ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক ফাঁকা, ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ
ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে দেখা মিলছে না তেমন দূরপাল্লার পরিবহন। ফলে ব্যস্তময় এই মহাসড়কটি একদম ফাঁকা রয়েছে। এতে করে কোনো রকম দুর্ভোগ ও ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ।
উত্তরবঙ্গগামী যাত্রী বাস ও ট্রাকের চেয়ে মহাসড়কে ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল তুলনামূলক কম চলাচল করছে।
বুধবার (১০এপ্রিল) সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপ্লাজা, সেতু পূর্ব রেলস্টেশন ও এলেঙ্গা ঘুরে যান চলাচলের এমন চিত্র দেখা গেছে। সিরাজগঞ্জ অংশেও একচিত্র রয়েছে।
এদিকে, ঢাকামুখী বিকল্প বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কেও কোনো ধরণের যানজট নেই। এতে করে এই সড়কেও স্বস্তি স্থানীয়দের।
অপরদিকে, চিরচেনা এই মহাসড়কে প্রতিবছরই ঈদের আগের রাতেও ব্যাপক মানুষের স্রোত ছিল। ফলে পরিবহনের চাপ ছিল মহাসড়কে। এতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের মহাসড়কের পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক করতে হিমশিম পড়তো। কিন্তু তাদের কঠোর তৎপরতায় এবার ভোগান্তি হচ্ছে না।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পরপর দুইবার দুই ঘণ্টা করে সেতু পশ্চিম টোলপ্লাজায় ঢাকাগামী লেন বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টার মহাসড়কেই প্রখর রোদের মধ্যে যানজটের কবলে পড়েছিল।
এরপর বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম টোলপ্লাজা বন্ধ রেখে সেতুতে একমুখী করে উত্তরবঙ্গের দিকে পরিবহনগুলো ছেড়ে দেওয়ায় টাঙ্গাইলের মহাসড়কে পরিবহনের চাপ কমেছিল।
পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বুধবারে ঈদ হবে এই টার্গেটে এবং সকল প্রতিষ্ঠান আগেই ছুটি হয়ে যাওয়ায় মানুষ আগে থেকেই বাড়িতে শুরু করেছিল। তবে মঙ্গলবার গার্মেন্টসের লোকজনসহ অন্যান্যরা এক সাথে রওনা হওয়ায় মহাসড়কে চাপ বেড়েছিল।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকেই মহাসড়কে যানবাহনের কোনো চাপ নেই। যে সব যানবাহন চলাচল করছে সেগুলো যাত্রী নিয়ে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন।