সারাদিনের ভোগান্তির পর উত্তরের ঈদযাত্রায় ফিরেছে স্বস্তি
ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র একদিন। ঈদের ছুটি পেয়েই নাড়ির টানে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ। ঈদের ছুটির আগে থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে অতিরিক্ত পরিবহনের চাপ ছিল। এতে মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কখনো কখনো ছিল ভোগান্তি, দুর্ভোগ ও ধীরগতির যানবাহন চলাচল।
গত শুক্রবার রাত থেকে আজ ঈদের ছুটির তৃতীয় দিন শনিবার (১৫ জুন) দুপুর প্রায় ২ টা পর্যন্ত ওই ১৪ কিলোমিটার বা তারও বেশি এলাকাজুড়ে কখনো কখনো যানজট, দীর্ঘসারি ও ধীরগতির চলাচল ছিল দূরপাল্লার যানবাহনের। দুপুরের পর ধীরে ধীরে পুরোপুরি স্বাভাবিক গতিতেই ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গগামী দূরপাল্লার গণপরিবহন ছুটছে। এনিয়ে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ।
সরেজমিনে বিকাল থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা এলাকার গোল চত্বর এলাকাঘুরে দেখা যায়, উত্তরবঙ্গমুখী দূরপাল্লার সকল পরিবহন স্বাভাবিক গতিতে চলছে। যানজট নেই। ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল চলাচল বেশি লক্ষ্য করা যায়। তবে, ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের এছাড়া ঢাকামুখী পরিবহন চলাচলে পথে পথে রয়েছে ভোগান্তি। খোলা ট্রাক ও পিকআপ যোগে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ।
রংপুরের পাগলাপীড় এলাকার হোসাইন খান, শামীম মিয়া, শায়লা বেগম ও রওশন খাতুন। তারা সাভারের একটি পোশাক কারখানা চাকরি করেন। এবারের ঈদযাত্রায় স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, এলেঙ্গা থেকে সেতু পূর্ব গোল চত্বর পর্যন্ত যানজট নেই। দ্রুত গতিতেই চলছে গাড়ি। ঝুঁকি খোলা ট্রাকে বাড়ি ফেরার বিষয়ে বলেন, বাসের টিকেটের অতিরিক্ত দাম, তাছাড়া দূরের বাস কম। তাই বাধ্য হয়ে খোলা ট্রাকেই ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি।
নীলফামারীর সৈয়দপুরগামী রয়েল এক্সপ্রেস পরিবহনের হেলপার জাহিদ হোসেন, কুড়িগ্রামগামী আর.কে.আর ট্রাভেলের চালক রায়হান মিয়া ও রাজশাহীগামী বরেন্দ্র ট্রাস এসি বাসের চালক মহির উদ্দিন জানান, ভাবছিলাম এলেঙ্গা থেকে সেতৃ পূর্ব পর্যন্ত যানজটে পড়তে হবে। কিন্তু এলেঙ্গা এসে দেখি মহাসড়কের চিত্র ভিন্ন রকম। সড়কে যানজট নেই। স্বাভাবিক গতিতে গাড়ি চালাচ্ছি।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন, শুক্রবার রাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ও মাঝেমধ্যে টোল আদায় বন্ধের কারণে শনিবার সকাল পর্যন্ত দূরপাল্লার যানবাহনের চাপ বেড়েছিল। কিন্তু দুপুরের পর থেকে স্বাভাবিক গতিতেই দূরপাল্লার সকল গণপরিবহন চলাচল করছে। এছাড়া মহাসড়কে যানজট নিরলস পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন।