দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
নির্বাচনী প্রচারণা ছেড়ে ওমরাহ পালনে গেলেন প্রার্থী
ছবি: সংগৃহীত
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তার আগে স্ত্রী সহ ওমরাহ করতে গেলেন ফেনী-৩ (দাগনভূঞা ও সোনাগাজী) আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী। বুধবার গণসংযোগ ও পথসভা শেষে শনিবার সৌদি আরবের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন তিনি।
ওমরাহ পালন শেষে সোমবার রাতে দেশে ফিরবেন এবং পরদিন থেকে তিনি গণসংযোগসহ নির্বাচনি সব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবেন বলে জানা গেছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ আসনে মোট ভোটার রয়েছে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৩৪৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৫৬ জন, নারী ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৮৬ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার একজন।
মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ছাড়াও চূড়ান্ত ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্রের হাজী রহিম উল্যাহ (ঈগল), তৃণমূল বিএনপির আজিম উদ্দিন আহমেদ (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির তবারক হোসেন (একতারা), ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবু নাসির (চেয়ার), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নিজাম উদ্দিন (মোমবাতি), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের জোবায়ের ইবনে সুফিয়ান (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারুল কবির রিন্টু আনোয়ার (বাঁশি), আবুল কাশেম আজাদ প্রকাশ একে আজাদ (ট্রাক) ও ইঞ্জিনিয়ার ইশতিয়াক আহম্মেদ সৈকত (কাঁচি)।
১০ জন প্রার্থী আসনটিতে থাকলেও লাঙ্গলের সঙ্গে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী রহিম উল্যাহ। তিনি সৌদি জেদ্দা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য।
তবে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের একাধিক নেতা বলেন, আসনটিতে যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল বাশারকে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন দিলেও জোটের রাজনীতির কারণে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেওয়া হলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।
জেলা যুবলীগের সভাপতি ও দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন বলেন, নির্বাচনি মাঠে লাঙ্গলের প্রার্থী মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী না থাকাতে কোনো প্রভাব পড়বে না। দলীয় সিদ্ধান্তে আমরা সবাই জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করছি।
জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোতাহের হোসেন চৌধুরী রাশেদ বলেন, গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটকেন্দ্র অনুযায়ী আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টি যৌথ কমিটি গঠন করেছে। ১ থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কেন্দ্রভিত্তিক কেন্দ্রপ্রধানরা নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ, মিছিল, পথসভাসহ প্রচার-প্রচারণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।