ঝিনাইদহে শিক্ষক হত্যায় একই পরিবারের ৩ জনের ফাঁসি
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্কুল শিক্ষক খান মোহাম্মদ আলাউদ্দীন হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (১৭ আগস্ট) ঝিনাইদহের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নাজিমুদ্দৌলা এ রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-শৈলকুপা উপজেলার শিতালী গ্রামের গোলাম কুদ্দুস খানের ছেলে রান্নু খান, শামছুর রহমান খানের ছেলে জামাল খান ও তার ভাই কানু খান। প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি একই গ্রামের ওমেদ আলী খানের ছেলে শামছুর রহমান। আমৃত্যু দণ্ডের পাশাপাশি তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আসামিরা সবাই নিহতের ভাই, ভাতিজা ও চাচা বলে জানা গেছে।
আদালতের রায় সূত্রে জানা গেছে, সুপারি গাছের মালিকানা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের সূত্র ধরে ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টম্বর আসামিরা এজাহারকারী মোছাঃ শিউলী খাতুনের ভাসুরের ছেলে রিপন আনসারীর বাড়িতে ঢুকে মারধর করে। এ সময় স্কুল শিক্ষক খান মোহাম্মদ আলাউদ্দীন ভাতিজাকে ঠেকাতে গিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী মোছাঃ শিউলী খাতুন বাদী হয়ে সাতজন আসামির নাম উল্লেখসহ আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে শৈলকুপা থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। বিজ্ঞ আদালত ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার উল্লেখিত রায় প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে শৈলকুপার হাটফাজিলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম খান জানান, ‘চোখের সামনে আমার পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই রায়ে আমি পুরোপুরি সন্তষ্ট হতে পারিনি। তিনজন আসামিকে বিজ্ঞ আদালত খালাস দিয়েছেন। তারা সরাসরি হত্যা মিশনে অংশ নিয়েছিল। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমার মা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।’
তবে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ইসমাইল হোসেন বাদশা বলেন, আদালত যে রায় দিয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। দ্রুত এই রায় কার্যকর যেন হয় সেই আশা করছি।
এসআইএইচ