গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নিহত বেড়ে ১৪
নিহতের স্বজনদের আহাজারি। ছবি: সংগৃহীত
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের কোনাবাড়ী এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে দগ্ধদের মধ্যে মশিউর রহমান (২২) ও কমলা খাতুন (৬৫) নামে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে। এ ছাড়া আট থেকে দশ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন মশিউর রহমানেরও আজ বুধবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে কমলা খাতুনের মৃত্যু হয়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গাজীপুর থেকে মশিউর ও কমলা খাতুনকে ৬০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। গতকাল রাতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন মারা যান মশিউর। আজ ভোর রাতের দিকে মারা যান কমলা খাতুন।
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে আগুন, দগ্ধ ৩৫গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে আগুন, দগ্ধ ৩৫
ডা. তরিকুল ইসলাম আরও জানান, এ ঘটনায় সোলাইমান মোল্লা, মনসুর আলী, শিশু তায়েবা, আরিফুল ইসলাম, মহিদুল, নার্গিস খাতুন, জহিরুল ইসলাম, মোতালেব, মো. সোলায়মান, রাব্বি, তাওহীদ, ইয়াসিনসহ এ পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও চিকিৎসাধীন থাকা আট থেকে দশ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় গাজীপুরের কালিয়াকৈরের তেলিরচালা এলাকায় শফিকুল ইসলাম খানের বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে আগুনে ৩৬ জন দগ্ধ হন। তাদের সকলের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. সামন্ত লাল সেন।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ফায়ার সার্ভিস জানায়, স্থানীয় শফিক খান তার বাসার জন্য একটি গ্যাস সিলিন্ডার কিনে আনেন। পরে সিলিন্ডারটি চুলার সঙ্গে সংযোগ দেওয়ার পর এর চাবি থেকে গ্যাস বের হতে শুরু করে। পরে তিনি সিলিন্ডারটি বাইরের রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলেন। তখনও সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বের হচ্ছিল। এমন সময় ওই স্থানে একটি মাটির চুলার আগুন থেকে গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লেগে যায়। এতে রাস্তায় থাকা ৩৬ জন দগ্ধ হয়।