টাঙ্গাইলে মুসলিম হত্যা: খুনিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে ঝাড়ু মিছিল
যমুনা সেতু পূর্ব-ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়ক ২ ঘণ্টা অবরোধ করে এলাকাবাসীর মানববন্ধন-বিক্ষোভ ও ঝাঁড়ু মিছিল। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অনলাইনে জুয়া খেলা দ্বন্দ্বের মিমাংসায় বসা সালিশি বৈঠক শেষে পূর্ব শত্রুতার জেরে রাস্তায় প্রকাশ্যে মুসলিম উদ্দিন (৩৪) নামে এক বালু ব্যবসায়ীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি, হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল কর্মসূচি পালন করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় যমুনা সেতু পূর্ব-ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের মাটিকাটা মোড়ে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে সড়ক অবরোধ করলে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
এ খবর পেয়ে বেলা ১২ টার দিকে মানববন্ধনস্থলে ছুটে আসেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহিমা বিনতে আখতার ও ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম। পরে তারা আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস প্রদান করলে মানববন্ধন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন এলাকাবাসী।
বক্তারা বলেন- পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী জুয়াড়ি সুজন, রাকিব ও মর্তুজের নেতৃত্বে জড়িতরা মুসলিম উদ্দিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা মেরেছে ফেলেছে। এতে আহত আরও হয় তার বাবাসহ ৬ জন। এ ঘটনায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হলেও একজন আসামি ছাড়া এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
তারা আরও বলেন, অবিলম্বে জড়িত ওই চিহ্নিত সন্ত্রাসী খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং তাদের ফাঁসি দিতে হবে। অন্যথায় আমরা এলাকার মানুষ আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হবো।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইউপি সদস্য মো. আমজাদ হোসেন, মোনায়েম হোসেন মোন্নাফ, নুরুল ইসলাম নুরু, মো. হাসমত নেতা, মো. মোমিন মিয়া, রতন মিয়া, মো. শিবলু, আকাব্বর হোসেন, মাটিকাটা হাটের ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক প্রমুখ। এসময় মুসলিমের পরিবারের লোকজন মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।
গত ৪ অক্টোবর বিকালে উপজেলার মাটিকাটা এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম রমজান আলীর বাড়িতো সালিশ শেষে ফেরার পথে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মুসলিম উদ্দিনের ওপর হামলা চালায় সুজন, রাকিব, মর্তুজ ও তার সহযোগীরা। হামলায় নিহত হন মুসলিম। আহত হন মুসলিমের বাবাসহ ৬ জন। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাৎক্ষণিক এজাহার ভুক্ত আসামি হালিম নামে একজনকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় গত রবিবার (৬ অক্টোবর) মুসলিম উদ্দিনের ভাই মুসা বাদী হয়ে ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে সুজনকে প্রধান আসামি করে তার বাবা মর্তুজ আলী মণ্ডল (৫২) ও সুজনের বোন জামাই রাকিব (২৫) সহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১০/১৬ অজ্ঞাতদের নামে এই মামলা হয়। মুসলিম উদ্দিন উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামের জহেরের ছেলে। তিনি বালু ও গাছ কেনা-বেচা ব্যবসা করতেন।