ট্রলারডুবি: মেঘনার তীরে স্বজনহারা মানুষদের আহাজারি

মেঘনার তীরে বসে নিখোঁজদের সন্ধানে অপেক্ষা করছেন স্বজনরা। ছবি: সংগৃহীত
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পুলিশ কনস্টেবল, তার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েসহ এখনও আটজন নিখোঁজ রয়েছেন।
শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের চার জন ডুবুরি উদ্ধার অভিযান শুরু করলেও দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ আট জনের সন্ধান মেলেনি।
নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন- ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫), তার স্ত্রী মৌসুমি (২৫), মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রায়সুল (৫), শহরের নিউটাউন এলাকার আরাধ্য দে, বেলাল দে, রূপা দে (৩৫) ও নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার আনিকা আক্তার।
এদিকে নদীর পাড়ে ভোর থেকে নিখোঁজদের সন্ধানে অপেক্ষা করছেন স্বজনরা। কোন সময় মিলবে সন্ধান সেই অপেক্ষা করছে কারো বাবা, কারো ছেলে, কারো মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন। স্বজনহারা মানুষদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠছে মেঘনার তীর।
নিখোঁজ কলেজ শিক্ষার্থী অনামিকার মামা লৎফুর বলেন, আমার ভাগনি নরসিংদী থেকে বেড়াতে এসেছিল। গতকাল বিকেলে তার বান্ধবীকে নিয়ে ট্রলারে করে ঘুরতে বের হয়। এময় তাদের নৌকাকে বালুবাহী বাল্কহেডে ধাক্কা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ট্রলারটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। এরপর থেকে তাদের সন্ধান পাচ্ছি না। জানি না কখন সন্ধান মিলবে।
নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবলের বাবা আব্দুল আলিম বলেন, ভৈরব হাইওয়ে থানায় আমার ছেলে কর্মরত ছিল। সে পরিবারসহ বিকেলে ঘুরতে বেরিয়েছিল। নৌকাডুবিতে আমার সব শেষ হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ভ্রমণ ট্রলারের ধাক্কা লেগে ডুবে গেলে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হলেও ৮ জন নিখোঁজ হন। শনিবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের ৪ সদস্যের একটি ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। আমাদের অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে।
