খুলনায় নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
খুলনা বড় বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে মাছ, মাংস ও সবজির দামও। আর এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানোর জন্য তারা এখন খাদ্য তালিকা থেকে কাটছাঁট করছেন মাছ, মাংস। বাজার থেকে মাছ না কিনেই ফিরছেন মধ্যবিত্তরা। খুলনা বড় বাজারে আসা একজন ক্রেতা মো. জাহিদ বলেন, বর্তমান বাজারের মূল্যবৃদ্ধিতে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, নিত্য পণ্যের দাম অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। জীবনযাপনের ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষের।
একজন ব্যবসায়ী মো. শফিক হোসেন বলেন, বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৩৮ টাকা বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। খোলা সয়াবিন তেল লিটার প্রতি দাম ১৮০ টাকা। এ ছাড়াও চাল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, আটা, ময়দা, চিনি, শাক-সবজি, মাছ-মাংসসহ সব ধরনের মসলার দামও বেড়েছে।
এদিকে চালের বাজারেও চড়া দাম দেখা গেছে। খুলনা বাজারের রাইস মিল মালিক মোঃ মাহাবুব আহমেদ জানান, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরেই প্রতি কেজিতে এক থেকে দুই টাকা বেড়ে গেছে। মিনিকেট ৭০ থেকে ৭২ টাকা কেজি, আটাশ ৫৪ থেকে ৫৭ টাকা, পাইজাম ৫২ থেকে ৫৪ টাকা কেজি। মোটা চাল পাওয়া যায় না, আমরা বিক্রিও করি না। তবে পোলাও চালের দাম বেড়েছে খুব বেশি। বর্তমানে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। যা আগে ১১০-১১২ টাকা কেজি বিক্রি করা হয়েছে।
মাংসের বিক্রেতা মো. আরিফ বলেন, গরু-খাসির মাংসের দামও বেশি। এক বছর আগে ৫৫০ টাকা বিক্রি হতো। এখন ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। দাম বাড়ায় বিক্রি নেই বললেই চলে।
এ প্রসঙ্গে বেসরকারি চাকরিজীবী মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়িয়েছে সরকার। কিন্তু বেসরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়েনি। এ অবস্থায় নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে পারছেন না তারা।
তিনি আরো বলেন, বাসা ভাড়া, চিকিৎসা, যাতায়াত, শিক্ষাসহ অন্যান্য খরচ মেটাতে গিয়ে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। ব্যয় বাড়লেও আয় না বাড়ায় সঞ্চয় ভেঙে জীবন বাঁচানোর লড়াই করছেন অনেকে।
এসআইএইচ