রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বাপ-ছেলের ত্রাসের রাজত্বের অবসান, স্বস্তিতে দলীয়রাও

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের দেড় দশকের শাসনামলে ক্ষমতার সর্বোচ্চ অপব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সাবেক রেলপথ মন্ত্রী ও রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিম ও তার ছেলে মিতুল হাকিমের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, মিতুল হাকিমের নেতৃত্বে এলাকায় গড়ে তুলেছিলেন নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী। তাদের বিপক্ষে কেউ কথা বললে চরম মূল্য দিতে হতো। লুট করেছেন কোটি কোটি টাকা। রেহাই পাননি জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, শিক্ষক, সাংবাদিক এমনকি নিজ দলের নেতাকর্মীরাও।

স্থানীয়দের অভিযোগ, টানা ১৬ বছর জিল্লুল হাকিমের দাপট দেখেছেন পাংশা, কালুখালী ও বালিয়াকান্দির মানুষ। বাপ-বেটার সন্ত্রাসী বাহিনীর নির্যাতনে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন অনেকে। খুনের অভিযোগও কম নয়। তবে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে তাদের সেই ত্রাসের রাজত্বের অবসান হয়েছে।

এতদিন ভয়ে মুখ না খুললেও এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনেকে জিল্লুল হাকিম ও তার ছেলের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নৌকার টিকিটে ৫ বার সংসদ সদস্য হন জিল্লুল হাকিম। এক সময় মাত্র ৫০ হাজার টাকার জন্য মনোনয়ন কিনতে পারছিলেন না। অথচ অবৈধ উপায়ে এখন তিনি হাজার কোটি টাকার মালিক! ক্ষমতার অপব্যবহার করে জেলা পরিষদের জায়গা দখল করে গড়ে তুলেছেন আলিশান মার্কেট।

আওয়ামী লীগের ওপর ভর করে এতো দূর এলেও দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরাও রেহায় পাননি তার নির্যাতন থেকে। অভিযোগ আছে, স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ভোট কারচুপির মাধ্যমে নিজেদের আশীর্বাদপুষ্টকে জিতিয়ে নিতেন জিল্লুল ও তার ছেলে। তাদের বিপক্ষে কথা বললেই চরম মূল্য দিতে হতো। নিজ দলের শত শত নেতাকর্মীকে এলাকাছাড়া করে রেখেছিলেন তারা। বাবা-ছেলের পালিয়ে যাওয়ার পর এখন মুক্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন রাজবাড়ী-২ আসনের বাসিন্দারা। তাদের নির্যাতনে এলাকা ছাড়া মানুষ ৫ আগস্টের পর থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।

অভিযোগ রয়েছে, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার বিভিন্ন পদে নিয়োগ বাণিজ্য থেকে শুরু করে সাব রেজিস্ট্রি অফিস ও বিভিন্ন অফিস থেকে ১৫ শতাংশ করে কমিশন নিতেন জিল্লুল হাকিম। অবৈধ নিয়োগে সহায়তা না করায় ১১ বছর এক মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে কর্মস্থলে ঢুকতে দেননি তিনি। তার বেতন-ভাতাও বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।

রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী নাদের হোসেন। রাজনীতি করতেন জিল্লুল হাকিমের সঙ্গেই। তবে প্রতিবাদ করতেন জিল্লুলের সমস্ত অন্যায়ের। ফলে ক্ষমতাধর জিল্লুলের বাঁকা নজরে পড়েন কৃষক লীগের এ নেতা। ২০১৪ সালের ২১ নভেম্বর সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে তাকে। মামলা করেও কোনো বিচার পায়নি পরিবার।

পরিবারের দাবি, জিল্লুল হাকিম ও তার ছেলে মিতুল হাকিমের নির্দেশেই সন্ত্রাসীরা মুন্সী নাদের হোসেনকে হত্যা করে।

নাদের হোসেনের ছেলে মোস্তফা মাহমুদ হেনা মুন্সী বলন, ‘আমার বাবা এলাকায় খুবই জনপ্রিয় একজন রাজনীতিবীদ ছিলেন। জিল্লুল হাকিম ও তার ছেলের অন্যায়-অপকর্মের প্রতিবাদ করার কারণে তারা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার বাবাকে হত্যা করেছে। বাবা হত্যার বিচার চাওয়ায় তারা আমাকে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। জিল্লুল হাকিম তার ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিচার কাজে বাধা সৃষ্টি করেছে। ফলে এখন পর্যন্ত আমি বাবা হত্যার বিচার পাইনি।’

জিল্লুল হাকিম ও তার ছেলের সন্ত্রাসী বাহিনীর অপকর্ম নিয়ে ২০১৭ সালে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন পাংশা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। এজন্য চরম মূল্য দিতে হয় তাকে। লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে কয়েক টুকরো করা হয় তার হাত-পা। মামলা করলেও পরে তা তুলে নিতে হয় তাকে।

সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে আমার ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়। এ হামলার নির্দেশদাতা জিল্লুল ও তার ছেলে মিতুল। আমি এ হামলার বিচার চাই। আর এ ঘটনার কারণেই আমার বাবা মারা গেছেন। এ কারণে আমার পরিবার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনো তাদের ভয়ে রয়েছে আমার পরিবার, কারণ তাদের অসংখ্য ক্যাডার বাহিনী আছে।’

জিল্লুল হাকিম ও তার ছেলের নির্দেশ অমান্য করে ২০২৩ সালের ২৬ অক্টোবর পাংশা উপজেলা পরিষদে একটি রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের টেন্ডার শিডিউল কিনতে যান তাদেরই দলের কর্মী হৃদয় মীর। এ অপরাধে হাতুড়ি দিয়ে পিয়ে এবং পায়ের রগ কেটে দেয় সন্ত্রাসীরা। আজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয় এই যুবককে।

হৃদয় মীর বলেন, ‘মিতুল হাকিমের পালিত সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার বাম পায়ের গোড়ালির ওপরের রগ কেটে ফেলে। আমি চিৎকার করলে তারা আমার মুখের ভেতরে আগ্নেয়াস্ত্র ঢুকিয়ে আমার দুইটি দাঁত ভেঙে ফেলে। পরে হাতুড়ি দিয়ে আমাকে মারপিট করে এবং ধারালো চাপাতি দিয়ে আমার মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে চলে যায়।’

পাংশা বয়রাট মাজাইল ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘মাদ্রাসার সহকারী একটি শূন্য পদে জিল্লুল হাকিম অবৈধভাবে নিয়োগ দিতে চায়। আমি সেই কাগজে স্বাক্ষর না করার কারণে জিল্লুল হাকিমের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে অফিসে আটকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর ধরে আমাকে মাদ্রাসায় ঢুকতে দেয়নি। প্রভাব খাটিয়ে এই দীর্ঘ সময় ধরে আমার বেতন-ভাতাও বন্ধ করে রেখেছে। আমি তার কাছে বছরের পর বছর ঘুরেছি। এটা নিয়ে কোনো সমাধান করেনি। বরং যখনই তার কাছে গিয়েছি তখনি তার সন্ত্রাসী বাহিনী ও তার ছেলের ক্যাডার বাহিনী আমার ওপর অত্যাচার চালিয়েছে।’

পাংশা বাগদুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক এস এম আতাউল্লাহ শামীম রহমান বলেন, ‘২০১৮ সালের ৬ আগস্ট রাতে জিল্লুল এবং তার ছেলের মোটরসাইকেল বাহিনী এসে আমাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। আমার অবস্থা খুবই গুরুতর ছিল। একমাত্র আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়েছে। এখন সময় এসেছে তাই এ সন্ত্রাসী বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে আমি মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছি।’

জিল্লুল হাকিম ও তার ছেলে মিতুল হাকিম তাদের ক্যাডার বাহিনীকে গোপন অস্ত্র দিয়েছিল বলেও দাবি করেন এ শিক্ষক।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে জিল্লুল হাকিমের পাংশা পৌর শহরের বাড়িতে গেলে বাড়ির গেট তালাবদ্ধ দেখা যায়। জিল্লুল হাকিম ও তার ছেলে মিতুল হাকিমের ফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

জানা গেছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সাবেক এই রেলমন্ত্রী, তার ছেলে মিতুল হাকিমসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর আদালতে তিনটি ও বালিয়াকান্দি থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় অপহরণ, নির্যাতন, হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে।

তবে এখন পর্যন্ত কোনো খোঁজ মেলেনি জিল্লুল ও মিতুলের। গাঢাকা দিয়েছে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীও।

Header Ad
Header Ad

গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্যু

শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংনাহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে আওয়ামী লীগ নেতার দোতলা ভবনের দোতলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মা শামছুন্নাহার ও ছেলে সানোয়ার হোসেন দগ্ধ হয়েছে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মায়ের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংনাহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থায়ীয় জানা যায়, দোতলা ভবনের দোতলায় কিচেন রুমে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে জানালার থাইগ্লাস ফেটে নিচে পড়ে। স্বজনরা আহত দুজনকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউট ঢাকায় পাঠায়। আহত দুজনের মধ্যে মায়ের অবস্থা আশংকাজনক ছিল পরে রাত সাড়ে সাতটার দিকে তিনি মারা যান।

নিহতের স্বামী আবুল হাসেম প্রধান শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি গ্রামের মৃত গাফফার প্রধানের ছেলে। তিনি শ্রীপুর পৌর আওয়ামীলীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক।

প্রতিবেশী আব্দুল গফুর জানান, দোতলা ওই বাড়িতে হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। তিনিসহ প্রতিবেশীরা সেখানে ছুটে গিয়ে শামসুন নাহার ও তার ছেলে মো. সানোয়ার হোসেনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেন। এর মধ্যে শামসুন নাহারের অবস্থা ছিল গুরুতর। তার মুখসহ শরীরের অনেক অংশই পুড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে স্বজনরা তাদেরকে ঢাকা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনে মা ও ছেলে দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না: ড. ইউনূস

দ্য ইকোনমিস্টকে সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ধর্মের বিষয়ে বাংলাদেশের তরুণেরা খুবই পক্ষপাতহীন উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, তরুণেরা দেশকে নতুন করে গড়তে চান।

তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, 'এমন কিছু ঘটতে যাচ্ছে না। দেশের তরুণেরা খুবই উদ্যমী। ধর্মের বিষয়ে তারা খুবই পক্ষপাতহীন।'

গত শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) প্রভাবশালী ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টকে সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস এ কথা বলেন। ওই সাক্ষাৎকারের ভিডিও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে ইকোনমিস্ট।

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইকোনমিস্টের বিদেশ বিষয়ক সম্পাদক প্যাট্রিক ফোলিস।

বাংলাদেশ ২০২৪ সালে ইকোনমিস্টের বর্ষসেরা দেশ নির্বাচিত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।

প্যাট্রিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা ফিরে আসার কিছু ঝুঁকি আছে, সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কর্মকর্তারা। বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?

বাংলাদেশ ইকোনমিস্টের বর্ষসেরা দেশ হওয়ায় ড. ইউনূসকে অভিনন্দন জানান প্যাট্রিক।

ড. ইউনূস বলেন, 'আমরা আনন্দিত, অত্যন্ত গর্বিত যে, ছাত্র অভ্যুত্থান ঘটেছে এবং সত্যিকার অর্থেই আমরা বড় একটি পরিবর্তন ঘটিয়েছি। এরপর থেকে আমরা বলছি, আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।'

তরুণরা দেশকে নতুন করে গড়তে চান উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'তরুণরা পুরো পৃথিবী পাল্টে দিতে পারে। এটি কেবল একটি দেশের পরিবর্তন না, বাংলাদেশে যা হয়েছে সেটি তরুণ-যুবকরা কতটা শক্তিশালী তার উদাহরণ। আসুন, আমরা তরুণদের ওপর মনোযোগ দিই।'

'বিশেষ করে তরুণীদের ওপর। বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে তরুণীরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেশের যে কোনো তরুণের মতো তারা (অভ্যুত্থানে) সামনের কাতারে ছিল। আমাদের তরুণ-তরুণীদের ওপর মনোযোগ দেওয়া উচিত এবং তাদের স্বপ্নগুলো যেন পূরণ হয়। যদি তারা সুযোগ পায়, তাদের সেটা করার সক্ষমতা আছে,' বলেন তিনি।

অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তিন তরুণকে অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রিসভায় যুক্ত করা হয়েছে উল্লেখ করেন ড. ইউনূস।

'তারা এখন মন্ত্রিসভার সদস্য এবং অসাধারণ কাজ করছেন। তারা যোগ্য। তারা বিগত শতাব্দীর না, এই শতাব্দীর তরুণ। যোগ্যতার দিক থেকে তারা কোনো অংশে কম না।'

বাংলাদেশের নির্বাচনের পর কী করতে চান, প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, 'আমাকে আমার কাজ থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। জোর করে এই কাজে আমাকে যুক্ত করা হয়েছে। আমি আমার কাজ করছিলাম এবং তা উপভোগ করছিলাম, যে কারণে আমি প্যারিসে ছিলাম। আমাকে ভিন্ন কিছু করার জন্য প্যারিস থেকে আনা হয়। আমি আমার কাজে ফিরে যাব এবং জীবন উপভোগ করবো।'

 

Header Ad
Header Ad

  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল

ছবি: সংগৃহীত

সিঙ্গেল জার্নির টিকিট নিয়ে সমস্যা চলছিল রাজধানীর মেট্রোরেলে। এবার মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, এই সংকট কেটে যাচ্ছে। মেট্রোরেলের সিঙ্গেল জার্নির টিকিট সংকট আর থাকছে না।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফেসবুক পেজে করা এক স্ট্যাটাসে এ সুখবরের কথা জানায়।

স্ট্যাটাসে বলা হয়, মেট্রোরেলের সম্মানিত যাত্রীদের জন্য সুসংবাদ। মেট্রোলের সম্মানিত যাত্রীদের জানানো যাচ্ছে যে, ২১ ডিসেম্বর থেকে মেট্রোরেল স্টেশনগুলো থেকে চাহিদামতো সিঙ্গেল জার্নি টিকিট বিক্রয় করা হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, পাশাপাশি র‍্যাপিড পাসও বিক্রয় এবং রিচার্জ করা হচ্ছে। এমআরটি পাসও রিচার্জ করা হচ্ছে। আপনারা সানন্দে মেট্রোরেল ভ্রমণ করুন। এছাড়া ডিএমটিসিএল পরিবারের পক্ষ থেকে সবার সার্বিক সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে মেট্রোরেলের ভাড়া পরিশোধের কার্ডের সংকটে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। একক যাত্রার কার্ড না থাকায় অনেক স্টেশন থেকে যাত্রীদের ফিরে যেতে হয়েছে। আবার সরবরাহ না থাকায় স্থায়ী কার্ড বা এমআরটি পাস বিক্রিও একেবারে বন্ধ ছিল।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না: ড. ইউনূস
  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল
ভারতের বিপক্ষে ১১৮ রান করলেই এশিয়া কাপ ঘরে উঠবে বাংলাদেশ
বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম আটক
শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা
গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০
আশ্বস্ত করছি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না: প্রধান উপদেষ্টা
সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং
মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, বগুড়ার শ্রাবণী এখন শ্রাবণ
বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ
ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ
এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির
আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল
রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চান ফারজানা সিঁথি
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ