রক্সি পেইন্টের এরিয়া ম্যানেজার হত্যার ঘটনায় বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় রক্সি পেইন্ট কোম্পানির এরিয়া ম্যানেজার লোকমান হোসেন অপহরণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১২)।
রবিবার (৭ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার (৮ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে এক সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১২, সিপিসি-১ কুষ্টিয়ার কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা দক্ষিণ রেলগেট চাঁদগ্রাম এলাকার মৃত দাউদ খন্দকার ওরফে মতিয়ার রহমানের ছেলে দর্পণ আলী ও দর্পণ আলীর ছেলে মো. সোহানুর রহমান সোহান।
মোহাম্মদ ইলিয়াস খান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত সোহানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডের স্থান ভেড়ামারা দর্পণ হার্ডওয়্যারের ভাড়াকৃত গোডাউন থেকে হত্যাকারীদের রক্তমাখা পোশাক উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মো. সোহানুর রহমান সোহান লোকমান হোসেন হত্যাকাণ্ডে তার সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, নিহত লোকমান হোসেন দর্পণ হার্ডওয়্যারের মালিকের কাছে কোম্পানির বকেয়া বিলের টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে গেলে ওই দোকানের মালিক মো. দর্পণ আলীর ছেলে মো. আব্দুল আউয়াল র্যাভেন তার বাবার কাছ থেকে নেওয়া টাকা বকেয়া পরিশোধ না করে নিজে আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে লোকমান হোসেনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মতে র্যাভেনের ছোট ভাই সোহান লোকমানকে তাদের ভাড়াকৃত গোডাউনে হত্যার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা ভেড়ামারা উপজেলার কাচারিপাড়া মো. শেরেগুল ইসলামের ছেলে প্রান্ত ইসলাম সাব্বির এবং একই এলাকার মো.তাহাজের ছেলে মো. শুভর সহযোগিতায় লোকমানকে হাতুড়ি় দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের পরের দিন সকালে সোহান তার বাবা দর্পণ আলীকে বিষয়টি জানায়। বিষয়টি জানার পর দর্পণ আলী তার ছেলে সোহানকে মরদেহটি গুম করে ফেলার নির্দেশ দেয়। এরপর গত ২ আগস্ট নিহত লোকমানের খোঁজে তার স্ত্রী দর্পণ হার্ডওয়্যারে এলে দর্পণ আলী জানায়, লোকমান আগের দিন তার দোকানে এসেছিল এবং বকেয়া টাকা নিয়ে চলে গেছে। ওই দিনই গভীর রাতে র্যাভেনেট বন্ধু জীবন এবং দর্পণ হার্ডওয়্যারের কর্মচারী তুহিনের পাহাড়ায় লোকমানের মরদেহ ভেড়ামারা সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের গলিতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় আসামিরা। গত ৩ আগস্ট সকালে পুলিশের প্রেপ্তার এড়াতে দর্পণ আলী তার ছোট ছেলে সোহানকে নিয়ে বাড়ি থেকে আত্মগোপনে চলে যায়।
প্রসঙ্গত, গত ৩ আগস্ট ভেড়ামারা সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের গলির পাশে লোকমান হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একই দিনে নিহত লোকমানের স্ত্রী জিন্নাত আরা টুম্পা বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এসজি/