খাবারে নেশা দ্রব্য মিশিয়ে শিক্ষকের বাসায় চুরি
বাসায় লুটপাটের পর এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে আসবাবপত্র। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে খাবারের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে এক প্রধান শিক্ষকের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। এতে চোরচক্র বাসার আলমিরা ভেঙে নগদ এক লাখ টাকাসহ ও ২ থেকে ৩ ভরি স্বর্ণ অলংকার লুটপাট করে। নেশা জাতীয় দ্রব্য মেশানো খাবার খেয়ে শিক্ষকসহ তার পরিবারের তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
শনিবার (০৪ মে) সকালে এমন খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (কালিহাতী সার্কেল) মো. শরিফুল হক ও ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
গত শুক্রবার রাতে উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের আমুলা গ্রামের শিক্ষক মো. মতিয়ার রহমানের বাসায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি নিকরাইল পলশিয়া রানী দিনমনী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অসুস্থরা হলেন- শিক্ষক মতিয়ার রহমান (৫৬), তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী দোলন (২৮) ও তার মেয়ে মারিয়া জাহান মুন্নী (২২)।
অসুস্থ মেয়ে মারিয়া জাহান বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টা থেকে ১০ টার মধ্যে আমিসহ আমার বাবা ও ভাবি খাবার শেষে নিজ নিজ রুমে ঘুমাতে যাই। অন্যান্য দিন আমরা টিভি বা মোবাইল দেখে ১২ টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ি। কিন্তু সেদিন রাতে খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ঘুম ঘুম ভাব আসে। পরে কখন ঘুমিয়ে যাই তা জানা নেই। রাত ৩ টার দিকে বাসায় শব্দ হলে ঘুম ভেঙে যায়। পরে কয়েকজন লোক রুমে প্রবেশ করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে লুটপাট করে। তাদের মুখ ডাকা ছিল। যার কারণে তাদের চিনতে পারেনি।
ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত শুক্রবার রাতে বাবা, ছোট বোন ও আমার স্ত্রী তারা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যায় ও আমিও ঘুমিয়ে পড়ি। পরে ভোরে ঘুম ভাঙলে দেখি বাবা, ছোট বোন ও স্ত্রী তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েছে এবং বাসার সবকিছু এলোমেলো। পরে ডাক-চিৎকারে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাবাকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং বোন ও স্ত্রীকে বাসাতেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার (কালিহাতী সার্কেল) মো. শরিফুল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এনিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।