কুষ্টিয়ার বাজারে কমতে শুরু করেছে চালের দাম
চাল আমদানিতে শুল্ক কমানোর ১০দিন পর সরু চালের বড় মোকাম কুষ্টিয়ার বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। খুচরা পর্যায়ে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ১টাকা মাঝারি চাল ২ টাকা আর মোটা চালে কমেছে ৪ টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতারা বলছেন, আমদানির পাশাপাশি ওএমএসের মাধ্যমে সরকারের কম দামে চাল বিক্রির উদ্যোগে চালের দামে এ প্রভাব পড়েছে। মিল মালিকরা বলছেন আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম আরো কমে যাবে।
অবশেষে কমেছে চালের দাম। সরু চাল মিনিকেট কেজিতে ১ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। আর কাজললতা ২ টাকা কমে ৫৯টাকায় নেমে এসেছে। কেজিতে ৪ টাকা করে কমেছে আটাশ ও অন্য মোটা চালের দাম। তবে, যে হারে দাম বেড়েছিল চালের এই সামান্য কমাতে খুশি নন ভোক্তারা।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ভারত থেকে আমদানি করা চাল চলে আসা এবং সরকারের কম দামে চাল বিক্রির উদ্যোগেই কমছে চালের দাম। আরও কমে আসবে বলে আশা করছেন তারা। এদিকে মিল মালিকরা বলছেন, চাল আমদানি বন্ধ না হলে বাজার আর অস্থিতিশীল হবে না। আমদানি চালু রাখতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহবান মিল মালিকদের। চালের দাম সাধারণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে মিল, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সরকারি মনিটরিং জোরদার করার কথা জানান ভোক্তারা।
চাল ক্রেতা মজিদ ফকির বলেন, চালের দাম অতিরিক্ত বেশি। আমার পক্ষে এতো দাম দিয়ে চাল কিনে খাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। চালের দাম কেজিতে বাড়ানো হলো ৬ থেকে ৭ টাকা আর দাম কমলো ১ টাকা এটা কোন কথা হলো। যে চাল ১২০০ টাকা দিয়ে কিনতাম সেই চাল এখন ১৬০০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। এখন সরকারে কাছে দাবী সরকার চালের দাম যদি আরও কমায় তাহলে পরিবার নিয়ে খেয়ে পরে একটু চলতে পারবো।
চাল ক্রেতা সেলিনা খাতুন বলেন, সব জিনিসের দাম ঊর্ধ্বমুখী এর মধ্যে চালের দাম প্রতি মাসেই বাড়ে। ১ টাকা ২ টাকা দাম কমিয়েতো আর আমাদের কোন লাভ হবে না। চালের যে দাম কমেছে তার চেয়ে আরও বেশি করে দাম কমা দরকার। সরকারি মনিটরিং জোরদার করা দরকার। তাহলে অসাদু ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছা মতো চালের দাম বাড়াতে পারবেনা।
কুষ্টিয়া মিউনিসিপালিটি বাজারের চাল বিক্রেতা আহমেদ মঞ্জুরুলা রিপন জানান, কয়েক দিন আগে কুষ্টিয়া বাজারে মিনিকেট চালের দাম কোন জায়গায় ৭১ আবার কোন জায়গায় ৭২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল । আজকে মিনিকেটের ক্ষেত্রে ২ টাকা কমে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর কাজললতা চালটা আগে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিলো এখন সেটা ৫৮ থেকে ৫৯ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ২৮ চাল কুষ্টিয়ার বাজারে ৫৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিলো আজকে সেটা ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মোটা চালের বাজার ৫ টাকা ৬ টাকা কমে ৪৪ টাকা থেকে ৪৫ টাকা দামে পাওয়া যাচ্ছে।
কুষ্টিয়া মিউনিসিপালিটি বাজারের আরেক চাল বিক্রেতা সরোয়ার মোল্লা বলেন, এ দেশেতো কোন কিছুর দাম বাড়ার সময় দ্রুতই বাড়ে। কিন্তু দাম কমলে সহজে কোন কিছুর দাম কমে না। মিল মালিকরা বলছেন ধানের দাম বেশি বলে চালের দাম বেশি। মিল মালিকরা চিকন চালের দাম কমাচ্ছেন না। মোট চালের দাম কিছুটা কমেছে। চিকন চালের দাম যেটুকু কমেছে তাকে কমা বলে না।
কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন প্রধান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী চাল আমদানী যাতে বন্ধ না হয় এ বিষয়ে তাকে দৃঢ়ভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের পাশ্ববর্তীদেশ ভারত সেই দেশের সাথে আমাদের চাল আমদানী অব্যহত রাখতে হবে। আমর মিল মালিকরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপেক্ষকে এই বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে পরামর্শ দিয়ে আসছি।
এএজেড