শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বত্ব পেতে আবেদন

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইল শাড়ির ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) স্বত্ব পেতে আবেদন করেছে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেড মার্কস অধিদফতরে এ বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে।

কায়ছারুল ইসলাম বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ি যে কোনো বিচারে বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার দাবিদার। টাঙ্গাইল নামধারি যে কোনো পণ্যই এদেশের পণ্য। গত তিনমাস ধরে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য ডকুমেন্টেশন কার্যক্রম চলমান জানিয়ে তিনি বলেন, মূলত শাড়িটির আড়াইশ বছরের ইতিহাসের তথ্যাদি ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট মানুষের জীবন জীবিকার তথ্য সংগ্রহ করে আবেদন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার পর বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থায় আপিল করা হবে। ভারত ‘টাঙ্গাইল শাড়ি অব বেঙ্গল’ নামে যে পণ্যটির জিআই পেয়েছে, এটি বাংলাদেশের স্বার্থের সাথে সাংঘর্ষিক। চূড়ান্ত বিচারে টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবেই স্বীকৃতি লাভ করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভারতের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁতের শাড়িকে নিজেদের পণ্য দাবি করেছে ভারত। এটির জিআই স্বত্ব প্রাপ্তির ঘোষণাও দেয় দেশটি।

এরপরই বাংলাদেশে শুরু হয় নানা ধরনের সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রতিবাদ জানাচ্ছে অনেকে। ইতোমধ্যে ভারতের এহেন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধনও করেছে টাঙ্গাইলের বাসিন্দারা। তাঁত সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, সময়মতো বাংলাদেশ ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের আবেদন না করায় এমনটি ঘটেছে।

অন্যদিকে এ বিষয়ে গত রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) কথা বলেছেন বাংলাদেশের বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, ভারত এটি কীভাবে করেছে সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, আমাদের জানা নেই। তবে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বত্ব বাংলাদেশের ছিল, বাংলাদেশেরই থাকবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

উল্লেখ্য, দুইশ বছরের ঐতিহ্য টাঙ্গাইল শাড়ি বুনা হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ি, দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ও কালিহাতীর বল্লা এলাকায়। এই পেশার সাথে জেলাটির প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ যুক্ত রয়েছেন।

 

Header Ad
Header Ad

ঐক্যবদ্ধ না হলে পরাশক্তিরা মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাবে: আজহারী

ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। ছবি: সংগৃহীত

দেশের কল্যাণে ভেদাভেদ ভুলে জাতীয় ঐক্যে আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। তিনি বলেন, ঐক্যের বিকল্প নেই। কিছুদিন আগে আমাদের লিডার ড. ইউনূস জাতীয় ঐক্যের জন্য সমস্ত দলকে ডাকছে না? ওনার কথায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রয়োজনে অন্য ধর্মের সঙ্গেও ঐক্য হওয়া দরকার। না হয় বিপদ আছে। নিজেদের মাঝে মারামারি, মনোমালিন্য করা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, তাওহিদের দাওয়াতের জন্য এক হতে হবে। আমরা বিচ্ছিন্ন হলে আমাদের শক্তি কমে যাবে। একে অপরকে কাফের ফতোয়া দিয়ে নিজের মধ্যে মতানৈক্য না করি। ঐক্যবদ্ধ না হলে পরাশক্তিরা আমাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাবে। আমি পেকুয়ার তাফসিরুল কোরআন মাহফিল থেকে আলেম ওলামা ও সকল রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যে বলছি, ভেদাভেদ ভুলে আমরা জাতীয় ঐক্যে আবদ্ধ হই।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে কক্সবাজারের পেকুয়ায় মরহুম মাওলানা শহীদ উল্লাহ স্মৃতি সংসদ ও সমাজ উন্নয়ন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সাবেকগুলদীর মাঠে স্মরণকালের বৃহৎ তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে প্রধান মোফাসসিরের বয়ানে আজহারী এসব কথা বলেন। রাত সাড়ে ৯টায় মঞ্চে উঠে ১১টা পর্যন্ত বয়ান করেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী।

আজহারীর বয়ানের আগে ভিডিও প্রজেক্টরের মাধ্যমে যুক্ত হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

মাহফিলটি দুই অধিবেশনে বিভক্ত ছিল। প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ মাওলানা বদিউল আলম। এতে আলোচনা পেশ করেন শায়খ মুফতী ইব্রাহিম, মাওলানা আবদুল্লাহ আল আমীনসহ আরও কয়েকজন বিশিষ্ট আলেম। দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী। বয়ান করেন শায়খ সালাহ উদ্দিন মাক্কী, মাওলানা সাদিকুল রহমান আজহারী এবং ড. মিজানুর রহমান আজহারী।

মাহফিলে লাখো মানুষের সমাগমে আশপাশের দুই কিলোমিটার এলাকা জনারণ্যে পরিণত হয়। অতিরিক্ত চাপের কারণে মোবাইল ইন্টারনেট সেবাও ব্যাহত হয়। ইউটিউবাররা মাহফিল সরাসরি সম্প্রচার করেন, যা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যায়।

পেকুয়া সমাজ উন্নয়ন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা নিয়ামত উল্লাহ নিজামী জানান, ড. আজহারীসহ অন্যান্য ইসলামী আলোচকদের উপস্থিতিতে পেকুয়ার এই মাহফিল স্মরণকালের অন্যতম বৃহৎ আয়োজনে পরিণত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

মোজাম্বিকে কারাগারে দাঙ্গায় ৩৩ জন নিহত, পালিয়েছে অন্তত ৬ হাজার বন্দি

ছবি: সংগৃহীত

মোজাম্বিকের রাজধানীতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার জের ধরে একটি কারাগারে দাঙ্গার ঘটনায় অন্তত ৩৩ জন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছে। এসময় অন্তত ছয় হাজার বন্দি পালিয়েছে কারাগার থেকে।

দেশটির পুলিশ প্রধান বার্নাডিনো রাফায়েল বলেছেন, বড় দিনে মাপুতো কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বন্দিরা পালিয়েছে। এ ঘটনাকে তিনি বিদ্রোহ বলে উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কারাবন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় অন্তত ৩৩ জন বন্দি নিহত হয়েছেন ও আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন।

প্রথম দিকে দেশটির কর্মকর্তারা দেড় হাজার বন্দির পালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। এখন আপডেট খবরে বলা হচ্ছে পালিয়ে যাওয়া বন্দির সংখ্যা ছয় হাজার।

প্ল্যাটাফর্মা ইলিটোরাল ডিসাইড নামের একটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, ৯ অক্টোবরের বিতর্কিত নির্বাচনের পর থেকে বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫১ জন নিহত হয়েছেন। সূত্র: আল-জাজিরা

Header Ad
Header Ad

আজ বন্ধুকে কল করার দিন

প্রতীকী ছবি

বন্ধুত্ব হলো এক অনন্য সম্পর্ক, যা নির্ভরতা আর আত্মার গভীর সংযোগে বাঁধা। এই সম্পর্ক কখনো মধুর, কখনো সামান্য তিক্ত, তবু এর গভীরতা অপরিসীম। আধুনিক যুগে আমরা বন্ধুত্বের অনুভূতি ভাগাভাগি করি চ্যাট কিংবা এসএমএসের মাধ্যমে। তবে চ্যাট বা এসএমএস কি বন্ধুর কণ্ঠের উষ্ণতার বিকল্প হতে পারে? প্রিয় বন্ধুটির কণ্ঠ না শুনলে সেই সম্পর্কের হৃদয়স্পর্শী উষ্ণতা কি সম্পূর্ণ হয়?

কবে শেষবার সেই শৈশবের প্রথম বন্ধুটার সঙ্গে কথা বলেছেন? স্কুলে যার সঙ্গে দিন কাটত গল্প আর হাসিতে, যার উপস্থিতি ছাড়া কোনো স্মৃতি অসম্পূর্ণ ছিল, আজ তার সঙ্গে দেখা করতেই কি কত প্ল্যান করতে হয়! কথোপকথনও কি আগের মতো প্রাণবন্ত থাকে?

আজকের ব্যস্ত জীবনে বন্ধুর কথা মনে পড়লে আমরা চ্যাট বা এসএমএসে সীমাবদ্ধ থাকি। কিন্তু চ্যাট বা এসএমএস কি সেই হাসিমাখা কণ্ঠের বিকল্প হতে পারে? যার কণ্ঠ এক মুহূর্তেই আপনার সব ক্লান্তি দূর করতে পারে, সেই বন্ধুটিকে কি শুধু লিখিত কথায় সন্তুষ্ট রাখা ঠিক?

আজ "কল এ ফ্রেন্ড ডে"। এই বিশেষ দিনে তাকে কল করুন। ভাবছেন এতদিন পর কী বলবেন? সহজ—যা আপনার মনের গভীরে জমে আছে, তা-ই বলুন। এমন কিছু, যা হয়তো অন্য কাউকে বলতে পারছেন না, সেটাও নির্দ্বিধায় শেয়ার করুন। বন্ধুর সঙ্গে কষ্ট কিংবা আনন্দ, সবই সহজে ভাগ করা যায়।

যদি প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে কোনো ভুল বোঝাবুঝি থেকে থাকে, সেটাও মিটিয়ে নিন। মনে রাখবেন, বন্ধুত্বে দূরত্ব হতে পারে, কিন্তু বিচ্ছেদ নয়। তাই আর দেরি না করে ফোন হাতে নিন।

বন্ধুকে ফোন দিয়ে মন খুলে কথা বলুন, পুরনো দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করুন। তার কথাগুলো মন দিয়ে শুনুন। আর অবশ্যই তাকে ধন্যবাদ জানান—আপনার জীবনে তার জায়গার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। কারণ বন্ধুত্ব, ছোট্ট একটি শব্দ হলেও এর গভীরতা আমাদের জীবনের অনেক বড় অংশ জুড়ে থাকে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঐক্যবদ্ধ না হলে পরাশক্তিরা মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাবে: আজহারী
মোজাম্বিকে কারাগারে দাঙ্গায় ৩৩ জন নিহত, পালিয়েছে অন্তত ৬ হাজার বন্দি
আজ বন্ধুকে কল করার দিন
নাগরিক কমিটির ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটি ঘোষণা
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ৩৭ জন নিহত
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ৬ বাংলাদেশি জেলে
সচিবালয়ের সকল বেসরকারি পাস বাতিল, ঢুকতে পারবেন না সাংবাদিকেরাও
শেখ হাসিনা-জয়ের ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের প্রমাণ পেয়েছে এফবিআই
দুর্নীতিবাজদের ফাইলগুলো পুড়ে গেছে : রুহুল কবির রিজভী
শনিবার যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না
গুম অবস্থায় ভারতের কারাগারে যাওয়ার লোমহর্ষক বর্ণনা সুখরঞ্জন বালির
শেখ হাসিনাকে ‘নারী’ বলতে রাজি নন মৎস্য উপদেষ্টা
সূর্যের সবচেয়ে কাছে মানুষের তৈরি যান
বর্তমান সরকার রিজার্ভ বাড়িয়েছে, ব্যাংক সেক্টর সচল করছে: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জটিল রাজনৈতিক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে : মির্জা ফখরুল
সংবিধান সংস্কারে রাজনৈতিক দলের সংকল্প জরুরি: অধ্যাপক আলী রীয়াজ
চলতি বছরের বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক হচ্ছে না
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নিহত সবাই একই পরিবারের
ইউসুফ (আঃ)- এর সমাধিতে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা
ইন্টারপোলের রেড নোটিশে ৬৩ বাংলাদেশি: অপরাধীদের ধরতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা