স্থগিত হওয়া ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচন ১১ সেপ্টেম্বর
স্থগিত হওয়া ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচন ১১ সেপ্টেম্বর। মামলা জটিলতা ও দীর্ঘ আইনী প্রক্রিয়া শেষে দুই মাস ২৫ দিন পর ভোট গ্রহনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর। রবিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সাথে আচরণবিধি প্রতিপালন ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মত বিনিময় সভায় এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) মোঃ আহসান হাবিব খান। নুতন তারিখ ঘোষনার পরপর আবারো সরব হয়ে উঠেছে পৌর নির্বাচনের পরিবেশ।
রবিবার সকাল থেকেই মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের জনসংযোগ করতে দেখা গেছে। পাড়া মহল্লায় দল বেধে প্রচারাভিযান চালানোর পাশাপাশি পোষ্টার ও মাইকিং বের করা হয়েছে। তবে প্রথম দিকের মতো তেমন আমেজ নেই। দীর্ঘদিন নির্বাচন স্থগিত থাকার কারণে ভোটাররা অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে ভোটারদের মাঝে ভাঙ্গাগড়ার খেলা শুরু হয়েছে। ভোটারদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ভোট বন্ধ থাকায় পৌরসেবার মান কমে এসেছে। নাগরিকরা ঠিকমতো সেবা পাচ্ছে না। নেই জবাবদিহীতা। রাস্তাঘাটের বেহালদশার পাশাপাশি ময়লা, আবর্জনা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) মোঃ আহসান হাবিব খান ঝিনাইদহ সফরকালে রবিবার দুপুরে বলেন, ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচনের সকল প্রার্থীকে আচরণ বিধি সঠিক ভাবে মেনে চলতে হবে। আচরণ বিধি ভঙ্গের ঘটনা ঘটেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। নির্বাচন সুন্দর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। ভোটারেরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবেন এবং পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৫ প্লাটুন বিজিবিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভোটের দুই দিন আগে থেকেই দায়িত্ব পালন শুরু করবেন। সব কটি কেন্দ্রেই ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহন অনুষ্টিত হবে বলেও জানান তিনি। সভায় জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম, ঝিনাইদহ পুলিশ সুপর মোহাম্মদ আশিকুর রহমান, খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির, জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুস ছালেকসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য রাখেন।
এর আগে, চলতি বছরের ১২ জুন একাধিক সংঘর্ষ, আচরন বিধি ভঙ্গসহ নানা কারনে পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল খালেকের প্রার্থীতা বালিত করে নির্বাচন কমিশন। ফলে আইনী জটিলতায় স্থগিত হয়ে যায় চলতি বছরের ১৫ জুন তারিখের ভোট। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুস ছালেক জানান, ঝিনাইদহ পৌরসভায় মোট ভোটার ৮২ হাজার ৬৯৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪০ হাজার ৪৪৬ জন ও নারী ভোটার ৪২ হাজার ২৪৯ জন। ইভিএমে ভোট গ্রহণের জন্য ৪৭টি কেন্দ্র ও ২৬৫টি বুথ প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এএজেড