলিশে খবর দেওয়াকে কেন্দ্র করে শহিদুল ও রাজ্জাকের মধ্যে তর্কতর্কি বাধে। পরে দুজনের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে। মারামারির খবর পেয়ে দুই গ্রুপের লোকজন ছুটে এলে পরবর্তীতে দুই গ্রুপের লোকজনে মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায় এর এক পর্যায়ে শহিদুল গ্রুপের ভুজালির (বড় ছুরি) আঘাতে আব্দুর রাজ্জাক গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শর্য্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
এই ঘটনায় নিহত রাজ্জাকের স্ত্রী রেবেকা খাতুন ও ছেলে রাশেদ শেখসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিসাধিন রয়েছেন। নিহতের ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
নিহত আব্দুর রাজ্জাক কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কোমরকান্দী গ্রামের মৃত আয়ুব আলীর ছেলে। সে কুমারখালী জগন্নাথপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের এমএলএসএস পদে কর্মরত ছিলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, চোর ধরাকে কেন্দ্র করে সকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে এসময় আব্দুর রাজ্জাক নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এএজেড