রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

সৌদি থেকে ফিরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে দাফন করলেন মঞ্জিল মিয়া

ছবি:সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে নিজ ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া সৌদি প্রবাসী মঞ্জিল মিয়ার স্ত্রী ও দুই মেয়ের মরদেহ দাফন করা হয়েছে। স্ত্রী ও দুই মেয়ের মরদেহ উদ্ধারের তিন দিন পর শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন মঞ্জিল মিয়া। জুমার নামাজ পর মঞ্জিল মিয়ার শ্বশুরবাড়ি পার্শ্ববর্তী পাকুন্দিয়া উপজেলার নারান্দী ইউনিয়নের নরপুর গ্রামে জানাজা শেষে তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে দাফন করা হয়।

গত মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) হোসেনপুর উপজেলার সাহেদল ইউনিয়নের বাসুরচর গ্রামের নিজ ঘরের দুটি বিছানা থেকে সৌদি প্রবাসী মঞ্জিল মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা আক্তার (৩৫), বড় মেয়ে মোহনা (১১) ও ছোট মেয়ে বন্যার (৭) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সৌদি আরব প্রবাসী মঞ্জিল মিয়া বলেন, দীর্ঘ ছয় বছর ধরে আমি প্রবাসে অবস্থান করছি। আমার সব কিছুই ভালোই চলছিল। এখন আমার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। দেশে ফিরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে কবর দিতে হলো। দুনিয়াতে আমার আর কেউ রইল না। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনার বিচার চাই ।

এদিকে এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে নিহত গৃহবধূ তাস‌লিমা আক্তারের ভাই কবীরুল ইসলাম নয়ন বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার বাদী নিহত তাসলিমা আক্তারের ভাই কবীরুল ইসলাম নয়ন জানান, ময়নাতদন্তের পর মরদেহ আমার গ্রামের বাড়ি পাকুন্দিয়া নরপুর গ্রামে নিয়ে আসি। আমার বোন জামাই শেষবারের মতো দেখার ইচ্ছা পোষণ করায় আমরা দুই দিন ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ বাড়িতে রাখি। বোন জামাই আজ সৌদি থেকে আসার পর আমাদের গ্রামের বাড়িতে দাফন কাফন সম্পন্ন হয়। এছাড়া ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আমরা পাইনি। শুনেছি এ ঘটনায় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

জানা গেছে, ঘটনার দিন সকালে বাসুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার প্রতিদিনের মতো তার সহপাঠী মোহনাকে সঙ্গে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার জন্য তাদের বাড়িতে যায়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মোহনার বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজার পাশে দাঁড়িয়ে ডাকাডাকি করে। একপর্যায়ে দরজা খোলা দেখে সে ঘরে ঢুকে মোহনা ও তার মা-বোনকে আলাদা খাটে শুয়ে থাকতে দেখে।

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারজানা বলে, ঘরে প্রবেশ করে কাকিকে ডাকতেছি- কাকি মোহনা কি স্কুলে যাবে না? তারপর আমি কাকিকে ডাকাডাকির পর সাড়া না পেয়ে বন্যা আর মোহনাকে ঘুম থেকে জাগাতে হাত ধরে টানাটানি করি। কিন্তু মোহনা শরীর তখন পাথর হয়ে গেছে। মোহনাকে টানি কেউ উঠে না। এরপর ছোট বোন বন্যা সেও উঠে না। পরে মোহনার মায়ের কাছে গিয়েছি আবার, মাও উঠে না। পরে ডরে আমি ঘর থেকে বের হয়ে গেছি। তারপর আমার আরেক বান্ধবী লামিয়ার কাছে গিয়ে সব কথা বলেছি। তখন বান্ধবী লামিয়া বলে গিয়ে দেখছিস রক্ত চলাচল করে কিনা তখন আমি বলি না। পরে সে ও আমি আবার গিয়েছি। গিয়ে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করি ঘুম থেকে উঠার জন্য, কিন্তু উঠেনি। তখন আমরা স্কুলে যাই গিয়ে আমাদের আরেক বান্ধবীকে বলি। সে আবার বাড়িতে এসে দেখে সবাইকে বলে। পরে জানতে পারি তারা সবাই মারা গেছে।

নিহত তাসলিমা আক্তারের ভাসুর গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রতিদিনের মতোই সকালে গরু ঘর থেকে বের করে আমি বন্দে (কৃষি জমিতে) চলে যাই। বন্দে থেকে আরেকবার আছি ৯টার কাছাকাছি সময়ে। এসে নাস্তা খেয়ে আমি একটু শুয়েছি। এরপর ওই বাড়ি চিৎকার চেঁচামেচি হলে আমি উঠে গিয়ে দেখি। দরজার মুখে গিয়ে দেখলাম তারপর আমি মাথা ঘুরে পড়ে যাই।

তিনি বলেন, আমাদের জানা মতে কাউকে কোনো সন্দেহ নেই। তবে তাদের ঘর থেকে একটা মেমোরি কার্ড পাওয়া গেছে। সেই মেমোরিতে পাশের বাড়ির এক ছেলের কণ্ঠ পাওয়া গেছে। সেটা আরও দুই বছর আগের হবে। আমরা থানায় জমা দিয়েছি। এখন সেই ছেলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক আছে কিনা সেটা বলতে পারি না। সেই ছেলে বর্তমানে আটক আছে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেইনি। তবে তাছলিমার ভাই অভিযোগ দিয়েছে।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার রাসেল শেখ বলেন, হোসেনপুরের ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড। যদিও আমরা এখনো ময়নাতদন্তে রিপোর্ট পাইনি। তবে আমরা মার্ডার ধরেই আমাদের কার্যক্রম শুরু করেছি। আমরা সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসছিলাম। এর মধ্যে পাঁচজনকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের কাছে সন্দেহজনক কিছু পাইনি। অন্য দুজনকে আমাদের মনে হয়েছে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত। একজনের নাম জাহাঙ্গীর অন্যজনের নাম ছোটন। এই দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা রিমান্ডের আবেদন করেছি। রিমান্ড মঞ্জুর হলে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্য দিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবো। এই দুইজনের বিরুদ্ধে কিছু তথ্য-উপাত্ত আমাদের কাছে আছে। এগুলো যাচাই-বাছাই চলছে।

Header Ad
Header Ad

থাকবে না সরকারি ছুটি

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা

পিলখানা হত্যাকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে আজই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এ বছর থেকে দিবসটি পালন করা হবে। তবে এ দিনে থাকবে না সরকারি ছুটি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের এমন বক্তব্যের কিছু সময় পরই ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়।

Header Ad
Header Ad

প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু

ছবি: সংগৃহীত

১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। সরকারি পর্যায়ের চুক্তির (জি টু জি) আওতায় বিপুল পরিমাণ চাল নিয়ে একটি পাকিস্তানি কার্গো জাহাজ বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, এই প্রথমবার সরকার অনুমোদিত একটি কার্গো জাহাজ করাচির পোর্ট কাসিম থেকে বাংলাদেশের পথে রওনা দিয়েছে। চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে মোট ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করছে, যা পাকিস্তানের ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিপি) সরবরাহ করছে।

চলতি ফেব্রুয়ারির শুরুতে এই চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়। দুই ধাপে চাল রপ্তানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। প্রথম চালানের আওতায় ২৫ হাজার টন চাল ইতোমধ্যে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছে। আগামী মার্চের শুরুতে দ্বিতীয় চালানে আরও ২৫ হাজার টন চাল পাঠানো হবে।

এবারের চালান বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে, কারণ এটি ১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তান ন্যাশনাল শিপিং করপোরেশনের (পিএনএসসি) কোনো জাহাজ সরকারি কার্গো নিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছাবে। এই ঘটনা দ্বিপাক্ষিক সামুদ্রিক বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সরাসরি বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্থগিত ছিল। এই উদ্যোগ দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করবে এবং সামুদ্রিক পথ ব্যবহারের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরাসরি জাহাজ চলাচলের ফলে বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও সহজ হবে এবং দুই দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

Header Ad
Header Ad

৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম

পুলিশের ৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর। ছবি: সংগৃহীত

উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) পদের চার কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার। আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে তাঁদের বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়।

অবসরে পাঠানো চারজন হলেন- এন্টি টেররিজম ইউনিট কর্মরত ডিআইজি মো. নিশারুল আরিফ, নৌ পুলিশের কর্মরত ডিআইজি মো. আব্দুল কুদ্দুছ আমিন, হাইওয়ে পুলিশে কর্মরত ডিআইজি মো. আজাদ মিয়া, এনডিসি ও আমেনা বেগম।

 এতে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন)-এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে এই চারজনকে অবসর প্রদান করা হলো। 

তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে জারীকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। 

এর আগে বিতর্কিত শেষ তিন সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা তিন সচিবসহ ২২ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর পাঠানো হয়। গত বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল  
জশ ইংলিসের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
১৫ বছর দলীয় বিবেচনায় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে: উপদেষ্টা ফারুক