টাঙ্গাইলে মাংস ব্যবসায়ী হত্যা: প্রধান আসামির ৩ দিনের রিমান্ড

গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি লিয়াকত। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সাইফুল ইসলাম (৪৫) নামে এক মাংস ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি লিয়াকতের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রবিবার (১৩ অক্টোবর) বিকালে ভূঞাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে গত ১২ অক্টোবর শনিবার সকালে এসআই ফরিদুল ইসলাম ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে লিয়াকতকে আদালত পাঠায়। পরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ভূঞাপুর) আদালতের বিচারক রুমেলিয়া সিরাজাম ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে সন্ধ্যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লিয়াকতকে ভূঞাপুর থানায় নিয়ে আসা হয়।
লিয়াকত তালুকদার উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কুকাদাইর গ্রামের সন্দেশ তালুকদারের ছেলে। লিয়াকত সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি এবং হত্যার শিকার সাইফুল ইসলাম একই গ্রামের বদি তালুকদারের ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) ফরিদুল ইসলাম জানান, লিয়াকত হত্যার ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে তার ছেলে সজিব বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। পরে ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে আসামি লিয়াকতকে গোবিন্দাসী বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরের দিন শনিবার সকালে তাকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গতকাল শনিবার রাত থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লিয়াকত চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। মামলার তদন্ত ও আসামিদের গ্রেপ্তারের স্বার্থে কিছু বলা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, গত ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার যমুনা সেতু-ভূঞাপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের কষ্টাপাড়া এলাকার রাস্তার পাশ থেকে মাংস ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে উপজেলার গোবিন্দাসীর ইউনিয়নের কুকাদাইর গ্রামের মৃত বদি তালুকদারের ছেলে। তিনি আশুলিয়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্বপরিবার নিয়ে থাকতেন।
এ ঘটনায় ১১ অক্টোবর শুক্রবার রাতে সাইফুলের ছেলে সজিব বাদী হয়ে লিয়াকতকে প্রধান আসামি করে ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তিনি এলাকায় আগে মাংসের ব্যবসা করত। স্বপরিবার নিয়ে আশুলিয়া গিয়েও একই ব্যবসা করতেন।
